টুকরো খবর
কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান
হুগলির চণ্ডীতলার বেশ কিছু কংগ্রেস নেতা-কর্মী রবিবার তৃণমূলে যোগ দিলেন। তৃণমূলের দাবি, আঁইয়া পঞ্চায়েত এলাকার প্রায় ৫০ জন কংগ্রেস নেতা-কর্মী আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এ দিন সেখানকার গোপালপুরে একটি সভায় তাঁদের দলে নেয় তৃণমূল। সভায় উপস্থিত ছিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের নেতা সুবীর মুখোপাধ্যায়, জাঙ্গিপাড়ার বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তৃণমূল শিবিরের দাবি, রাজ্য ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন সম্পাদক সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ওই নেতা-কর্মীরা দল ছাড়েন। আঁইয়া পঞ্চায়েত পরিচালনা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই কংগ্রেস-তৃণমূল বিবাদ রয়েছে। এ নিয়ে কংগ্রেসের মধ্যেই মতানৈক্য ছিল। তার জেরেই সৌরভবাবুরা ওই সিদ্ধান্ত নেন। সাংসদ কল্যাণবাবুর অভিযোগ, “সরকারে থেকেও কংগ্রেস সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাজ্যের উন্নয়ন স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে। কিন্তু সেটা কংগ্রেসের অনেকে মানতে পারছেন না। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি আস্থা রেখে তৃণমূলে আসছেন।” সৌরভবাবু বলেন, “আঁইয়া পঞ্চায়েতে আমাদের দল সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলছে। উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। তাই আমরা দল ছাড়লাম।” কংগ্রেস অবশ্য বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। দলের জেলা সভাপতি দিলীপ নাথের বক্তব্য, “যাঁরা কংগ্রেস ছেড়ে গিয়েছেন বলা হচ্ছে, তাঁরা কেউ দলের নেতা তো ননই, পরিচিত মুখও নন। স্বঘোষিত নেতা সেজে কেউ কেউ এমনটা করতে পারেন। তৃণমূল এদের নিয়েই সস্তা চমক দিচ্ছে। এ নিয়ে আমরা ভাবিত নই।”

মকরস্নানে গিয়ে গঙ্গায় মৃত ২
মকর-স্নানের জন্য গঙ্গায় নেমে ডুবে মৃত্যু হল দুই মহিলার। রবিবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে উত্তরপাড়ার শিবতলা ঘাটে। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম লক্ষ্মী সাবু (৪০) এবং রাধাদেবী অগ্রবাল (৫৭)। প্রথম জনের বাড়ি স্থানীয় শিবতলা স্ট্রিটে। দ্বিতীয় জন সুকান্ত সরণির মারোয়ারি পট্টির বাসিন্দা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল ৭টা নাগাদ জোয়ার চলছিল। ওই ঘাটে বহু মানুষ স্নান করছিলেন। তাঁদের মধ্যে লক্ষ্মীদেবী এবং রাধাদেবী তলিয়ে যেতে থাকেন। তা দেখে রাধাদেবীকে বাঁচাতে গিয়ে তাঁর মেয়েও হাবুডুবু খান। একই অবস্থা হয় অন্য এক মহিলা এবং তাঁর ছেলের। অন্য স্নানার্থীরা ওইতিন জনকে জল থেকে টেনে তুলতে সক্ষম হন। কিন্তু লক্ষ্মীদেবী এবং রাধাদেবী তলিয়ে যান। কিছু ক্ষণ পরে ওই ঘাটের অদূরে জল থেকে ওই দুই মহিলাকে উদ্ধার করা হয়। উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন। দেহ দু’টি ময়না-তদন্তের জন্য শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।

স্বামীজীর জন্মের সার্ধশতবর্ষে অনুষ্ঠান
স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম সার্ধশতবার্ষিকী পালিত হল আন্দুলে। শ্রী শ্রী প্রেমিক মহারাজ সেবা কল্যাণ সমিতি আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে রবিবার দাতব্য চিকিৎসালয়ের উদ্বোধন করা হয়। সারাদিন ধরে চলে আলোচনাচক্র, ভক্তি সঙ্গীত, বসে আঁকো প্রতিযোগিতা প্রভৃতি। সমিতির পক্ষে দুর্গাপদ দাস বলেন, “১৮৭৪, ১৮৮৭ এবং ১৯০১ সালে যথাক্রমে তিন বার স্বামীজী আন্দুলে এসেছিলেন। তিনি প্রেমিক মহারাজের ঘরে যে তক্তোপোষে বসেছিলেন সেটি আজও অক্ষত রয়েছে।” অনুষ্ঠান হয় সমিতির ঘরেই। হাজির ছিলেন বেলুড় মঠের মহারাজ অর্ঘানন্দ, পণ্ডিত মুরারীমোহন বেদান্ততীর্থ, জেলা পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) রবীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। অন্য দিকে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকী পালিত হল পাঁচলার গঙ্গাধরপুর শিক্ষণ মন্দির চত্বরে। এখানে অবস্থিত কলেজ এবং হাইস্কুলগুলি যৌথ ভাবে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করে। প্রভাতফেরি, আলোচনাচক্র, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

গাড়ি থেকে উদ্ধার অস্ত্র, গ্রেফতার ১
একটি গাড়ির দরজার ঢাকা অংশ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এবং কার্তুজ উদ্ধার করল পুলিশ। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির গুড়াপের কোটালপুর গ্রামে। পুলিশ জানায়, সূত্র মারফত খবর পেয়ে রাত ৮টা নাগাদ গুড়াপ থানার ওসি দেবর্ষি সিংহ কোটালপুরের একটি গ্যারাজে হানা দেন। সেখানে একটি গাড়ির পিছনের দরজার ঢাকা অংশ থেকে ২টি রিভলভার এবং চারটি কার্তুজ উদ্ধার করে পুলিশ। গাড়ির মালিককে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম লক্ষ্মণ ঘোষ। তাঁর বাড়ি কোটালপুরেই। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, আগ্নেয়াস্ত্র কেনাবেচার সঙ্গে ওই ব্যক্তি জড়িত। আর কেউ এতে জড়িত কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা
গত ৮ জানুয়ারি হুগলির বৈদ্যবাটি ক্লাবের ব্যবস্থাপনায় এবং স্থানীয় একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে সারা বাংলা সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ক্লাব প্রাঙ্গনেই ওই অনুষ্ঠান হয়। অঙ্কন, আবৃত্তি, সঙ্গীত এবং নৃত্য প্রতিযোগিতায় যোগদান করেন পাঁচ শতাধিক প্রতিযোগী। ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অসীম গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আবৃত্তি, সঙ্গীত এবং নৃত্য প্রতিযোগিতার বিষয় রবীন্দ্র-নজরুল ভাবনায় নির্বাচন করা হয়।

পড়ুয়াদের পাঠ্যপুস্তক
বৈদ্যবাটির বনমালি মুখার্জি ইনস্টিটিউশন মাধ্যমিক ছাত্র সম্মিলনীর উদ্যোগে নবম ও দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের পাঠ্যপুস্তক দেওয়া হল। গত ৮ জানুয়ারি বৈদ্যবাটি ক্লাব প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাদের হাতে বই তুলে দেওয়া হয়। উদ্যোক্তারা জানান, বৈদ্যবাটি এবং চাঁপদানি পুর-এলাকার ৯টি বিদ্যালয়ের নবম ও দশম শ্রেণির পাঁচ জন করে ছাত্রকে অর্থাৎ মোট ৯০ জনকে তিনটি করে (ইতিহাস, ভূগোল ও ভৌতবিজ্ঞান) বই দেওয়া হয়েছে।

সঙ্গীত সন্ধ্যা
শ্রীরামপুরের সংস্থা ‘অর্পণ’-এর নবম বার্ষিক সঙ্গীত সন্ধ্যা গত ৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হল। শ্রীরামপুর মাহেশের নেতাজি ভবনে ওই অনুষ্ঠান হয়। বাংলা গানের আসর উপভোগ করেন হলভর্তি দর্শক। সংগঠনের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকেরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। সংস্থার তরফে দেবব্রত চট্টোপাধ্যায় জানান, অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে গীতবিতান ও স্বরবিতান তুলে দেওয়া হয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.