আমাদের স্কুল
পাঁতিহাল দামোদর ইনস্টিটিউশন
প্রতিষ্ঠা ১৯১৮।
ছাত্র সংখ্যা ৬৫৭।
মোট শিক্ষক-শিক্ষিকা ১৬ জন।
পার্শ্বশিক্ষক ৩ জন।
অশিক্ষক কর্মচারী ২ জন।
২০১১ সালে মোট মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ৫৪ জন।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ৬১ জন।
উত্তীর্ণ ৫৮ জন।
বিজন ভট্টাচার্য
পরিকাঠামোর অভাবে সমস্যায় পড়তে হয় অসংখ্য পড়ুয়াকে
হাওড়া জেলার অন্তর্গত জগৎবল্লভপুর ব্লকের অধীন পাঁতিহাল গ্রামের সুপ্রাচীন এই বিদ্যালয়টির যাত্রা শুরু হয় ৫ জানুয়ারি, ১৯১৮ সালে। মহাত্মা দামোদর মণ্ডলের তিন শিক্ষানুরাগী পুত্র ননীলাল, মাখনলাল ও মণিলাল মণ্ডল মহোদয়গণের অকৃপণ দানে এবং শিক্ষাব্রতী শশীভূষণ দত্ত, অনাদিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও পাঁতিহালের শিক্ষানুরাগী মানুষের প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয় পাঁতিহাল দামোদর ইনস্টিটিউশন। এই বিদ্যালয়ের প্রথম ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছিলেন শ্রদ্ধেয় অনাদিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বনামধন্য বহু ব্যক্তি এই বিদ্যালয়ের পরিচালনা এবং সংস্কারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই প্রসঙ্গে বলা যায়, এই গ্রামের সুযোগ্য সন্তান কবি বিষ্ণু দে-র পিতৃব্য অক্ষয়কুমার দে এই বিদ্যালয়ের প্রথম পরিচালন সমিতির সভাপতি ছিলেন। পরবর্তী কালে বিদ্যালয়-গৃহের পূর্ণ সংস্কারের ভার বহন করেছিলেন এই গ্রামের অধিবাসী দেবসাহিত্য কুটিরের প্রতিষ্ঠাতা এ টি দেব। এই বিদ্যালয়ের বহু কৃতী ছাত্র আজ সমাজের নানা কল্যাণমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত আছেন।
বিদ্যালয়টি ২০০৪ সালে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে উন্নীত হয়েছে। এই স্তরের জন্য মাত্র দু’জন শিক্ষক পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু পরিকাঠামোগত সমস্যা, শ্রেণিকক্ষের অভাব, বিজ্ঞানচর্চার জন্য পরীক্ষাগারের অভাব ইত্যাদি কারণে উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগ চালু করা সম্ভব হয়নি। কেবলমাত্র কলা বিভাগ চালু হয়েছে। ফলে ইচ্ছে থাকলেও আমাদের বিদ্যালয়ের বহু মেধাবী ছাত্রকে মাধ্যমিকের পর অন্যত্র বিজ্ঞান বিভাগে পঠন-পাঠনের জন্য চলে যেতে হয়। এই বিদ্যালয়ের বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রী আর্থ-সামাজিক দিক থেকে অনগ্রসর, কিন্তু তাদের আগ্রহ, চেষ্টা ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রচেষ্টায় আমাদের বিদ্যালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিভাগের ফলাফল খুব ভাল হয়। আমরা দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের আর্থিক সাহায্য, মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে উৎসাহিত করি। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের জন্ম সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছে। বিদ্যালয়ে সমস্যা প্রচুর। বিভিন্ন পদ খালি। উপযুক্ত গ্রন্থাগার এবং গ্রন্থাগারিকের অভাবে পঠন-পাঠনে বিবিধ অসুবিধা হয়। উপযুক্ত খেলার মাঠ নেই, সাইকেল শেড নেই, কম্পিউটার শিক্ষার জন্য কোনও ব্যবস্থা নেই। আমরা এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি সাহায্য, বিধায়ক ও সাংসদ কোটায় কোনও অনুদান পাইনি। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও সকলের সমবেত প্রচেষ্টায় আমরা আমাদের বিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাবই।

আমার চোখে

সায়ন সাহা

আমি দশম শ্রেণির ছাত্র। আমার বিদ্যালয়ের নাম পাঁতিহাল দামোদর ইনস্টিটিউশন। এই বিদ্যালয় প্রায় একশো বছরের ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। এই বিদ্যালয়টি আমার কাছে বটবৃক্ষের ন্যায় এবং তার শাখাপ্রশাখাগুলি হলেন আমাদের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। যাঁদের শীতল ছায়ায় থাকি আমরা। বহু দূরদূরান্ত থেকে ছাত্রছাত্রীরা ভাল শিক্ষালাভের আশায় এই বিদ্যালয়ে আসে। আমাদের শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ খুব আন্তরিকতার সঙ্গে আমাদের শিক্ষা দেন। আমাদের বিদ্যালয় কেবল পঠন-পাঠনের ক্ষেত্রেই নয়, খেলাধুলা, বিজ্ঞানচর্চা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে নানা কৃতিত্ব মেলে ধরেছে। স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন, “আমি মানুষ চাই চাই মানুষ মানুষ খুঁজিতে আমি সারা ভারতবর্ষ ঘুরিয়া বেড়াইয়াছি। আমি ভারতবর্ষের লোককে মানুষের ভিতর হইতে দেখিতে চাই, দেবতা দেখিতে চাই না।” সেই লক্ষ্যেই আমাদের বিদ্যালয় এগিয়ে চলেছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.