হাতের ছাপ মিলে গিয়েছিল তাপসের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তেহট্ট |
করিমপুরে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে খুন ও ডাকাতির ঘটনায় শুক্রবার তেহট্ট ফাস্ট ট্রাক আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে সাক্ষ্য দিতে উঠেছিলেন সিআইডির ফিঙ্গার প্রিন্ট বিশেষজ্ঞ প্রশান্ত কুমার সাহা। সরকার পক্ষের আইনজীবি জুলফিকার খানের প্রশ্নের উত্তরে প্রশান্তবাবু বলেন, ‘‘২০০৯ সালের ১৭ নভেম্বর করিমপুর ব্যাঙ্কে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে ১০ টি চান্স- প্রিন্ট আমি দেখতে পাই। সেগুলো ভালো করে দেখার পরে সিআইডির দুই ফোটোগ্রাফারকে দিয়ে সেগুলোর ছবি তোলানো হয়। এরপরে সিআইডির তদন্তকারী অফিসার করিমপুর ব্যাঙ্ককান্ডে অভিযুক্ত ধৃত তাপস ঘোষাল, আজাদ খান, স্মরজিত সরকার ও সিরাজ সেখের হাত ও পায়ের ছাপের নমুনা আমাদের কাছে পাঠায়। এর পর আমাদের সংগ্রহ চান্স-প্রিন্ট ও তদন্তকারী অফিসারের পাঠানো নমুনা মিলিয়ে দেখি। সেখানে অভিযুক্ত তাপস ঘোষাল ও আজাদ খানের হাতের ছাপ মিলে যায়।’’
এরপর প্রশান্তবাবুকে জেরা করেন অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী মহম্মদ আবু বাক্কার সিদ্দিকি।
আবু বাক্কার: আপনি কত তারিখে চান্স-প্রিন্ট-এর ছবিগুলি হাতে পেয়েছিলেন? সেটা কি আপনার দেওয়া রিপোর্টে লেখা আছে?
প্রশান্তবাবু: ২০০৯ সালের ৩০ নভেম্বর আমি ওই ছবিগুলি হাতে পেয়েছিলাম, তবে রিপোর্টে সেই তারিখ লেখা নেই।
আবু বাক্কার: যন্ত্রপাতির সাহায্য নিয়ে আপনি পরীক্ষা করেছেন তার কোন উল্লেখ এই রিপোর্টে আছে?
প্রশান্তবাবু: না।
আবু বাক্কার: আপনার উর্ধ্বতন কতৃপক্ষ আপনাকে এই পরীক্ষা করার জন্য কি কোন অনুমতিপত্র দিয়েছিলেন?
প্রশান্তবাবু: হ্যাঁ, দিয়েছিল। তবে এই মূহূর্তে সেটা আমার কাছে নেই। |