হাতির হামলায় জখম হলেন দুই ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার ভোরে বড়জোড়ার দু’টি গ্রামে ঘটনাটি হয়েছে। এ ছাড়া দলমা থেকে আসা ১০০টি হাতি এলাকায় চাষের খেতে হানা দেওয়ায় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। বড়জোড়ার রেঞ্জ অফিসার সৌমেন মণ্ডল বলেন, “সোনামুখী থেকে বড়জোড়ায় ঢুকে ১০০টি হাতির পাল বিভিন্ন গ্রামে হামলা চালাচ্ছে। দু’জন গ্রামবাসী হাতির হামলায় জখম হয়েছেন। বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে।”
বনদফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বাঁধকানা থেকে নিজের গ্রাম লক্ষ্মীনারায়ণপুরে ফিরছিলেন তারাপদ দাস। বাঁধকানা গ্রামে হাতির পালের সামনে তিনি পরে যান। একটি হাতি তাঁকে শুঁড়ে পাকিয়ে ছুড়ে দেয়। মাথা ও দেহের নানা জায়গায় চোট লাগে। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করেন। তাঁকে স্থানীয় বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই এলাকাতেই বড়জোড়ার একটি ইস্পাত কারখানার চার জন শ্রমিক সাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে হাতির সামনে পড়ে যায়। পড়ে গিয়ে তাঁরা অল্পবিস্তর জখম হয়। তাঁদের মধ্যে একজনের সাইকেল ভেঙে গুড়িয়ে দেয় হাতির পাল। অন্য, দিকে শুক্রবার ভোরে প্রাতকৃত্য করতে বেরিয়ে হাতির হামলায় জখম হন খাঁড়ারি গ্রামের বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ রুইদাস। স্থানীয় ভাবে তাঁর চিকিৎসা করা হয়।
এ দিকে বড়জোড়ায় ঢুকেই দলমার ১০০টি হাতির পাল চাষের খেতেও তাণ্ডব শুরু করেছে। সংগ্রামপুর, খাঁড়ারি, জামবেদিয়া প্রভৃতি গ্রামের ধান ও আলু খেতে নেমে বাতিরা ব্যাপক ক্ষতি করে। ঘটনা স্বীকার করে বড়জোড়ার রেঞ্জ অফিসার বলেন, “হাতির পাল চাষ জমির ক্ষতি করতে শুরু করেছে। আমরা গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকতে প্রচার চালাচ্ছি। দুর্ঘটনা এড়াতে বনকর্মীদের হাতির পালের উপর নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” বনবিভাগের ডিএফও (বাঁকুড়া উত্তর) এস কুলন ডেইভাল বলেন, “ক্ষয়ক্ষতি কমাতে আমরা দ্রুত হাতি খেদানো অভিযানে নামব। তবে অভিযানের দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি।” |