|
|
|
|
|
|
|
মনোরঞ্জন... |
|
বিদ্যার বর আবির |
‘কহানি’তে। বিদ্যার স্বামীর চরিত্রে কে, তা নিয়ে হাজারো জল্পনার মাঝে
একমাত্র পত্রিকার কাছেই আসল খবর। লিখছেন দেবশ্রুতি রায়চৌধুরী |
বিদ্যা বালনের বহু দিনের আশা পূর্ণ হল।
বাঙালি ছেলেকে বিয়ে করলেন তিনি।
তবে ছবির পর্দায়।
ছবির নাম ‘কহানি’।
আর বিদ্যার বাঙালি বর?
আবির চট্টোপাধ্যায়।
সুজয় ঘোষের ‘কহানি’ ছবিতে বিদ্যার নিখোঁজ স্বামীটি যে আবির গোটা ইউনিট এই খবরটা আপ্রাণ চেপে রাখার চেষ্টা করেছে গত কয়েক মাস। কেন না ওটাই নাকি ছবির গল্পের সব থেকে বড় ইউএসপি। যেখানে দেখানো হচ্ছে বিয়ের পর হঠাৎ উধাও হয়ে যাওয়া স্বামীর খোঁজে কলকাতায় আসছেন সন্তানসম্ভবা বিদ্যা। এবং তাঁর সেই খোঁজই হয়ে উঠছে ছবির গল্প‘কহানি’। কলকাতায় শুটিং চলার সময়ও এহেন নিখোঁজ স্বামীটি যে আবির তা মিডিয়াকে ঘুণাক্ষরেও জানতে দেননি পরিচালক সুজয় ঘোষ ও তাঁর ইউনিট। বিদ্যার সাহায্যে এগিয়ে আসা পুলিশ অফিসারের চরিত্রে যে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় তা সকলেই জানতেন। কিন্তু স্বামীটি
কে তা নিয়ে চলছিল তুমুল জল্পনা কল্পনা। মুম্বইয়ে তো এ রকমও শোনা যাচ্ছিল যে বিশেষ এই চরিত্রটিতে অভিনয় করেছেন শাহরুখ খান।
তাই সব কিছু এত চুপিসারে সারা হচ্ছে। ছবি রিলিজের আগে একটু একটু করে প্রচারের মাধ্যমে সেই রহস্য মেলে ধরা হবে দর্শকের সামনে। কিন্তু তার আগেই ফাঁস হয়ে গেল আসল খবর।
পরিচালক সুজয় ঘোষ অবশ্য বলছেন, “জানতাম এই চরিত্রটা কে করেছেন তা নিয়ে তুমুল জল্পনা হবে। তবে দর্শকদের বলব হলে গিয়েই দেখুন স্বামীটি কে-আবির না পরম না শাশ্বত না ইন্দ্রনীল না খরাজ? না একেবারে অন্য কেউ?” আর আবির চট্টোপাধ্যায়? তাঁর উত্তর, “বিদ্যা তো আমার সবথেকে প্রিয় অভিনেত্রী। কিন্তু বাকি কী সব জিজ্ঞেস করছেন কিছুই তো বুঝতে পারছি না।” অর্থাৎ আপাতত ব্যাপারটা ঘিরে যতটা সম্ভব রহস্য তৈরি করে রাখা যায় সেই চেষ্টাই এখনও করে যাচ্ছে গোটা ইউনিট। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার ছবির ট্রেলার বেরিয়েছে। সুজয় বলছেন, “ট্রেলারটা দেখুন। বুঝবেন কত বড় রহস্য লুকিয়ে আছে এর মধ্যে। আপনারা যা ভাবছেন তা নাও তো হতে পারে।” সেই সঙ্গে এটাও বলছেন কলকাতার পরম, শাশ্বত, খরাজ, আবিরের কলকাতার এই এক গুচ্ছ অভিনেতার কাজে মুগ্ধ তিনি। “কাঁপিয়ে কাজ করেছে ওরা সবাই। দেখবেন। আর কলকাতাকেও এর আগে কোনও হিন্দি ছবিতে এ ভাবে দেখানো হয়নি এটা বলে দিচ্ছি,” বলছেন সুজয়। যেটা বলছেন না। সোজাসুজি অন্তত। তা হল যে বিদ্যার বরের চরিত্রে কে!
তাতে কী!
পত্রিকা তো আপনাদের জানিয়ে দিল সেটা আবির-ই।
এখন শুধু হলে গিয়ে
বিদ্যা-আবিরকে দেখার পালা। |
|
|
|
|
|