মার্কিন ভিসার জন্য কী কী করণীয়
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যাওয়ার জন্য সারা বিশ্বে প্রতি বছর যত জন ছাত্রছাত্রী স্টুডেন্ট ভিসা পেয়ে থাকে, ভারতীয়রা তাদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। কিন্তু ভিসার আবেদন থেকে শুরু করে হাতে ভিসা পাওয়া পর্যন্ত সম্পূর্ণ পদ্ধতিটি যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ এবং কিছুটা জটিলও বটে। তাই হাতে বেশ কিছুটা সময় নিয়েই ভিসার জন্য আবেদন করা উচিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনও কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সেভিস (স্টুডেন্ট অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ভিজিটর ইনফরমেশন সিস্টেম) সংক্রান্ত নথি আই-২০ অনুসারে যে দিন তোমার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছনোর কথা, মোটামুটি ভাবে তার ১২০ দিন পর্যন্ত আগে ভিসার জন্য আবেদন করে রাখতে পারো। যখনই তুমি জানতে পারছ যে তুমি একটি প্রোগ্রামে ঢুকে পড়েছ, তখনই ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট-এর দিন স্থির করে নাও, অবশ্য তোমাকে এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে যে, ইন্টারভিউয়ের নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তোমার হাতে চলে আসবে। এর সঙ্গে ভিসা ফি-টাও তুমি আগেভাগে এইচ ডি এফ সি ব্যাঙ্কে জমা দিয়ে রাখতে পারো। এর বিনিময়ে যে রিসিটটি তুমি পাবে, সেটি আগামী এক বছরের মধ্যে কার্যকর থাকবে, তবে এটি হস্তান্তরযোগ্য বা ফেরতযোগ্য নয়। রিসিটটি যত্ন করে রাখতে হবে। কারণ, হারিয়ে গেলে আবার ফি জমা দিতে হবে। এর সঙ্গে ফর্মে দেওয়া মাপ অনুযায়ী তোমার সাম্প্রতিক একটি ছবিও স্ক্যান করে রেখে দাও। ভিসার আবেদনের সঙ্গে এই ছবিটি আপলোড করতে হবে।
এ বার https://ceac.state.gov/genniv/ ওয়েবসাইটটিতে গিয়ে ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্মটি পূরণ কর। মনে রাখবে, তোমার প্রদত্ত তথ্যে যেন কোনও ভুল না থাকে এবং অবশ্যই যেটুকু তথ্য চাওয়া হয়েছে, সেটুকুই যেন দেওয়া হয়। ফর্মটি সম্পূর্ণ করার পর স্বীকৃতিস্বরূপ যে পৃষ্ঠাটি আসবে, লেজার প্রিন্টার থেকে বার কোড সহ সেটির একটি প্রিন্ট নিয়ে নাও। এর পর https://www.fmjfee.com/i901fee/ ওয়েবসাইটে গিয়ে সেভিস ফি (২০০ ডলার) জমা দিতে হবে। ইন্টারভিউয়ের সময় অবশ্যই রিসিটটি সঙ্গে নেবে। এর পর ভি এফ এস গ্লোবাল ওয়েবসাইট https://www.vfs-usa.co.in-এ গিয়ে অ্যাপয়েন্টমেন্ট-এর দিন ঠিক করে নাও।
এর পরের ধাপটি ইন্টারভিউ। নির্দিষ্ট দিনে ইন্টারভিউয়ের জন্য যে সময় স্থির করা হয়েছে, তার মিনিট পনেরো আগে পৌঁছনো ভাল। সঙ্গে রাখবে বৈধ পাসপোর্ট, নিজের ছবি (গত ছয় মাসের মধ্যে তোলা), বার কোড সহ ডি-১৬০ আবেদনপত্রের স্বীকৃতিস্বরূপ যে পৃষ্ঠার প্রিন্ট নেওয়া হয়েছে, এইচ ডি এফ সি ব্যাঙ্কে জমা দেওয়া ভিসা ফি-এর রিসিট, ভি এফ এস অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার, সেভিস রিসিট এবং আই-১২০ বা ডি এস-২০১৯। কাগজপত্র এমন ভাবে সাজিয়ে রাখবে, যাতে ইন্টারভিউয়ের সময় বেশি খুঁজতে না হয়। এই সময় আবেদনকারীকে নানা ব্যক্তিগত প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে। এর জন্য তুমি যেখানে পড়তে যাচ্ছ, সেই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভাল ভাবে জেনে নেবে। সঙ্গে কেন পড়তে যাচ্ছ, সেই উত্তরটাও নিজের মনে গুছিয়ে নেবে। ভিসা অফিসাররা দেখতে চান যে, পড়তে যাওয়ার খরচ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা তোমার আছে। কী ভাবে টাকার জোগাড় হবে সেটা ব্যাখ্যার জন্য তৈরি থাকো। আবেদনকারীকে এটা পরিষ্কার ভাবে বোঝাতে হবে যে, ইউ এস-এ থাকাকালীন নিজের খরচ চালানোর মতো পর্যাপ্ত টাকার ব্যবস্থা তার করা আছে এবং পড়ার উদ্দেশ্য নিয়েই সে যাচ্ছে। আরও একটি বিষয় এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। তোমার কথায় যেন এটা স্পষ্ট বোঝা যায় যে, নির্দিষ্ট সময় পর দেশে ফিরে আসার নির্দিষ্ট পরিকল্পনা তোমার আছে। এ ক্ষেত্রে তোমার পরিবার নিয়ে কিছু তথ্য তুমি জানাতে পারো। আবার পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত কিছু কাগজপত্র সঙ্গে রেখে দিতে পারো (নিজস্ব বাড়ি থাকলে তার দলিল ইত্যাদি)। কেবল বৈধ কাগজপত্রই সঙ্গে নেবে। এ বিষয়ে কোনও প্রশ্ন থাকলে infouskolkata@vfshelpline.com-এ যোগাযোগ করতে পারো, অথবা ফোন করতে পারো 0120-6611411 নম্বরে। অফিসার ভিসা মঞ্জুর করলে তোমার পাসপোর্টটি রেখে দেবেন। সে ক্ষেত্রে ৫-৭ দিনের মধ্যেই কুরিয়ারের মাধ্যমে ভিসা তোমার কাছে পৌঁছে যাবে।
কোনও কোর্সে যোগ দেওয়ার জন্য যে দিন আমেরিকায় পৌঁছনোর কথা, তার চার মাস আগেই ভিসার আবেদন করা যায়।
https://ceac.state.gov/genniv/ ওয়েবসাইটে গিয়ে ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্মটি পূরণ করা যাবে।
ইন্টারভিউয়ের সময় স্পষ্ট করে বোলো যে পড়া শেষ হয়ে গেলে তুমি দেশে ফিরে আসতে চাও।
বিদেশে ফিল্ম নিয়ে পড়তে চাই। কোথায় পড়া যাবে? ভর্তির শর্ত কী রকম? বৃত্তির সুযোগ কেমন?
উর্মি সরকার, শিলিগুড়ি

আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট কনজারভেটরিতে (http://www.afi.com/conservatory/) সিনেমাটোগ্রাফি, ডিরেক্টিং, এডিটিং, প্রোডিউসিং, প্রডাক্ট ডিজাইন, স্ক্রিন রাইটিং নিয়ে পড়া যেতে পারে। ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটিতে (http://degrees.calstate.edu/) থিয়েটার ফিল্ম অ্যান্ড ডান্স, রেডিয়ো টিভি ফিল্ম, সিনেমা অ্যান্ড টেলিভিশন আর্টস-এর মতো বিষয় নিয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। ভর্তির শর্ত: টোয়েফ্ল। অস্ট্রেলিয়ায় বন্ড, এডিথ কাওয়ান, গ্রিফিথ প্রভৃতি ইউনিভার্সিটিতে ফিল্ম মেকিং ও ডিরেকশন-এর কোর্স পড়ানো হয়। কোর্সের সময়সীমা এক থেকে দুই বছর। ভর্তির শর্ত: যে কোনও শাখায় স্নাতক। আই ই এল টি এস পরীক্ষায় ৬.৫ স্কোর। পোর্টফোলিও থাকলে ভাল। কোনও ক্রিয়েটিভ কাজ দেখাতে পারলে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়। তবে বৃত্তির সুযোগ খুব কম।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সোশিয়োলজিতে পিএইচ ডি করতে চাই। কোথায় পড়া যাবে? খরচ কত? বৃত্তির সুযোগ কেমন?
বিন্দি রায়, বাঁকুড়া

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বহু বিশ্ববিদ্যালয়েই মাস্টার্স এবং পিএইচ ডি, দুটি কোর্সেরই ব্যবস্থা রয়েছে। এমনই কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হল অ্যারিজোনা (http://www.asu.edu/programs/), জর্জিয়া স্টেট (http://www.gsu.edu/degrees_programs_graduate.html), ইলিনয় স্টেট (http://illinoisstate.edu/graduate/), নিউ ইয়র্ক (http://as.nyu.edu/page/deptprogram), ওহায়ো স্টেট ইউনিভার্সিটি (http://www.osu.edu/) ইত্যাদি। পড়ার বার্ষিক খরচ আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। ভর্তি হতে লাগবে জি আর ই জেনারেল টেস্ট এবং টোয়েফ্ল-এর নম্বর। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়েই রিসার্চ এবং টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ পাওয়া যায়। এ ছাড়া অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়েই স্কলারশিপের এবং অন্যান্য আর্থিক সাহায্যের সুযোগ রয়েছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.