পাড়ার মোড়ের মুদিখানা থেকে ফুড বাজার
রিটেল মানে খুচরো ব্যবসা। সহজ কথায়, যেখান থেকে মানুষ ব্যবহার করার জন্য জিনিস কেনে, সেটাই রিটেল। এর উল্টো বাজার হল হোলসেল বা পাইকারি। সেখান থেকে পণ্য কেনা হয় অন্য কোনও বাজারে বিক্রি করার জন্য।
তা হলে, পাড়ার মোড়ের মুদিখানা থেকে ফিউচার গ্রুপের ফুড বাজার সবই রিটেল? হ্যাঁ, কিন্তু, দুটো ভিন্ন জাতের। প্রথমটাকে বলা হয় আনঅরগানাইজড রিটেল, দ্বিতীয়টা অরগানাইজড। ব্যবসার পুঁজির মাপ এদের মধ্যে একটা ফারাক পাড়ার মুদিখানার তুলনায় ফুড বাজারের পুঁজি অনেক বেশি, কিন্তু সেটাই একমাত্র ফারাক নয়। মূল ফারাক হল এদের সংগঠনের চরিত্রে। অরগানাইজড রিটেল কোনও একটি সংস্থার সম্পত্তি, তার একটি স্পষ্ট সাংগঠনিক কাঠামো থাকে। মুদিখানার তা থাকে না।
অরগানাইজড রিটেল আবার দু’ধরনের হতে পারে সিঙ্গল ব্র্যান্ড এবং মাল্টি ব্র্যান্ড। ব্র্যান্ড কাকে বলে, তোমরা তো জানোই। লিভাইস থেকে ল্যাকমে, নেসলে থেকে নোকিয়া এগুলোর সবই ব্র্যান্ড। যে বিপণি শুধুমাত্র একটি ব্র্যান্ডের পণ্যই বিক্রি করে, তাকে সিঙ্গল ব্র্যান্ড রিটেল বলা হয়। নোকিয়া, লিভাইস, সোনি, হলদিরাম এ রকম অজস্র ব্র্যান্ড সিঙ্গল ব্র্যান্ড রিটেল থেকে বিক্রি হয়। আমরা চলতি কথায় একে হামেশাই ‘শো রুম’ বলে থাকি। মাল্টি ব্র্যান্ড রিটেল এর ঠিক উল্টো। সেখানে একই বিপণিতে অজস্র ব্র্যান্ডের জিনিস পাওয়া যায়। শ্যামবাজার মোড়ের ‘কে সি দাস’ যেমন একটি মাল্টি ব্র্যান্ড রিটেল, ‘শপার্স স্টপ’ও তাই। মাল্টি ব্র্যান্ড রিটেলও দু’রকমের হওয়া সম্ভব একটিতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কিন্তু একই প্রজাতির পণ্য পাওয়া যায়, আর অন্যটিতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন এবং বিভিন্ন প্রজাতির পণ্য পাওয়া যায়। প্রথমটির একটা উদাহরণ হল ‘দ্য মোবাইল স্টোর’ এই বিপণিতে অনেক ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন আর তার অ্যাক্সেসরিজ (অর্থাৎ একই প্রজাতির পণ্য) পাওয়া যায়। দ্বিতীয়টির উদাহরণ? বিগ বাজার। দুনিয়ার সবচেয়ে বড় মাল্টিব্র্যান্ড রিটেল চেন-এর নাম জানো? ওয়াল-মার্ট।
লম্বায় ৩ মিটার, চওড়ায় ২ মিটার, ওজন ৯০০ কিলোমিটার। হ্যাঁ, মঙ্গল গ্রহের উদ্দেশে ২৬ নভেম্বর ‘কিউরিয়সিটি’ নামে যে যানটি পাঠাল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা, তা যেন একটা স্পোর্টস কার। ১৯৯৭ সালে প্রথম ‘সোজার্নার’ নামে যে যানটি পাঠানো হয়েছিল, তা সাইজে ছিল একটা ছোট বাক্স বা মাইক্রোওয়েভ আভেন-এর মতো। ২০০৪ সালে পাঠানো হয়েছিল ‘স্পিরিট’ এবং ‘অপরচুনিটি’। গল্ফ কার্ট সাইজের দুই যান। সে তুলনায় ‘কিউরিয়সিটি’ যেন বড়সড় গাড়ি।
এমন যন্ত্র ঠিক ভাবে মঙ্গলের আকাশে পৌঁছানো, তারপর নির্বিঘ্নে তার ওই গ্রহের বুকে অবতরণ নিয়ন্ত্রণ করা, এবং সব শেষে ওখানে ওই রোবটকে দিয়ে পরিকল্পনামাফিক বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা করানো এতগুলি কাজ করতে হবে। পরিকল্পনা থেকে তৈরি এবং উৎক্ষেপণ পর্যন্ত খরচ হয়েছে আড়াইশো কোটি ডলার। এত ব্যয়বহুল উদ্যোগ সফল করতে রীতিমত সিরিয়াস নাসা-র বিজ্ঞানীরা।
পূর্বসূরি ‘সোজার্নার’, ‘স্পিরিট’ কিংবা ‘অপরচুনিটি’-র তুলনায় ‘কিউরিয়সিটি’ বেশি বড় এবং ভারী বলে এর ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা বেশি চিন্তিত। আগের যানগুলি ছোট এবং হাল্কা বলে ওগুলো অবতরণের সময় প্রায় আছড়ে পড়েছিল মঙ্গলের বুকে। এবং সে জন্য পৃথিবীতে বসে টেলিকমিউনিকেশনে ওদের অবতরণ নিয়ন্ত্রণ ততটা ঝক্কির কাজ ছিল না। ভারী বলে ‘কিউরিয়সিটি’কে নামতে হবে অনেক সন্তর্পণে। নিয়ন্ত্রণের কাজটা তাই রীতিমত কঠিন।
২০ কোটি ৫০ লক্ষ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে আগামী বছর ৬ অগস্ট মঙ্গলের বুকে নামবে ওই যান। তার মধ্যে বসানো নানারকম যন্ত্র পরীক্ষা চালাবে গ্রহটির মাটি আর পাথর নিয়ে। সে সবের উপাদান বিশ্লেষণ করে জানতে চাইবে, প্রাণ ধারণের উপযোগী পরিবেশ কখনও ছিল কি-না ওখানে। ওই গ্রহে বায়ুমণ্ডল রীতিমত ক্ষীণ, তাপমাত্রাও খুব কম। ‘কিউরিয়সিটি’ যেখানে নামবে, সেখানকার উষ্ণতা মাইনাস ৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা প্রথমে লক্ষ করেছিলেন, বছরের নানা সময়ে ওই গ্রহের উপরিতলের রং বদলায়। ওঁরা তা থেকে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন যে, ওই গ্রহে চাষবাস চলে। ওই গ্রহের বুকে সরলরেখায় লম্বা দাগ দেখে সেগুলোকে কৃষিকাজে দরকারি মানুষের কাটা খাঁড়ি বলে ভুল করেছিলেন বিজ্ঞানীরা।
১৯৬০-এর দশক থেকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং আমেরিকা উদ্যোগী হয়েছে মঙ্গল গ্রহের আসল পরিস্থিতি জানতে। পাঠানো হয়েছে বহু সন্ধানী উপগ্রহ। তাদের বেশ কিছু বিকলও হয়ে গেছে। ব্যাপারটাকে গবেষকেরা ঠাট্টা করে বলেন ‘মার্স কার্স’ বা ‘মঙ্গল-ঘটিত অভিশাপ’। মঙ্গল অভিযানে ব্যয়ভার কমাতে ২০০৯ সালের অক্টোবরে যৌথ উদ্যোগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নাসা এবং ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি।
সাইরাসমিস্ত্রি
টাটা গোষ্ঠীর নতুন কর্ণধার হবেন সাইরাস মিস্ত্রি। আপাতত তিনি টাটা সন্স সংস্থার ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করবেন।

কানিমোঝি
ছয় মাস তিহার জেলে বন্দী থাকার পর অবশেষে টু-জি স্পেকট্রামে অভিযুক্ত ডি এম কে সাংসদ কানিমোঝি সহ আরও চার জনকে জামিন দিল দিল্লি আদালত।

কনরাডমারে
ইনসমনিয়া থেকে মুক্তি পেতে প্রপোফলের মতো কড়া ওষুধ নেওয়ার কথা জ্যাকসনকে তিনিই বলেন। আদালতে অভিযোগ সাব্যস্ত হওয়ার পর তাই চার বছরের কারাদণ্ড হল মাইকেল জ্যাকসনের চিকিৎসক কনরাড মারে’র।

শত্রুসম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন
বাংলাদেশ সরকার শেষপর্যন্ত শত্রুসম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন পাশ করল। হাসিনা সরকারের সাহসী সিদ্ধান্ত অনুসারে হিন্দুদের রাষ্ট্র অধিকৃত সম্পত্তি ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

দেবআনন্দ
৮৮ বছর বয়সে মারা গেলেন বলিউডের প্রবীণ অভিনেতা ও পরিচালক দেব আনন্দ।

কিউরিয়সিটি
মঙ্গল গ্রহে প্রাণের খোঁজ করতে নতুন অভিযান পাঠাল নাসা। অ্যাটলাস-৫ নামক মহাকাশযান করে সেখানে পাঠানো হচ্ছে রোভার ‘কিউরিয়সিটি’। এটি মঙ্গলে অবতরণ করবে নয় মাস পর।

• আমেরিকায় পাকিস্তানের নতুন রাষ্ট্রদূত হলেন শেরি রহমান।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.