উন্নত দুনিয়ায় মন্দার ছায়া। তারই জেরে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি ৬.৯ শতাংশে নেমে আসা। খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নির প্রস্তাব স্থগিত হওয়া। এই ত্র্যহস্পর্শের মধ্যেই রুপোলি রেখা খ্যদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি প্রায় সাড়ে তিন বছরে সবচেয়ে নীচে নেমে আসা। গত ২৬ নভেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহের জন্য তা কমে হয়েছে ৬.৬ শতাংশ। আর সেটাও মূলত আলু, পেঁয়াজ, গমের মতো রান্নাঘরের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমার হাত ধরে। এক ধাক্কায় খাদ্য সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি এতটা কমে আসায় এক দিকে বোঝা কমেছে আমজনতার। |
অন্য দিকে তা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলার সুযোগ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকেও।
নতুন ফলন বাজারে আসায় শাক-সব্জির দাম কমেছে ১.২৫%। তার মধ্যে পেঁয়াজ কমেছে ৩৯%, আলু প্রায় ১৬%, গম ৫%। আগের সপ্তাহে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ছিল ৮ শতাংশে। গত বছর এই একই সময়ে তা ছিল ৯ শতাংশের কাছাকাছি। তবে এখনও ফল, ডাল, ডিম, দুধ, মাছ, মাংসের দাম ঊর্ধ্বমুখী।
খাদ্যের দাম কমে আসার এই প্রবণতা বজায় থাকলে গত ১১ মাস ধরে ৯ শতাংশের ওপরে থাকা সার্বিক মূল্যবৃদ্ধির হারও নেমে আসবে বলে ইঙ্গিত। প্রসঙ্গত, সার্বিক মূল্যবৃদ্ধিতে খাদ্য সামগ্রীর গুরুত্ব ১৪ শতাংশের মতো। তাই আগের সপ্তাহের ৮ শতাংশ থেকে এই মূল্যবৃদ্ধি ১৪০ বেসিস পয়েন্ট পড়ায় সার্বিক মূল্যবৃদ্ধিও প্রায় ২১ বেসিস পয়েন্ট পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন পরিসংখ্যানবিদরা। তবে অন্য জিনিসপত্রের দামের ওঠা-পড়া বাদ দিয়েই এই প্রাথমিক হিসাব করা হয়েছে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তার ঋণনীতি পেশ করার আগে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি বেশ কিছুটা নেমে আসায় এ বার শীর্ষ ব্যাঙ্ক আর সুদ বাড়ানোর পথে না-ও হাঁটতে পারে বলে ইঙ্গিত। |