কোচবিহার ভিক্টর প্যালেসে রাজবংশী অ্যাকাডেমি গড়ার প্রস্তুতি শুরু হতেই রেস্তোরাঁর জন্য কেনা আসবাবপত্র দক্ষিণবঙ্গে সরাতে তৎপর হয়েছে রাজ্য পর্যটন উন্নয়ন নিগম। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন পর্যটক আবাসে প্রয়োজনীয়তা থাকলেও কেন সেগুলি দক্ষিণবঙ্গে পাঠানো হবে তা নিয়ে নিগমের অন্দরেই বিতর্ক দেখা দিয়েছে। নিগমের উত্তরবঙ্গের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ভিক্টর প্যালেসের জন্য কেনা শীতাতপ নিয়ন্ত্রক মেশিন, গিজার, টেলিভিশন-সহ যাবতীয় সরঞ্জাম দক্ষিণবঙ্গে না পাঠানোর ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। তবে খাট, আলমারি, সোফা, চেয়ারের মত সরঞ্জাম দক্ষিণবঙ্গে ব্যারাকপুরে নিগমের নতুন অতিথি নিবাসে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া জারি রয়েছে। নিগমের জেনারেল ম্যানেজার দেবল ঘোষের বক্তব্য, “এই বিষয়ে যা বলার ম্যানেজিং ডিরেক্টর বা দফতরের সচিবই যা বলার বলবেন। সংবাদমাধ্যমে আমি কোনও মন্তব্য করব না।” কোচবিহারের জেলাশাসক মোহন গাঁধী বলেন, “নিগমের কর্তারা জানিয়েছেন ভিক্টর প্যালেসে লজ হচ্ছে না বলে আসবাবপত্র ব্যারাকপুরে নেওয়া হচ্ছে। নিগম কর্তৃপক্ষই বিষয়টি দেখছেন।” নিগম সূত্রের খবর, রাজাদের আমলের তৈরি কোচবিহার সাগরদিঘির পাশের ভিক্টর প্যালেস সংস্কার করে রেঁস্তোরা তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছিল বাম সরকার। পরিকল্পনা মাফিক রাত্রিবাসের পরিকাঠামো গড়া হয়। আধুনিক আসবাবপত্রও কেনা হয়। শেষ পর্যন্ত তা চালু হয়নি। নতুন রাজ্য সরকার পরিকল্পনা বদলে প্যালেসে রাজবংশী অ্যাকাডেমি গড়ার প্রস্তাব নিয়েছে। তার পরেই আসবাবপত্র দক্ষিণবঙ্গে সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তা সরানো হচ্ছে ব্যারাকপুরে। উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সের মালবাজার ও কালিম্পঙের হিলটপে নিগমের পর্যটক আবাসে জিনিসপত্র দরকার থাকলেও কেন তা দক্ষিণবঙ্গে পাঠানো হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। |
নিগমের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার অমিতাভ দত্ত বলেন, “আসবাবপত্র ব্যারাকপুরে পাঠানোর নির্দেশ এসেছে বলে শুনেছি। তবে বৈদ্যুতিন সব সরঞ্জাম উত্তরবঙ্গের লজগুলিতে যাতে দেওয়া হয়, সেই বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।” দফতরের কয়েকজন আধিকারিক জানান, মালবাজারের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, কালিম্পঙে হিলটপে গিজার-সহ নানা জিনিসপত্রের প্রয়োজন রয়েছে। অন্য কিছু লজেও খাট, আলমারি, সোপার চাহিদা রয়েছে। ১৮৯৪-৯৫ সালে ইতালির দূর্গের অনুকরণে ভিক্টর প্যালেস তৈরি হয়। প্রথমে ‘দেওয়ানখানা’ হিসাবে তৈরি হলেও পরে সেখানে প্রিন্স ভিক্টর নিত্যেন্দ্রনারায়ণ সপরিবারে থাকতেন। |