ক্রমশ কমে যাওয়া অতিথিদের অ্যাপায়নে উদ্যোগী বনদফতর। কোচবিহারে রসিকবিল, সাগরদিঘির জলায় এবার পরিযায়ীর আনাগোনা শুরু হতেই বিষয়টি নিয়ে তৎপর হেয়েছেন বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন। রসিকবিলে ১৭৮ হেক্টর এলাকা জুড়ে উত্তরবঙ্গে সবচেয়ে বড় জলাভূমি রয়েছে। নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত পরিযায়ীদের টানে পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ে। ২০০৩-০৪ সালেও ৭-৮ হাজার পাখির দেখা মিলত। গত মরসুমে চার হাজারে নেমে আসে। পাখি ও পরিবেশপ্রেমী মহলের অভিযোগ, দুটি জলাশয়েই দূষণ বাড়ায় পাখির সংখ্যা কমেছে। বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন বলেন, “জলাশয়গুলিতে মাছ ধরা-সহ শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে কড়া ব্যবস্থা নিতে জেলাশাসককে বলেছি।”
|
রাস্তা চওড়া করতে গাছ-নিধন দিনহাটায় |
রাস্তা চওড়ার জন্য দিনহাটায় দেড় শতাধিক গাছ কাটার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। দিনহাটা থেকে গীতালদহ পর্যন্ত প্রায় ১২ কিমি রাস্তার দু’ধারে থাকা চারটি পঞ্চায়েত এলাকার আওতাধীন ওই গাছ চিহ্নিতকরণের কাজও অনেকটা এগিয়েছে। গামারি, আম, কাঁঠাল, ঘোরানিম, কদম, শিমুল, জিগা প্রভৃতি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কাটার ব্যাপারে বন দফতরের ছাড়পত্র চেয়ে আবেদন জানানোর ব্যাপারেও সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা তুঙ্গে উঠেছে। গোটা ঘটনায় তিনহাটার বিভিন্ন মহল তো বটেই, কোচবিহার জেলা জুড়ে পরিবেশপ্রেমী মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বির্তকের জেরে গাছ কাটার কাজ শুরু করার আগে বাসিন্দাদের মত যাচাইয়ে গণভোটের দাবিও উঠেছে। কোচবিহারের জেলাশাসক মোহন গাঁধী বলেন, “ওই ব্যাপারে পূর্ত দফতরের সঙ্গে কথা বলব।” প্রশাসন ও পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনহাটা থেকে গীতালদহ পর্যন্ত যাতায়াতের পাকা রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য আরআইএফ-১৬ প্রকল্পের ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ওই রাস্তা ২ মিটার চওড়ার পরিকল্পনা নেয় পূর্ত (রোড) দফতর। কোচবিহারে দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অমিত সাহা বলেন, “ওই কাজের টেন্ডারও হয়েছে। কিন্তু রাস্তার ধারে কিছু গাছ থাকায় শুরু সমস্যা হচ্ছে।” দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেন, “দিনহাটায় রাস্তা চওড়া করা ছাড়া উপায়ও তো নেই। কিন্তু এই জন্য যত গাছ কাটা হবে, তার দ্বিগুণ চারা লাগাতে সরকারের উদ্যোগী হওয়া দরকার।” |