উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থায় (এনবিএসটিসি) নিয়মিত এবং পুরো বেতনের দাবিতে এবার রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করেছে কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি। আন্দোলনে ‘নৈতিক সমর্থন’ জানিয়েছে তৃণমূলে শ্রমিক সংগঠন। সোমবার শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি ডিপো-সহ সংস্থার সমস্ত ডিপোতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে আইএনটিইউসি-র এনবিএসটিসি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন। সংগঠনের অভিযোগ, সেপ্টেম্বর মাসের অর্ধেক বেতন বকেয়া রেখেই অক্টোবর মাসের বেতন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। যদিও পুরো বেতনের মাত্র ৭৪ শতাংশ বেতন দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এমনকী, ‘পে স্লিপে’ পুরো বেতন দেখানো হলেও কর্মীদের ব্যাঙ্ক আকাউন্টে ২৬ শতাংশ কম টাকা জমা পড়েছে। নভেম্বর মাসের বেতন এখনও বকেয়া রয়েছে। একাংশ অফিসারদের জন্যই এনবিএসটিসি’র অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে বলে সংগঠনের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন। সংস্থার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ অবশ্য বলেন, “অভিযোগ ঠিক নয়। বাম আমলে তো সম্পত্তি বিক্রি করে পর্যন্ত বেতন দিতে হয়েছে। কর্মীরা নিজেদের ঠিকঠাক দায়িত্ব পালন করুন। তাতেই সংস্থার আয় বাড়বে। সেক্ষেত্র নিয়মিত বেতন হবে।” এনবিএসটিসি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সত্যানন্দ দত্তের অভিযোগ, “পুরোটাই তো প্রতারণা মনে হচ্ছে। এতে তো নিয়মিত বেতন নেই। তার উপরে কাগজে পুরো বেতন এবং ব্যাঙ্কে ৭৪ শতাংশ বেতন জমা করা হচ্ছে। আমরা রাজ্যে জোট শরিক তাই গাড়ি বন্ধ করে আন্দোলন করিনি। কিন্তু এমন হতে থাকলে তো আমাদের অন্য রকম ভাবতে হবে।” তৃণমূল প্রভাবিত কর্মী সংগঠনের পক্ষে আইএনটিইউসির দাবিকে যথার্থ বলে জানিয়ে নৈতিক সমর্থন জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে তাঁরাও আন্দোলনে নামবেন বলে জানিয়ে দিয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমটির সদস্য হৃদয় অধিকারী বলেন, “আইএনটিইউসি’র বক্তব্য শুনেছি। ওঁরা প্রশাসনিক আধিকারিকদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নয়। নিয়মিত বেতনের দাবি আমাদেরও রয়েছে। আমরা অপেক্ষা করছি। সমস্যার সমাধান না হয় তবে আমরাও আন্দোলন করব।” সংগঠনের জলপাইগুড়ি ডিপো সম্পাদক কল্যাণ দাস বলেন, “নিয়মিত বেতন না পেয়ে কর্মীদের পরিবার অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে সংস্থার প্রশাসনিক কর্তাদের কোনও হুঁশ নেই। সেপ্টেম্বর মাসের অর্ধেক বেতন বকেয়া রেখে অক্টোবর মাসের কিছু বেতন দিয়ে দেওয়া হল।” একই দাবিতে এর আগে সিটুর শ্রমিক সংগঠন বিক্ষোভ সমাবেশ করেছিল। এ বার রাজ্য সরকারের শরিক দল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন পথে নেমে বিক্ষোভ করল। স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে ৫ হাজারের উপর কর্মী আছেন। |