|
|
|
|
অলচিকিতে পঠনপাঠন শীঘ্রই, আশ্বাস মমতার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
আদিবাসী ছাত্রছাত্রীরা যাতে অলচিকি লিপির মাধ্যমে স্কুলের লেখাপড়া করতে পারে, রাজ্য সরকার তার ব্যবস্থা করছে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার জানিয়েছেন। রবীন্দ্র সদনে ‘আদিবাসী সাংস্কৃতিক উৎসব, ২০১১’-র উদ্বোধন করে তিনি জানান, চলতি শিক্ষাবর্ষে অলচিকি লিপিতে পঠনপাঠন চালু করা সম্ভব হয়নি। তবে ২০১২-’১৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে যাতে তা চালু করা যায়, সেই চেষ্টা শুরু করেছে সরকার।
অনুষ্ঠানের শুরুতে খুদে আদিবাসী পড়ুয়ারা সাঁওতালি ভাষায় রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনায়। মুখ্যমন্ত্রী ওই খুদে পড়ুয়াদের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “যে-কোনও মানুষের কাছেই নিজের ভাষায় লেখাপড়া করা অনেক বেশি সহজ। এখনও অলচিকি লিপিতে পাঠ্যক্রম তৈরি করা সম্ভব হয়নি। তাই যাঁরা অলচিকি জানেন, তাঁদের এগিয়ে আসতে হবে। অলচিকি লিপিতে পাঠ্যক্রম তৈরি করা হবে।”
শুধু আদিবাসীদের পড়াশোনার পথ সুগম করাই নয়, এ দিন বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী ফের জঙ্গলমহলে শান্তির বার্তাও পৌঁছে দিতে চেয়েছেন। তিনি জানান, জঙ্গলমহলে নানা ধরনের উন্নয়নমূলক কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আগে দরকার শান্তি। জঙ্গলমহলের মানুষদের শান্তির দিশা দেখাতে হবে। তিনি বলেন, “শান্তি না-হলে উন্নয়ন হয় না, প্রগতি হয় না। আগে চাই শান্তি।”
রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতর আয়োজিত আদিবাসী উৎসবের ব্যবস্থা সব জেলাতেই করার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় প্রধানত আদিবাসীদের নিয়ে গঠিত ১৫১টি প্রাথমিক সমবায় সমিতি বা ল্যাম্পস-এর জেলা-ভিত্তিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছিল অনেক দল। সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতা চলে। চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছয় ১৯টি দল। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ওই সব সাংস্কৃতিক দলের প্রায় ৩০০ আদিবাসী শিল্পী এ দিনের অনুষ্ঠানে সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন।
আগামী ১২ জানুয়ারি বিবেকানন্দের জন্মদিনে ঝাড়গ্রামে যুবমেলা শুরু হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর ওই দিন ঝাড়গ্রামে যাওয়ার কথা। |
|
|
|
|
|