|
|
|
|
পশ্চিম মেদিনীপুর |
পানীয় জলের জন্য বরাদ্দ ৩৬টি স্কুলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পশ্চিম মেদিনীপুরের বহু স্কুলেই পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। কোথাও নলকূপ থাকলেও হয়তো অকেজো। স্কুল-চত্বরে পানীয় জলের ঠিকঠাক বন্দোবস্ত না-থাকলে ছাত্রছাত্রীরা সমস্যায় পড়ে। মিড-ডে মিলের রান্না নিয়েও সমস্যা দেখা দেয়। এই পরিস্থিতিতে জেলার ৩৬টি আপার-প্রাইমারি স্কুলে পানীয় জলের বন্দোবস্ত করতে উদ্যোগী হল প্রশাসন।
সর্বশিক্ষা মিশনের বরাদ্দ অর্থে ওই স্কুলগুলিতে একটি করে গভীর নলকূপ তৈরি হবে। যত দ্রুত সম্ভব এ কাজ শুরু করার চেষ্টা চলছে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “প্রতিটি স্কুলেই পানীয় জলের জোগান সুনিশ্চিত করা হবে। আপাতত সর্বশিক্ষা মিশনের বরাদ্দ অর্থে জেলার ৩৬টি আপার-প্রাইমারি স্কুলে একটি করে গভীর নলকূপ তৈরি হবে। পরে আরও বেশ কয়েকটি স্কুলে নলকূপ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।” ৩৬টি স্কুলে নলকূপ তৈরির জন্য সব মিলিয়ে খরচ হবে ৩৭ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা। এই পরিমাণ অর্থ ইতিমধ্যেই বরাদ্দ করা হয়েছে। সর্বশিক্ষা মিশনের ভারপ্রাপ্ত জেলা আধিকারিক শাশ্বতী দাস বলেন, “স্কুলগুলিতে পানীয় জলের সমস্যা মেটাতেই এই উদ্যোগ।”
স্কুল চত্বরে গভীর নলকূপ তৈরি করার জন্য বহু স্কুল থেকেই জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন এসেছিল। সেই সব আবেদন খতিয়ে দেখে আপাতত ৩৬টি স্কুলে পানীয় জলের জোগান সুনিশ্চিত করতে তৎপর হয়েছে প্রশাসন। অর্থ বরাদ্দের পাশাপাশি কী ভাবে কাজ এগোতে হবে, কত দিনের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে, সে সংক্রান্ত নির্দেশিকাও জারি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে দু’ভাবে অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। যে এলাকায় মাটি বেশি শুকনো, সেখানে এক-একটি নলকূপ তৈরির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা। আর যে এলাকার মাটি ততটা শুকনো নয়--সেখানে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮২ হাজার টাকা। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “শুকনো এলাকায় জলের জোগান পেতে অনেক গভীর পর্যন্ত পাইপ নিয়ে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে খরচ বেশি হবে।” তাঁর কথায়, “সাধারণত গভীর নলকূপ তৈরির ক্ষেত্রে ১৩০ থেকে ১৪০ মিটার গভীর পর্যন্ত পাইপ নিয়ে যেতে হয়। কিন্তু, শুকনো এলাকায় জল পেতে হলে ২০০ মিটারও খুঁড়তে হতে পারে।” জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, যে ৩৬টি স্কুলে নলকূপ তৈরি হবে তার মধ্যে জঙ্গলমহল এলাকার ১৪টি স্কুল রয়েছে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই এ কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। |
|
|
|
|
|