এক সপ্তাহ কেটে গেলেও করলা নদীতে মাছের মড়কের তদন্ত রিপোর্ট পায়নি রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। সে কারণে ফের জেলা পুলিশকে দ্রুত তদন্ত শেষ করার আর্জি জানিয়ে চিঠি দিয়েছে পর্ষদ। তদন্ত রিপোর্ট জানানোর পাশাপাশি করলা-সহ জেলার কোনও নদীতেই যাতে এমন ধরনের বিষাক্ত কীটনাশক না ফেলা হয় তার জন্য নজরদারি চালানোর কথাও জানিয়েছে পর্ষদ। জেলা পুলিশের তরফে তদন্ত করে একটি প্রাথমিক রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। ওই রিপোর্টে নদী লাগোয়া কিছু চা বাগান বিশেষত যে সব বাগানে নতুন করে চা গাছ লাগানোর কাজ চলছে সেগুলিকে সন্দেহভাজনের তালিকায় রাখা হয়েছে। সোমবার রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান বিনয়কান্তি দত্ত কলকাতা থেকে টেলিফোনে বলেন, “করলায় মাছের মড়কের তদন্ত চেয়ে দুটি অভিযোগ পুলিশে দায়ের করা হয়েছে। সেই অভিযোগের উল্লেখ করে পুলিশ প্রশাসনকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট জানাতে বলা হয়েছে জেলা পুলিশকে। দ্রুত তদন্ত শেষ করার আর্জি জানানো হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।” জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার সুগত সেন বলেন, “নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। একটি প্রাথমিক রিপোর্ট তৈরি হয়েছে। সেটি পর্ষদকে পাঠানো হবে। আমরাও চাইছি দ্রুত তদন্ত শেষ করতে।” |
করলা নদীর জলের নমুনা পরীক্ষা করে নদীর জলে সাত রকমের কীটনাশকের বেশি মাত্রায় মিশে থাকার প্রমাণ পেয়েছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। এদিন পুলিশ সুপার বলেন, “আকাশ থেকে তো আর কীটনাশক নদীতে মেশেনি। যে বা যারা এই ঘটনায় জড়িত তাদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” শনিবার ও রবিবারের মতো সোমবারেও করলা নদীতে তিস্তার জল ফেলার কাজ হয়েছে। সেই সঙ্গে করলা নদী খাতে জমে থাকা আবর্জনা সরানো, চর কেটে ফেলার কাজও শুরু হয়েছে। তদন্ত কতদূর এগিয়েছে তার নিয়মিত খোঁজ রাখছে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনও। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক স্মারকী মহাপাত্র বলেন, “পুলিশ তদন্ত করছে। আমরাও যোগাযোগ রাখছি। করলা নদীতে তিস্তার জল নিয়ে ফেলার কাজ চলছে। নদীর জলকে বিষমুক্ত করার কাজ চালিয়ে যাওয়া হবে।” করলা নদীতে মৃত মাছের নমুনা পরীক্ষার কাজ করছে মৎস্য দফতরও। তবে তাদের কাছে এখনও রিপোর্ট পৌঁছয়নি। মৎস্য দফতরের সহকারী অধিকর্তা সোনম সেওয়া বলেন, “কলকাতায় মাছের পরীক্ষা চলছে। এখনও রিপোর্ট পাইনি।” |