খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় আরও সতর্ক থাকা উচিত ছিল বলে এ বার কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে থেকেই অভিযোগ উঠল।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগকারী সংস্থাগুলিকে ৩০ শতাংশ পণ্য স্থানীয় ব্যবসায়ীদের থেকে কিনতে হবে। কিন্তু তাদের ৩০ শতাংশ পণ্য পাইকারি দামে মুদি দোকানগুলিকে বেচতে হবে, এমন কোনও শর্ত রাখা হয়নি। অথচ ওয়ালমার্ট ও ক্যারেফোরের তরফেও কেন্দ্রকে জানানো হয়েছিল, খুচরো ব্যবসার সঙ্গে পাইকারি ব্যবসাতেও আরও বিনিয়োগ করতে তারা রাজি আছে। এ নিয়ে কংগ্রেসের কিছু সাংসদ আগেই মুখ খুলেছিলেন। এ বার সরকারের মধ্যে থেকেই অভিযোগ উঠেছে, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বা মুদি দোকানের মালিকদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার চাইলে পাইকারি বিক্রি নিয়ে ওই শর্ত রাখতে পারত। মোট বিক্রির একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ পাইকারি দামে মুদি দোকানের মালিক বা ক্ষুদ্র ব্যসায়ীদের কাছে বেচতে হবে প্রাথমিক প্রস্তাবে এই শর্তটি ছিলই। বাণিজ্য মন্ত্রক জানাচ্ছে, বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য শিল্পনীতি উন্নয়ন দফতর একটি খসড়া তৈরি করেছিল। সেই অনুযায়ী আলোচনার সময় প্রস্তাব ওঠে, ৩০ শতাংশ পণ্য পাইকারি দরে মুদি দোকানগুলিকে বিক্রির শর্ত রাখা হোক। বিদেশি খুচরো ব্যবসায়ী সংস্থাগুলিও আপত্তি করেনি এতে। তবু সেই শর্ত বাদ দেওয়া হয়। ওই শর্ত রাখা হলে আজ যে ভাবে মুদি দোকানের মালিক বা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলি সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে, সেটা সম্ভব হত না। প্রশ্ন হল, ওই শর্ত রাখা হলে কী লাভ হত? বাণিজ্য মন্ত্রকের বক্তব্য, ধরা যাক বড় বা মাঝারি মাপের ডিস্ট্রিবিউটর প্রস্তুতকারক সংস্থার থেকে ৭ টাকা দরে সাবান কিনে মুদি দোকানের মালিককে ৯ টাকায় বেচে। মুদি দোকানের মালিক তা বেচেন ১০ টাকায়। কিন্তু প্রচুর পরিমাণে কেনে বলে বিদেশি সংস্থাগুলি ৫ টাকা দরেও সাবান কেনার চুক্তি করতে পারে ও লাভ রেখেও তারা মুদি দোকানের মালিককে ৭ টাকায় তা বিক্রি করতে পারে। তাতে মুদি দোকানের মালিক ক্রেতাকে কিছুটা ছাড় দিয়েও আগের তুলনায় বেশি লাভ রাখতে পারত। ক্রেতা ও মুদি দোকানের মালিক, উভয়েই লাভবান হতেন। |