ন্যাটোর হামলায় ২৪ পাক সেনা নিহত হওয়ার প্রতিবাদে বন সম্মেলন বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তান। আফগানিস্তানের নিরাপত্তা, পুনর্গঠন, তালিবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করার মতো বিষয় নিয়ে জার্মানির বন শহরে এই সম্মেলনে আলোচনা হওয়ার কথা। সুতরাং, এই আলোচনায় পাকিস্তানের অনুপস্থিতির ‘সুদূর প্রসারী প্রভাব’ রয়েছে বলেই কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা। তাই শেষ পর্যন্ত ওয়াশিংটন চেয়েছিল, ইসলামাবাদ এই সম্মেলনে যোগ দিক। আর তার জন্যই পাকিস্তানের দাবি মতো আফগানিস্তানের শামসি বিমানঘাঁটি দ্রুত ছেড়ে দেওয়ার ‘প্রতিশ্রুতি’ও ওয়াশিংটন দিয়েছিল। কিন্তু তাতেও বরফ গলল না।
সম্প্রতি ন্যাটোর হামলায় পাক সেনা নিহত হওয়ার পর ইসলামাবাদ দাবি করেছিল, ন্যাটো এবং মার্কিন সেনা ড্রোন হানার জন্য বালুচিস্তানের শামসি বিমানঘাঁটি ব্যবহার করছে। তাই ইসলামাবাদের দাবি ছিল, ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে ওই বিমানঘাঁটি মার্কিন সেনাকে ছেড়ে দিতে হবে। পাকিস্তানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ক্যামেরন মান্টের এ মর্মে পাক টিভি চ্যানেলে একটি বিবৃতিও দিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন নির্ধারিত দিনেই শামসি বিমানঘাঁটি ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এরই মধ্যে, মার্কিন বিদেশ সচিব হিলারি ক্লিন্টন পাক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানিকে বন সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন। কিন্তু গিলানি জানিয়ে দেন, ন্যাটোর হামলার প্রতিবাদেই তাঁরা সম্মেলন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিতে আজ জানানো হয়, ইসলামাবাদ চায়, আফগানিস্তানে শান্তি এবং স্থিতি ফিরে আসুক। কিন্তু একই সঙ্গে, এই সম্মেলনে যোগ না দিয়ে বিশ্বকে এই বার্তাই ইসলামাবাদ দিতে চাইছে, যে তাদের কাছে দেশের সার্বভৌমত্ব সব চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং কোনও পরিস্থিতিতেই তারা এর সঙ্গে আপস করবে না। |