ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় যোগ কাল মঙ্গলবার দিতে মুর্শিদাবাদে আসছে বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব ১৭ জাতীয় ক্রিকেট দল। ২৩ ও ২৪ নভেম্বরের এই ম্যাচের প্রস্তুতিও চলছে জোরকদমে। বহরমপুর স্টেডিয়াম ময়দানে বাংলা একাদশের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে তারা। ম্যাচ উপলক্ষে ঢেলে সাজছে বহরমপুর স্টেডিয়াম। আয়োজক সংস্থা মুর্শিদাবাদ ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে তরুণ দত্ত বলেন, “গত দেড় মাস ধরে পিচ তৈরির কাজ চলছে। সেই সঙ্গে মাঠে ঘাস ছেঁটে নতুন চেহারা দেওয়া হচ্ছে।”
ক্রিকেট ম্যাচের মধ্যে দিয়ে দুই বাংলার মধ্যে ‘সৌভ্রাতৃত্ব’ আরও মজবুত করে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যেই বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব ১৭ জাতীয় ক্রিকেট দল গত ১২ নভেম্বর কলকাতায় এসে পৌঁছায়। তারা গত ১৪ নভেম্বর কলকাতায় এক দিনের ম্যাচ খেলেছে। পাশাপাশি ১৬ ও ১৭ নভেম্বর নদিয়ার গয়েশপুরে দু-দিনের ম্যাচ এবং গত ১৯ নভেম্বর চাকদহে এক দিনের ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশের দলটি। সোমবার চুঁচুড়াতে ম্যাচ খেলে তারা বহরমপুরে এসে পৌঁছাবে। এর পরে দু-দিনের ম্যাচের পরে তাদের গন্তব্য বীরভূম। বীরভূমের সিউড়িতে আগামী ২৬-২৭ নভেম্বর দু-দিনের ম্যাচ খেলে ওই ক্রিকেট দল আগামী ২৯ নভেম্বর ফিরে যাবে ঢাকা।
এর আগে ২০১০ সালে বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব ১৫ জাতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গে বাংলা একাদশের ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছিল বহরমপুর স্টেডিয়ামে। ম্যাচের অনেক আগেই বাংলা-বাংলাদেশের ম্যাচকে ঘিরে বহরমপুরের ক্রিটেকপ্রেমীদের মধ্যে বাড়তি আগ্রহ তৈরি হয়েছে। ক্রিকেটপ্রেমীদের আগ্রহের কথা মাথায় রেখে স্টেডিয়ামের দর্শকাসন সাফ-সুতরো করার কাজেও চলছে জোর কদমে।
সেনাবাহিনীর জওয়ান নিয়োগের জন্য পুলিশ প্রশাসনের তরফে স্টেডিয়ামটি ভাড়া নেওয়া হয়। ফলে গত ফুটবল মরশুমে লিগ থেকে বিভিন্ন ফুটবল প্রতিযোগিতা স্টেডিয়াম থেকে ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারা অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য হন। দুই বাংলার এই খেলার আগে মাঠটিকে পুরনো চেহারায় ফিরিয়ে আনার ব্যস্ততাও তুঙ্গে। দুই বাংলার ম্যাচের দিকে তাকিয়ে তাই গত দেড় মাস ধরে মাঠ তৈরির কাজ চলছে। পিচ তৈরি থেকে রোলার চালিয়ে মাঠ সমান করার পাশাপাশি ঘাস ছাঁটা চলছে। মাঠ সমান করার জন্য বহরমপুর পুর কর্তৃপক্ষ বিনা পারশ্রমিকে রোলার দিয়ে সহায়তা করেছে।
তরুণবাবু বলেন, “বহরমপুরে দু-দিনের ম্যাচে ৯০ ওভার খেলা হবে। ১৫ জন ক্রিকেটার এবং মিলিয়ে ১৯ জনের বাংলাদেশ ক্রিকেট দল বহরমপুরে আসবে। আর বাংলা একাদশে রয়েছে ১৫ জন ক্রিকেটার-সহ কোচ-কর্মকর্তা মিলিয়ে ২০ জন।” উভয় দলকেই বহরমপুরে দু’টি পৃথক হোটেলে রাখার বন্দোবস্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে ম্যাচ পরিচালনার জন্য সিএবি-র তরফে ৩ জন আম্পায়ার, ২ জন স্কোরার এবং পর্যবেক্ষক মাঠে হাজির থাকবেন। |