ডাকঘর
হারিয়ে গিয়েছে আকাশপ্রদীপ
নদিয়ার মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পৃষ্ঠপোষকতায় এক সময় বাংলায় আকাশপ্রদীপ দেওয়ার প্রথা ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল। গ্রাম বাংলার প্রাচীন ওই সংস্কৃতি আজ বিলুপ্ত-প্রায়। খুব লম্বা বাঁশের মাথায় রঙিন কাগজের বাক্স আটকে তার মধ্যে বড় একটি পঞ্চমুখি প্রদীপ জ্বালানো হত। জলন্ত ওই প্রদীপ-সহ বাঁশটি বাড়ির ছাদে খাঁড়া করে রাখা হত। আশ্বিন মাসের সংক্রান্তি থেকে এক মাস ধরে প্রতি দিন জ্বলত ওই আকাশপ্রদীপ। সময়ের সঙ্গে ওই ধারায় পরিবর্তন এসছে। এখন প্রদীপের বদলে বাঁশের মাথায় বৈদ্যুতিন আলো জ্বালানো হয়। প্রচলিত ধারণা অনুসারে, পূর্ব পুরুষের আত্মার প্রতি আলো দেখাতে হিন্দু পরিবারে আকাশপ্রদীপ জ্বালানোর প্রথা চালু হয়। অনেকে আবার মনে করেন, এ সময় মাঠে ধান পাকে, তাই লক্ষ্মী-নারায়ণের উদ্দেশ্যে দীপ দান করা হয় যাতে দেবদেবীরা আলোতে পথ চিনে গৃহস্থের ঘরে যেতে পারেন। অন্য মতে আকাশপ্রদীপের আলো আসলে দেবসেনাপতি কার্তিককে দেখানোর জন্য জ্বালানো হয়। কারণ, কার্তিক ওই সময় মাঠের ফসল পাহারা দেন। তবে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে দেখলে, শ্যামা পোকার উপদ্রব থেকে রেহাই পেতে এক মাস ধরে আকাশপ্রদীপ জ্বালানোর প্রথা চালু হয়। কারণ, ওই পোকা আলোর উৎসে জড়ো হয় ও তারপর মারা যায়। বর্তমানে ওই প্রথাটি বিলুপ্ত-প্রায়। এক মাসের বদলে প্রথাটি এখন এক দিনে এসে ঠেকেছে। দ্বীপান্বিতা অমাবস্যার আগের দিন সন্ধ্যায় ১৪টি প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রথা পালন করা হয় মাত্র।
বালি পাথরের বাজার
বহরমপুর শহরে এফইউসি মাঠের চারপাশের বেআইনি দোকান ও দখলদার উচ্ছেদে পুরসভার তৎপরতা দেখেছি। কিন্তু বেশ কিছু দিন ধরে সমবায়িকা মোড় থেকে এফইউসি মাঠের পাঁচিলের পাশ দিয়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের প্রায় বুক পর্যন্ত বালি ও পাথর বোঝাই লরির দৌরাত্মে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা নাজেহাল।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.