আফসোস প্রাক্তন সিবিআই কর্তার
উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া যায়নি আজহারদের
ব্রিটেন পারে, কারণ উপযুক্ত আইন আছে। ভারত পারেনি, কারণ ম্যাচ গড়াপেটা সংক্রান্ত কোনও আইনই নেই।
আর সে কারণেই আজও আফসোস করেন সিবিআইয়ের প্রাক্তন ডিরেক্টর কে মাধবন। বফর্স, রাজীব গাঁধী হত্যা, ইউনিয়ন কার্বাইড গ্যাস কেলেঙ্কারির মতো মহাচাঞ্চল্যকর মামলায় গোয়েন্দাগিরির জন্য বিখ্যাত মাধবনকে ক্রিকেট জগত চেনে ২০০০ সালে ভারতীয় ম্যাচ ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িত ক্রিকেটারদের শাস্তিদানের নেপথ্য নায়ক হিসেবে। ওই কেলেঙ্কারির তদন্ত করেছিলেন তিনি। দেখেছিলেন, স্রেফ উপযুক্ত আইনের অভাবেই এ দেশে ম্যাচ গড়াপেটা করেও গারদের বাইরে থাকা যায়। এমনকী অভিযুক্তদের আদালতেও টেনে নিয়ে যাওয়া যায় না। যে
কে মাধবন
অপরাধের জন্য লন্ডনের জেলে ঘানি ঘোরাতে হচ্ছে সলমন বাট-মহম্মদ আসিফদের, ভারতে বসে সেই অপরাধ করলে কারাবাস স্বচ্ছন্দে এড়িয়ে যেতে পারতেন তাঁরা। মাধবনের কথায়, “আমাদের কিছু করার ছিল না। আমাদের দেশে এই অপরাধের সাজা দেওয়ার মতো উপযুক্ত আইন নেই। তদন্তে নেমে অসহায় লাগেনি। পরে লেগেছিল, যখন বুঝলাম উপযুক্ত আইনের অভাব রয়েছে এ ক্ষেত্রে।” আজ আনন্দবাজারকে এক একান্ত সাক্ষাৎকারে মাধবন লন্ডনের আদালতের রায়কে বলছেন ‘ট্রেন্ডসেটার।’ ম্যাচ গড়াপেটা নিয়ে তাঁর তদন্ত রিপোর্টে অভিযুক্তদের সকলের ‘অপরাধ’ই বিস্তারিত ভাবে লিখেছিলেন মাধবন। তাঁর মতে, ভারতে ইংল্যান্ডের মতো কোনও আইন নেই বলেই ম্যাচ গড়াপেটা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েও আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে গিয়েছিলেন আজহার-জাডেজারা। ইংল্যান্ড ৩ নভেম্বর যা করে দেখিয়ে দিল, এগারো বছর আগে ভারত সেই একই সুযোগ পেয়েও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে পারেনি। আর তা নিয়ে আজ এত বছর পরেও আফসোস যায়নি মাধবনের।
তবে বাটদের শাস্তির ফলে ক্রিকেটবিশ্ব গড়াপেটা মুক্ত হয়ে যাবে এমন ভাবনায় মোটেই আস্থা নেই মাধবনের। “তা হলে তো কেউ ফাঁসি যাওয়ার পরবর্তী কালে গোটা দেশে খুন-খারাবি বন্ধ হয়ে যেত! অপরাধ কখনও পুরোপুরি উচ্ছেদ হয় না, কমতে পারে,” যুক্তি তাঁর। কিন্তু আইন নেই বলে কি ভারত হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকবে? মাধবনের বক্তব্য, ব্রিটেনেই ২০০৫ সালে প্রণয়ন হয়েছে ‘গ্যাম্বলিং অ্যাক্ট’। যার জেরে জেলের ঘানি টানতে হবে বাটদের। “আসলে আমাদের আইন প্রণয়নকারীরা বোধহয় এতটা গুরুত্ব দেননি। ওঁরা ভেবেছিলেন, আগে সাংঘাতিক সব অপরাধের মোকাবিলা করার কথা ভাবা দরকার। এটা সমাজের অল্প একটা অংশকে প্রভাবিত করছে ভেবে তত গুরুত্ব দেননি,” মনে হয়েছে তাঁর।
মাধবনের পরামর্শ, ক্রীড়া মন্ত্রক ভবিষ্যতে এ রকম বিল আনার কথা ভাবতেই পারে। তিনি বলেন, “দেশদ্রোহিতার দৃষ্টিকোণ থেকে আইনটা আনা যায়, যাতে ভবিষ্যতে দোষীরা শাস্তি পায়।” তাঁর দাওয়াই, তাড়াহুড়ো করে কিছু না করে আগে অন্য দেশে এই সম্পর্কিত আইন যা আছে, খতিয়ে দেখা উচিত। পরে ভারতের পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুযায়ী তা কাটছাঁট করা দরকার।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.