বন্দি মৃত্যুর ঘটনায় সাসপেন্ড পুলিশকর্মী
বিচারাধীন বন্দির মৃত্যুর ঘটনায় সাসপেন্ড করা হল বাঁকুড়া সদর থানার একজন সাব ইন্সপেক্টরকে। তাঁর নাম আদিত্যকুমার মাসান্ত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কেঞ্জাকুড়া গ্রামের বাসিন্দা রবিলোচন মণ্ডলকে গ্রেফতার করার তিন দিন পরে আদালতে তোলা হয় বলে তাঁর পরিবার অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগেই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। জেলা পুলিশ সুপার প্রণব কুমার বলেন, “মৃত বন্দির পরিবারের অভিযোগের তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থেই ওই পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, গত শনিবার বাঁকুড়া মেডিক্যালে ওই জেল বন্দির মৃত্যু হয়। তাঁকে ‘অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায়’ পুলিশ কেঞ্জাকুড়া থেকে ধরেছিল। তাঁর মৃত্যুর পরে পরিবারের লোকজন পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিল, অষ্টমীর দিন (মঙ্গলবার) তাঁকে গ্রেফতার করা হলেও পুলিশ একাদশীর দিন (শুক্রবার) বাঁকুড়া সদর মহকুমাশাসকের আদালতে তাঁকে তোলে। কেনও এত দিন পুলিশ তাঁকে আটকে রেখেছিল তা তদন্ত করে দেখার আবেদন জানানো হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, রবিলোচনকে গ্রেফতার করেছিলেন ওই সাব-ইন্সপেক্টর। উল্লেখ্য, সদর মহকুমাশাসক রবিলোচনকে জামিন দিলেও, টাকা জমা করতে না পারায় সে দিন তিনি শেষ পর্যন্ত জামিন পান নি। তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। সে দিন সন্ধ্যায় তাঁকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরের দিন তাঁর মৃত্যু হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, মেনিঙ্গো এনকেফ্যালাইটিসে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর কারণ নিয়েও পরিবারের লোকজন তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। সাসপেন্ড হওয়া ওই সাব-ইন্সপেক্টরকে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, “আমি এ ব্যাপারে কিছু বলব না।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.