টুকরো খবর
মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে ঝাড়গ্রামে বৈঠক ডিজির
বাড়তি পুলিশ বাহিনী তো বটেই, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসন্ন জঙ্গলমহল সফর নির্বিঘ্ন করতে স্পর্শকাতর প্রতিটি জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাজ্য পুলিশের ডিজি নপরাজিত মুখোপাধ্যায় ঝাড়গ্রামে গিয়ে সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ দিন ডিজির সঙ্গে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী তথা ঝাড়গ্রামের বিধায়ক সুকুমার হাঁসদাও। পুলিশ সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর সফরের কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই ঝাড়গ্রাম লাগোয়া কয়েকটি এলাকায় বিশেষ তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। বাড়তি নজরদারি শুরু হয়েছে স্টেশন ও বাসস্ট্যান্ডেও। এ দিন ডিজি ঝাড়গ্রামে গিয়ে প্রথমে পুলিশ ও গোয়েন্দা অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। উপস্থিত ছিলেন আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) গঙ্গেশ্বর সিংহ, সিআরপি-র আইজি বিবেক সহায়ও। গত এক সপ্তাহের মধ্যে কোথা থেকে, কী পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে, বৈঠকে তার বিবরণ দেন ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার গৌরব শর্মা। পুলিশ সূত্রের খবর, তথ্য-পরিসংখ্যান নেওয়ার পরে অস্ত্র উদ্ধারের কাজে আরও গতি আনার নির্দেশ দেন ডিজি। এর পরেই নজরদারি ও তল্লাশির কাজে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজে লাগানোর প্রসঙ্গ ওঠে। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, মুখ্যমন্ত্রীর সফর নির্বিঘ্ন করতে বেশ কয়েকটি এলাকায় ইতিমধ্যেই সিআরপি-কে কাজে লাগানো হচ্ছে। ১৫ অক্টোবর ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশকর্তারা সেখানে প্রস্তাবিত সভাস্থলও এ দিন পরিদর্শন করেন।

দিঘার হোটেলে যুবকের অপমৃত্যু
দিঘার হোটেলে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার এক যুবকের। পুলিশ জানিয়েছে, পুরনো দিঘার একটি হোটেলের নীচে সোমবার সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া দেহটি সঞ্জয় শীলের (৩১)। পেশায় গাড়িচালক সঞ্জয়ের বাড়ি নিমতা থানার মাঝেরহাটিতে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, অতিরিক্ত মদ্যপানের পরে তিন তলার ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। তবে সঞ্জয়ের এক সঙ্গী পলাতক। তা ছাড়া, মৃতের পরনে জামাকাপড় ছিল না। তাই খুনের সম্ভাবনাও পুরোপুরি উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। সব সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে যুবকের মৃতদেহ ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। হোটেল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার গোপাল দাস ও পূজা দাস নামে দুই তরুণ-তরুণীর সঙ্গে নিমতারই এক ব্যক্তির গাড়ি চালিয়ে দিঘায় যান সঞ্জয়। উত্তর দমদম পুরসভার গাড়িচালক গোপালের বাড়ি নিমতার নারায়ণপল্লিতে। সঞ্জয়ের সঙ্গে অনেক আগে থেকেই তাঁর বন্ধুত্ব ছিল। পূজা নামের যে তরুণীর কথা জানা গিয়েছে, পুলিশের দাবি, গোপাল তাঁকে স্ত্রী সাজিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। ঘটনার পর থেকে পূজা উধাও। পুলিশ সূত্রের খবর, তদন্তে তারা জানতে পেরেছে, রবিবার রাতে হোটেলের ছাদে বসে তিন জনে এক সঙ্গে মদ্যপান করেছিলেন। জেরায় গোপাল পুলিশকে জানিয়েছেন, পূজাকে নিয়ে তিনি আগে নীচে নেমে গিয়েছিলেন। সঞ্জয় একাই রয়ে গিয়েছিলেন হোটেলের ছাদে। তার পরে কী হয়েছিল, তা তিনি জানেন না বলে দাবি গোপালের। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত সঞ্জয়ের পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।

বাড়িতে মিলল অস্ত্রাংশ, গ্রেফতার সিপিএম কর্মী
বাড়িতে বেআইনি অস্ত্রের কিছু অংশ মেলার অভিযোগে এক সিপিএম কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের আনন্দপুর থানা এলাকার আখমুড়া গ্রাম থেকে ধৃত ওই ব্যক্তির নাম শ্যামল সিংহ। তাঁর বাড়িতে বেআইনি অস্ত্র রয়েছে বলে দীর্ঘ দিন ধরেই অভিযোগ করছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এ দিন সকালে গ্রামবাসী বাড়িটি ঘিরে ফেলেন। খবর যায় পুলিশে। পুলিশের দাবি, বাড়িটিতে তল্লাশি চালিয়ে একটি লোহার বাঁট ও দু’টি নল উদ্ধার করা হয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, সেগুলি মাস্কেটের অংশ। স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্বের অবশ্য অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজনই বন্দুকের ভাঙা অংশ শ্যামলবাবুর বাড়িতে রেখে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে। যদিও তৃণমূল নেতা পার্থ গরাইয়ের বক্তব্য, “শ্যামলবাবু দীর্ঘ দিন ধরেই সিপিএমের সশস্ত্র বাহিনীতে ছিলেন। তাঁর বাড়িতে আগ্নেয়াস্ত্রও থাকত।” সোমবার রাতে চন্দ্রকোনার কুলডিহা থেকেও কার্তুজ-সহ এক সিপিএম কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম কালীপদ জানা। বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই তিনি গ্রামছাড়া ছিলেন। সোমবার রাতে মোটরবাইকে গ্রামে ফেরার পরে কালীপদবাবু কিছু দলীয় সমর্থককে নিয়ে একটি মাঠে বৈঠক করছিলেন। তাঁকে দেখে গ্রামবাসীরাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশের দাবি, কালীপদবাবুর কাছ থেকে ৩ রাউন্ড কার্তুজ পাওয়া গিয়েছে।

বেআইনি পার্কিং রুখতে ব্যবস্থা
মহকুমাশাসকের অফিস-চত্বরে বেআইনি ভাবে পার্কিং করা যানবাহনের চাকার হাওয়া খুলে প্রতীকী ব্যবস্থা নিলেন কাঁথির নবাগত মহকুমাশাসক সুমিত গুপ্ত। কাঁথির মহকুমাশাসকের অফিস চত্বরে ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সাইকেল, মোটর সাইকেল, এমনকী চার চাকার গাড়িও বেআইনি ভাবে পার্কিং করে রাখা থাকে। ‘অফিস টাইম’ ছাড়া মহকুমাশাসকের অফিস চত্বরে যানবাহন রাখা বেআইনি। বার বার বলা সত্ত্বেও কাজ না হওয়ায় সোমবার সন্ধ্যায় মহকুমাশাসক নিজে গিয়েই যানবাহনের চাকার হাওয়া খুলে দেন। এরপরেও অফিস-চত্বরে গাড়ি পার্কিং করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়ে দেন। প্রসঙ্গত, জনসাধারণের জন্য মহকুমা অফিস চত্বরে একটি শৌচালয় তৈরি করা হচ্ছে।

বেআইনি পার্কিং রুখতে ব্যবস্থা কাঁথিতে
মহকুমাশাসকের অফিস-চত্বরে বেআইনি ভাবে পার্কিং করা যানবাহনের চাকার হাওয়া খুলে প্রতীকী ব্যবস্থা নিলেন কাঁথির নবাগত মহকুমাশাসক সুমিত গুপ্ত। কাঁথির মহকুমাশাসকের অফিস চত্বরে ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সাইকেল, মোটর সাইকেল, এমনকী চার চাকার গাড়িও বেআইনি ভাবে পার্কিং করে রাখা থাকে। ‘অফিস টাইম’ ছাড়া মহকুমাশাসকের অফিস চত্বরে যানবাহন রাখা বেআইনি। বার বার বলা সত্ত্বেও কাজ না হওয়ায় সোমবার সন্ধ্যায় মহকুমাশাসক নিজে গিয়েই যানবাহনের চাকার হাওয়া খুলে দেন। এরপরেও অফিস-চত্বরে গাড়ি পার্কিং করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়ে দেন। এ দিকে মহকুমা অফিসে কাজে আসা জনসাধারণের সুবিধার জন্য অফিস চত্বরে একটি শৌচালয় তৈরি করা হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।

টাকার জন্য জুলুম, যুবক ধৃত ঝাড়গ্রামে
এক ব্যক্তির কাছ থেকে জোর করে টাকা আদায়ের অভিযোগে এক জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম জয়ন্ত আচার্য। বাড়ি ঝাড়গ্রামের সত্যবানপল্লি এলাকায়। সোমবার রাতে দুবরাজপুর মোড়ের কাছ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, এক জনের কাছ থেকে অন্য এক জন জোর করে টাকা আদায়ের চেষ্টা করেন। যিনি টাকা চেয়েছিলেন, তাঁর হয়েই জয়ন্ত সোমবার রাতে দুবরাজপুর মোড়ে পৌঁছন। কথা ছিল, জয়ন্তর হাতেই ওই টাকা দেওয়া হবে। যাঁর কাছে টাকা চাওয়া হয়েছিল, তিনি পুলিশে সব জানান। এর পরই ‘দালাল’কে ধরতে ফাঁদ পাতে পুলিশ। টাকা নিতে দুবরাজপুর মোড়ে আসার পরই জয়ন্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.