ব্যারাকপুর পর্যন্ত মেট্রো
এক্সপ্রেসওয়ে ধরেই লাইন বসানোর চিন্তা
নোয়াপাড়া থেকে ব্যারাকপুর পর্যন্ত প্রস্তাবিত মেট্রোর লাইন ঠিক কোন পথে নিয়ে যাওয়া ভাল, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে রেল মহলে। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, ব্যারাকপুর ট্রাঙ্ক রোড ধরে মেট্রোপথ নির্মাণ করতে গেলে এত রকম সমস্যা আসবে যে, তার বদলে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে ধরেই এই মেট্রোপথ তৈরির বিকল্প ভাবনা রেল মহলে আলোচিত হচ্ছে। বিকল্প রুটে প্রকল্পটি হলে কলকাতার জল সরবরাহ নিয়েও কোনও উদ্বেগ থাকে না।
রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী মেট্রোকর্তাদের সম্প্রতি বলেছেন, তাঁর অগ্রাধিকার তিনটি ‘বি’ ব্যারাকপুর, বেঙ্গল ও ভারত। কাজেই নোয়াপাড়া-ব্যারাকপুর প্রকল্পটিকে চূড়ান্ত অগ্রাধিকার দিয়ে শুরু করতে চান মেট্রোকর্তারা। এই অগ্রাধিকার মেনে ২০১৫ সালের মধ্যেই ব্যারাকপুর পর্যন্ত মেট্রো চালাতে হলে বিকল্প রুটটি গ্রহণ করা ছাড়া উপায় নেই বলে মনে করছেন রেলকর্তাদের একাংশ। রেলকর্তাদের যে অংশ বিটি রোডের বদলে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে রুটটি সরিয়ে নেওয়ার পক্ষপাতী, তাঁরা কয়েকটি সুবিধার কথা বলছেন। সেগুলি হল:
) কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের পাশ দিয়ে মেট্রোপথ তৈরির জন্য পিলার নির্মাণে কোনও সমস্যা হবে না। পথের পাশে আগে থেকেই জমি অধিগ্রহণ করা আছে।
২) এই রুটের এক পাশে রয়েছে পূর্ব রেলের শিয়ালদহ-বনগাঁ রেলপথ, অন্য পাশে শিয়ালদহ-ব্যারাকপুর রেলপথ। মাঝের দূরত্ব গড়ে চার কিলোমিটার। এই দূরত্বের মাঝামাঝি জায়গায় মেট্রোপথ তৈরি হলে বহু মানুষ মেট্রোর সুবিধা পাবেন।
৩) এই রুটে এগোলে পলতা-টালা জল সরবরাহ ব্যবস্থায় কোনও ব্যাঘাত ঘটবে না বলে মেট্রোর নির্মাণ শুরু করে দেওয়া যাবে এখনই। রেলমন্ত্রীর ইচ্ছে অনুযায়ী ২০১৫ সালের মধ্যেই এই রুটে ট্রেন চালানো সম্ভব হবে।
৪) এই রুটে নির্মাণের সময়ে কোথাও কোনও স্বাভাবিক যান চলাচল ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা নেই।
৫) জলের বিকল্প পাইপলাইন নির্মাণের প্রকল্প ব্যয়ও রেলের ঘাড়ে চাপবে না। কিন্তু বিটি রোড ধরে মেট্রোর লাইন নির্মাণ করতে গেলে যে সমস্যাগুলি হতে পারে, সেগুলি হল:
রাস্তার নীচ থেকে পলতা-টালা জল সরবরাহের পাঁচটির মধ্যে ৬০ ও ৪২ ইঞ্চি ব্যাসের দু’টি পাইপলাইন তুলে ফেলে তবেই রাস্তার মাঝ বরাবর রেলপথ নির্মাণের জন্য স্তম্ভ বসানো যাবে।
পাইপ দু’টি তুলে ফেলার আগেই তার বিকল্প পাইপলাইন বসিয়ে ফেলতে হবে। না-হলে নির্মাণের কাজ শুরু করতে পারবে না মেট্রো। করলে শহরে জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে। ওই পাইপলাইন দু’টি দিয়ে শহরে রোজ সাড়ে চার কোটি গ্যালন জল আসে।
জলের বিকল্প পাইপলাইন কোথায় বসানো হবে, তা নিয়ে মতৈক্য হচ্ছে না। একটি বিকল্প হল, প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের নীচ দিয়ে পাইপ পাতা। কিন্তু যে বিকল্পই বাছা হোক, তার ব্যয় চাপবে সেই রেলের ঘাড়েই।
প্রথমে দু’টি পাইপলাইন খুঁড়ে তোলা ও তার পরে রেলপথের স্তম্ভ বসানোর সময়ে বিটি রোডে স্বাভাবিক যান চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিকল্প পাইপলাইন নির্মাণ করার পরে মেট্রোপথের নির্মাণ শুরু করতে আরও তিন বছর সময় লেগে যাবে।
পূর্ব রেলের শিয়ালদহ-ব্যারাকপুর রেলপথের অল্প দূর দিয়ে সমান্তরাল পথে এই মেট্রো রুট নির্মাণের চেয়ে পূর্ব রেলপথেরই একটি লাইন বাড়িয়ে দিলে একই ফল মিলবে।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.