অফ ক্যামেরা শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়-এর মুখোমুখি পথিক পণ্ডিত


ছেলেবেলাটা কোথায়, কেমন কেটেছে, পড়াশোনা, পরিবার?

শিবপ্রসাদ: বরানগরে। খুব ভাল কেটেছে। আমার অভিনয়ে আসার পিছনে মা-বাবার বিরাট অবদান আছে। মা আমাকে নাটক, আবৃত্তি করা, প্রচুর বাইরের বই পড়ানো শিখিয়েছেন। আমরা চার ভাইবোন। ক্লাস টেন অবধি বরানগর রামকৃষ্ণ মিশন, ইলেভেন-টুয়েলভ হিন্দু স্কুল, তার পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পলিটিক্যাল সায়েন্স (ইন্টার ন্যাশনাল রিলেশন) নিয়ে এম এ করছিলাম, কমপ্লিট হয়নি। স্কুলজীবনটা আমায় প্রচুর দিয়েছে। বছরে প্রায় পাঁচ-ছ’টা নাটক হত। জানি না, এখন কোনও স্কুলে নাটক হয় কি না। এখান থেকেই কালচারাল দিকটা পেয়েছি। তা ছাড়া প্রচুর ক্রিকেট খেপ খেলতাম। একদম পড়াশোনা করতাম না। সে কারণে মা-র কাছে প্রচুর বকাও খেয়েছি। বাবা অধ্যাপনা করতেন। সাতপুরুষে আমার কেউ কোনও দিন অভিনয় বা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। আমি বিয়ে করিনি। আমার মা, আমার ভাইবোনেরা, নন্দিতা রায়, নীতিশ রায়, সোহিনী সেনগুপ্ত আর আমার খুব কাছের বন্ধু ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, এঁরা সবাই আমার পরিবারের সদস্য।

তা হলে স্কুলে খেলাধুলোর প্রতি আকর্ষণ ছিল?
শিবপ্রসাদ: ভীষণ। ফুটবল, ক্রিকেট, গোল্লাছুট সব ধরনের খেলা খেলতাম। পাড়ায় পাড়ায় খেপ খেলতাম বলে আমার নামই হয়ে গিয়েছিল খেপ-শিবু।

ফিল্মের প্রতি আগ্রহ কবে থেকে?
শিবপ্রসাদ: ছোট থেকেই। স্কুল পালিয়ে প্রচুর সিনেমা দেখেছি। ভাল সিনেমা দেখার ব্যাপারে আমার দাদা, ছোট জামাইবাবু ও বড় জামাইবাবু খুব ইন্সপায়ার্ড করেছেন। ‘নারায়ণী’, ‘সোনালী’, ‘আনন্দম’-এ সব সিনেমা দেখতাম। বড় জামাইবাবু আমাকে ৩০ বার ‘পাকিজা’ দেখিয়েছিলেন।

আপনি তো নান্দীকারের সদস্য ছিলেন। নান্দীকারের সঙ্গে যোগসূত্র ঘটে কী ভাবে?
শিবপ্রসাদ: আমার যে দিন টুয়েলভের শেষ পরীক্ষা, সেদিন থেকে আমি ভেবে নিয়েছিলাম যে, আমি অভিনেতা হব এবং জীবিকা হিসেবে অভিনয়টাকেই বেছে নেব। এবং আমার জীবনে একটাই জায়গা ছিল ‘নান্দীকার’। পরীক্ষা শেষে সোজা নান্দীকারে চলে যাই, এবং রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তর সামনে দাঁড়িয়ে বলি, আমি নান্দীকারে অভিনয় করতে পারি? উনি আমার দিকে তাকিয়ে শুধু এটুকুই বলেছিলেন ‘বাচ্চা, অল্পবয়সী। ঠিক আছে, এসো।’ তার পর আমি নান্দীকার-এ আসতে শুরু করি। ওয়ার্কশপ করি। সদস্য হই।

মৌলিক রচনার ওপর বেস করে সিনেমা বানানোর পরিকল্পনা নেই?
শিবপ্রসাদ: হ্যাঁ হ্যাঁ নিশ্চয়ই। আমাদের পরবর্তী দুটো ছবি ‘হ্যালো মেমসাহেব’ এবং ‘অ্যাক্সিডেন্ট’ দুটোই কিন্তু আমার ও নন্দিতা রায়ের নিজস্ব রচনা।

আপনার তো অভিনেতা হওয়ার ইচ্ছে ছিল, হলেন পরিচালক, কেন?
শিবপ্রসাদ: আমি যখন ‘জামাই নম্বর ওয়ান’ এবং ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘বাড়িওয়ালি’তে অভিনয় করলাম, তার পরের সময়টা আমার খুব ক্রুশিয়াল কেটেছে। কী করব, বুঝতে পারছিলাম না। তখন তো আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে এত ছবি হত না। টেলিভিশন করব যে, সেটাও তো মাত্র একটি চ্যানেল দূরদর্শন। সমস্যা হল রুজিরুটির। বাঁচব কী ভাবে! চাকরি পেলাম ‘ইটিভি বাংলা’ চ্যানেলে। অবশ্য এর আগে থেকেই আমি চিত্রনাট্য লিখতে শুরু করে দিয়েছি। হল কী, লোকেরা পয়সা দিয়ে ফিল্ম ইন্সটিটিউটে ভর্তি হয়, আমি পয়সা নিয়ে ফিল্ম ইনস্টিটিউটের মতো জায়গায় কাজ করেছি। ক্যামেরা পেয়েছি, এডিটিং শিখেছি। ওখানে সব পেয়েছিলাম। এনকারেজমেন্ট পেয়েছি। তখন থেকেই পরিচালক হওয়ার স্বপ্ন বলতে পারেন।

অভিনয় জানেন বলে কি পরিচালনার কাজ করতে সুবিধে হয়?
শিবপ্রসাদ: খানিকটা তো হয়ই। স্ক্রিপ্ট পড়ে শোনাতে হয় সব জায়গায়। অর্থাৎ সেখানে যদি পড়ার সময় অভিনয় করে দেখাই, গল্পটা যে ভাবে আমি দেখছি, সেটা বোঝাতে সুবিধে হয়। যদি ফ্ল্যাট করে রিডিং পড়ি, তা হলে বোঝাতে এবং বুঝতে অসুবিধে হবেই। বা অ্যাক্টরদের সঙ্গে যখন কাজ করি, তখন তাঁদের অভিনয় করে দেখালে সুবিধে হয় এ জায়গাটা এ রকম চাইছি, কিন্তু আপনি আপনার মতো করে, আপনার সত্তাটাকে দিয়ে করুন, ব্যস।

ভবিষ্যতে কি অভিনয় করতে চান?
শিবপ্রসাদ: নিশ্চয়ই। কেউ যদি ভাল রোল অফার করেন, নিশ্চয়ই করব। আসলে অভিনয়টা এনজয় করি। ‘অ্যাকসিডেন্ট’ ছবিতে একটা রোলে অভিনয় করছি তো।

আপনি তো ‘ডান্স পে চান্স, বউদিমণি’ রিয়ালিটি শোতে অ্যাঙ্কারিংও করতেন। তা অ্যাঙ্কারিঙের প্রতি ভালবাসা কবে থেকে?
শিবপ্রসাদ: দেখুন, ওটা চ্যানেল থেকে রিকোয়েস্ট এসেছিল, তাই করতে হয়েছিল। এটা কিন্তু আমার প্যাশন, পেশা কোনওটাই নয়। উৎসাহও খুব একটা নেই। পরিস্থিতি করিয়েছিল।

অভিনেতা, অ্যাঙ্কার, পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের কি কোনও স্বপ্ন আছে?
শিবপ্রসাদ: (হেসে) নিশ্চয়ই। জীবনের গল্প নিয়ে ভাল সিনেমা বানানো, যেটা দর্শকদের ভাল লাগবে।
মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর নতুন ঠিকানা চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম। এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের
l এর আগে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখা গেছে রোগী-বন্ধু, শৃঙ্খলা-বন্ধু, শিল্প-বন্ধুর ভূমিকায়। এ বার দমকলের ভূমিকায় সব্জি বাজারের ‘আগুন’ নেভাতে! রাজ্যবাসী এখন আরও অপ্রকাশিত রূপের অপেক্ষায়।
পুলক চট্টোপাধ্যায়। মন্তেশ্বর।

l ৩৪ বছর একটানা মনোরম ‘বসন্ত’-এ অভ্যস্ত থেকে ‘ঋতু’ পরিবর্তনে প্রখর ‘গ্রীষ্ম’-এ কয়েক মাস কাহিল এবং নির্বাক থাকার পর আবার ‘গুটি গুটি’ পায়ে এগোবার চেষ্টা করছে। কখনও শাসক দলের ‘সন্ত্রাস’-এ ভর করে, কখনও ‘গুটি বসন্ত’ নামক আত্মরক্ষার পথ ধরে!
অরিন্দমনারায়ণ চৌধুরী। বারাসাত

l একটি বিজ্ঞপ্তি: প্রখ্যাত ‘অস্থি বিশেষজ্ঞ’ ডা. সুশান্ত ঘোষ উচ্চতর ‘শিক্ষা’লাভের জন্য বাইরে গেছেন বলে কিছু দিন তিনি আমাদের চেম্বারে বসবেন না! কিন্তু যথারীতি উপস্থিত থাকবেন ডা. বিমান বসু (গুটি বসন্ত স্পেশালিস্ট), ডা. রেজ্জাক মোল্লা (জার্ক থেরাপিস্ট) ও ডা. গৌতম দেব (স্বপ্ন বিশেষজ্ঞ)!
বাপী ঘোষাল। ব্যান্ডেল

l বিধানসভা উপ-নির্বাচনে দিদি ‘ভবানী’পুর কেন্দ্রে লড়বেন। এর কারণ আর কিছুই নয়, তিনি সরকারকে ‘ভাঁড়ে মা ভবানী’ দশা থেকে মুক্তি দিতে চাইছেন! এখন সিপিএমের উচিত এই কেন্দ্রে এক জন হেব্বি ওয়েট ‘ভাঁড়’ দাঁড় করানো। জামানত খোয়া গেলেও হেসে পুষিয়ে নেওয়া যাবে!
সুশান্ত ঘোষাল। কালনা

l পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে মাটি খুঁড়ে বহু কঙ্কালের খোঁজ পাওয়ার পর সম্প্রতি ত্রিপোলিতে পাতাল-শহরের হদিশ পাওয়া গেল। তার পর আমাজনের নীচে আবিষ্কার হল পাতাল-নদী। সত্যি, আজ বাংলা যা খুঁজে পায়, বাকি বিশ্ব তা কাল!
রতন দত্ত। বাঘাযতীন

l টেস্টে ‘হোয়াইট ওয়াশ’ হওয়া ধোনির দল কি ওয়ান ডে আর টি-টোয়েন্টিতে পাকা রং মেখে ফিরবে?
শুভেন্দু দাস। বরানগর

l ইংল্যান্ডের এক বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে ডি লিট সম্মান উপহার দিলেন। ধোনির অধিনায়কত্বে ইংল্যান্ডকে টেস্ট সিরিজের চারটে ম্যাচই যখন উপহার দেওয়া হয়েছে, বিনিময়ে ধোনির তো কিছু প্রাপ্য থেকেই যায়।
উজ্জ্বল গুপ্ত। কল-১৫৭

l অনশনে মিলায় অণ্ণা, সিগন্যালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর!
বোধিসত্ত্ব। বড়িশা
এ শহর সত্যিই কতটা যে ‘মেসি’,
প্লেন ল্যান্ড করতেই টের পেয়ে গিয়েছেন মেসি।
সেরিমোনিয়াল লাউঞ্জ হয়নি তো খোলা।
ভদ্রতা, শিষ্টতা, বেসিক বন্দোবস্ত সবই শিকে তোলা।
তাই তোমাদের ক্ষমা করবে না কলকাতা সিটি,
ঘুঁটে মালা নাও এয়ারপোর্ট অথরিটি
ঘিরে থাকা রূপকথারা ...
ছেলেটি সকালে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে যায়। গলি দিয়ে হেঁটে গিয়ে বাস রাস্তায় বাস ধরে। মেয়েটি দুটো বাড়ি পরে তিন তলা ফ্ল্যাটবাড়ির দোতলার বারান্দায় ভোরে উঠে পায়চারি করে পড়া মুখস্থ করত। এক পাড়ায় থাকলেও দু’জনে দু’জনকে আগে কখনও লক্ষ করেনি।
তার পরে সেই রবি ঠাকুরের পদ্যের মতো ঘটনা ঘটিয়া গেল। মানে, একদা কী করিয়া দেখা হল দোঁহে, কী ছিল বিধাতার মনে! এখন চোখে চোখ পড়ল তো একেবারে ঘোর লেগে গেল প্রেমের রসে টইটম্বুর।
তার পর যেমন যেমন হয়, লুকিয়েচুরিয়ে দেখা করা, রেস্তোরাঁর আধো-অন্ধকারে হাতে হাত রাখা, আঙুলে আঙুলে সুর ওঠে যদিদং হৃদয়ং... সাহস ক্রমশ বেড়ে চলে।
ছেলেটি চাকরি পেল। এমনই যোগাযোগ যে, তখনই দু’বাড়ির সকলের কাছে জানাজানি হয়ে গেল সব। তার পর অনেক আপত্তি, অনেক ঝঞ্ঝাট পেরিয়ে এক দিন সত্যিই ফুল-মালা-চন্দনে অভিষিক্ত হয়ে শামিয়ানার তলায় শুভদৃষ্টি হল। গেটের উপর নহবত বেজে উঠল যদিদং হৃদয়ং মম সানাইয়ের সুরে, পুরোহিতের সামনে হাতে হাত রেখে বর-কনের গলায় আবৃত্ত হল যদিদং হৃদয়ং মম...। এর পর অনেক দিনই প্রাত্যহিক জীবনে সেই সুর বাজতে লাগল দু’জনের হৃদয় জুড়ে। ক্রমশ ছেলেটির অফিসের কাজের ব্যস্ততায় ফিরতে রাত হয়, মেয়েটিও ছেলেমেয়ে নিয়ে শ্বশুরঘর আর বাপের বাড়ির সুখ-দুঃখের অংশীদার হয়ে জানতেই পারে না কখন দিন কেটে রাত হয়। তবু এরই মধ্যে দূরাগত সানাইয়ের সুর দু’জনকে প্রাণিত করে মনের মধ্যে ঝঙ্কৃত হয় যদিদং হৃদয়ং মম। দিন যায়, কাল যায়, ছেলেমেয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিয়ে করে যে যার জায়গায়, বয়স কেড়ে নেয় প্রেমের উন্মাদনা। খাটের দু’পাশে দু’জনে শোয়, তবু মাঝে মাঝে ছেলেটি বলে ওঠে একটু মাথাটায় হাত বুলিয়ে দাও তো, বা মেয়েটি বলে কোমরটা বড্ড টনটন করছে একটু ‘মুভ’ লাগিয়ে দাও না গো! এখনও বাজে যদিদং হৃদয়ং, তবে অন্য সুরে, অন্য ভাবে!
বেথুয়াডহরির ‘সভয়ারণ্যে’ এ বার পাশবিক
ট্যুরিস্টদের টিকিট বেচা বন্ধ হোকl

অলোক চট্টোপাধ্যায়, বেলুড়
ক্ষমা করিনি
বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুলের অঙ্কের প্রিয় মাস্টারমশায়ের মারা যাওয়ার খবর শুনে আমরা কয়েকজন বন্ধু তাঁর বাড়ি গেলাম শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে শ্মশান যাত্রার সঙ্গী হব বলে। মাস্টারমশায়ের বাড়ির লোক জন, আত্মীয়স্বজন, ছেলেমেয়েদের কান্নাকাটি থেমে যাওয়ার পর আমরা কোমরে গামছা বাঁধছি চতুর্দোলা কাঁধে নেব বলে। হঠাৎ মাস্টারমশায়ের পিসিমা আমাদের এসে বললেন, তোমাদের মধ্যে ব্রাহ্মণ সন্তান ছাড়া অন্য কেউ চতুর্দোলা কাঁধে নিয়ো না। কারণ, ব্রাহ্মণ ছাড়া অন্য সম্প্রদায়ের কারও চতুর্দোলা বহন করা নিষেধ। কাকতালীয় ভাবে বন্ধুরা সকলেই অব্রাহ্মণ হওয়ায় প্রিয় মাস্টারমশায়কে কাঁধে করে শ্মশান পর্যন্ত নিয়ে যেতে না পারার জন্য, কুসংস্কারাছন্ন মাস্টারমশায়ের পিসিমাকে কোনও দিন ক্ষমা করতে পারব না।
উজ্জ্বল হাজরা, বর্ধমান

ই মেল-এ অথবা ডাকে, চিঠি পাঠান।
ই-মেল: chirkut.rabi@abp.in
চিঠি: চিরকুট, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.