শ্লীলতাহানির চেষ্টা অভিযুক্ত রেলকর্মী
ংরক্ষিত কামরায় একাদশ শ্রেণির ছাত্রী এক কিশোরীর শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ উঠল টিকিট পরীক্ষকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা নাগাদ মালদহ টাউন স্টেশনে কলকাতামুখি ডাউন দাজির্লিং মেলের ২ নম্বর সংরক্ষিত কামরায় ওই ঘটনা ঘটে। উত্তেজিত যাত্রীরা মালদহ স্টেশনে দার্জিলিং মেল দাঁড় করিয়ে অভিযুক্তের গ্রেফতার দাবি করে বিক্ষোভ দেখান। শেষ পর্যন্ত ওই কিশোরীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে রেল পুলিশ এক টিকিট পরীক্ষককে গ্রেফতার করে। পরে অবশ্য অভিযুক্ত ওই টিকিট পরীক্ষককে জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়। মালদহ টাউন স্টেশনের আইসি প্রবীর দাস বলেন, “তার গায়ে হাত দেওয়া হয়েছে বলে ওই স্কুল ছাত্রী শনাক্ত করার পরেই দার্জিলিং মেলের ২ নম্বর সংরক্ষিত কামরার টিটিইকে গ্রেফতার করা হয়। ছাত্রীর বাবার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত রেল কর্মীর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে এই কর্মীকে জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়।” জামিনে মুক্তি পেলেও রেল কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত ওই কর্মীর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের এডিআরএম গোপাল কুমার বলেন, “মালদহ টাউন স্টেশনের রেল পুলিশের কাছ থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পরেই অভিযুক্ত ওই কর্মীর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” অভিযুক্ত চিকিট পরীক্ষকের দাবি, তিনি নির্দোষ। রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়ের চিকিৎসার জন্যই জলপাইগুড়ি শহরের বাসিন্দা বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত জনৈক গৌতম চক্রবর্তী স্ত্রী এবং ছেলেকে ওই কামরায় চড়ে কলকাতায় যাচ্ছিলেন। কামরার ১, ২, ৪, ৫ নম্বর বার্থে গৌতমবাবুরা চারজন ছিলেন। গৌতমবাবুর মেয়ে ৫ নম্বর মিডল বার্থে শুয়ে ছিল। গৌতমবাবুর অভিযোগ, “রাত ১২টা নাগাদ মালদহ টাউন স্টেশনে দার্জিলিং মেল ঢোকার সময় হঠাৎ মেয়ের কান্নার শব্দ শুনে ঘুম ভেঙ্গে যায়। বার্থ থেকে নেমে পড়ি। কী হয়েছে জিঙ্গাসা করতেই মেয়ে হাউহাউ করে কাঁদতে কাঁদতে জানায়, ওই টিকিট পরীক্ষাক তার গায়ে হাত দিয়েছে।” টিকিট পরীক্ষক কিশোরীর শ্লীলতাহানি করেছ শুনে কামরার যাত্রীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে প্ল্যাটর্ফমে বিক্ষোভ শুরু করেন। ছুটে আসেন রেল পুলিশের কর্মীরা। যাত্রী বিক্ষোভের জেরে প্রায় ৩০ মিনিট মালদহ টাউন স্টেশনে দাজির্লিং মেল আটকে যায়। পরে এই ছাত্রীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে রেল পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলে যাত্রীরা বিক্ষোভ থামিয়ে ট্রেনে ওঠেন। এ দিকে ওই অভিযুক্ত টিকিট পরীক্ষক বলেন, “১৬ বছর ধরে চাকরি করছি। কোনও দিন কেউ বদনাম দিতে পারেনি। কামরার অন্য কোনও যাত্রী ওই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করতে পারে। আমি কেন এসব নোংরা আচরণ করব। দার্জিলিং মেল মালদহ স্টেশনে ঢোকার পর ট্রেন থেকে নেমে খেতে যাচ্ছিলাম। তখনই রেল পুলিশ এসে আমাকে গ্রেফতার করে।” উত্তর পূর্ব রেলের মালদহ টাউন স্টেশনের চিফ ট্রেন টিকিট ইন্সপেক্টর রামপ্রবেশ প্রসাদ বলেন, “ওই টিকিট পরীক্ষক ভদ্র ও নম্র ছেলে। তিনি শ্লীলতাহানি করতে পারেন বিশ্বাস করতে পারছি না। ঘটনা শোনার পর জিআরপিতে ছুটে গিয়ে তাঁকে ছাড়িয়ে এনেছি।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.