|
|
|
|
বিধাননগরের সুরক্ষা নিয়ে নড়ে বসল পুলিশ-প্রশাসন |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
অপরাধের সংখ্যা বাড়ছে সল্টলেক জুড়ে। তাই এক সময়ে বাসিন্দাদের নিরাপদে রাখতে যে পুলিশি নজরদারি ছিল, পুনরায় তা ফিরিয়ে আনার তোড়জোড় শুরু হল। শুক্রবার বিধাননগর পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তীর সঙ্গে তা নিয়ে বৈঠক করলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি নপরাজিত মুখোপাধ্যায়।
জ্যোতি বসু মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সল্টলেকে পুলিশের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেও জ্যোতিবাবু যতদিন বেঁচে ছিলেন, ততদিনও সল্টলেকের নিরাপত্তা ছিল আঁটোসাঁটো। ২০১০-এর পর থেকে আস্তে আস্তে ঢিলে হতে থাকে সল্টলেকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ইদানীং, গত তিন মাসের মধ্যে পরপর বেশ কয়েকটি ডাকাতি ও চুরির ঘটনা ঘটেছে সল্টলেকে। বুধবার রাতেও বিচারপতিদের বাসভবন ‘বিজন ভবন’-এর সামনে থেকে এক যুবককে অস্ত্র-সহ গ্রেফতার করা হয়। বিপ্লব ঘোষ নামে এই যুবকের বাড়ি দত্তাবাদে। ওই রাতেই বি জে-৭৭ নম্বর বাড়ি থেকে দু’টি মোবাইল চুরি হয়েছে। চুরির চেষ্টা হয় সি বি-৩০৮ নম্বর বাড়িতেও। |
 |
সল্টলেকে চলছে নিরাপত্তা বৈঠক। অর্কপ্রভ ঘোষ |
সময়ের সঙ্গে কার্যত অকেজো হয়ে পড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থাগুলি ফিরিয়ে আনতে চাইছে পুলিশ। শুক্রবারের বৈঠকে মোটামুটি তেমনই ঠিক হয়েছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার, বিধায়ক সুজিত বসু, বিধাননগর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত এবং রাজ্য পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা।
পুলিশের সামনে এ দিন বেশ কয়েকটি অভিযোগ তোলেন পুর-প্রতিনিধিরা। অভিযোগ, সল্টলেকে এসে এলাকাটা চিনতে সময় কেটে যায় পুলিশ অফিসারদের। অপরাধীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ যে ‘সোর্স’ তৈরি করে, সল্টলেকের ক্ষেত্রে তা কমে গিয়েছে। ফলে, অপরাধ ঘটে যাওয়ার পরে এখন পুলিশ বসে থাকে কোনও একটি মোবাইল নম্বরের জন্য। যার সাহায্যে অপরাধীকে খোঁজা শুরু হয়। তা না মিললে খুব সমস্যায় পড়ে পুলিশ।
শুধু রাস্তার মোড়ে মোড়ে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখলে যে অপরাধ কমবে না, সে বিষয়েও পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে বৈঠকে। দাবি জানানো হয়েছে, সল্টলেকে কাজ করে যাওয়া পুরনো পুলিশ অফিসারদের ফিরিয়ে আনতে। সল্টলেকের আশপাশে থাকা কলকাতা ও রাজ্য পুলিশের থানাগুলির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বৈঠকে। কারণ অভিযোগ উঠেছে, বেশিরভাগ সময়েই সল্টলেকে অপরাধ ঘটিয়ে আশপাশের থানাগুলিতে গা ঢাকা দিচ্ছে দুষ্কৃতীরা।
বৈঠক শেষে ডিজি বলেন, “সল্টলেকের অপরাধ কী করে কমানো যায়, তা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়েছে। ১০০ ডায়াল নিয়ে কিছু সমস্যা রয়েছে। সেগুলি সমাধানেরও চষ্টা করা হচ্ছে।” সল্টলেকের প্রবেশ গেটগুলিতে আবার পাহারা শুরুর মতো পদক্ষেপের কথাও জানান ডিজি। পাশাপাশি, সল্টলেকেও অবিলম্বে গ্রিন-পুলিশ চালু করা হবে। তাদের যুক্ত করা হবে আইন-শৃঙ্খলার কাজেও। সাইকেল করে পুলিশি টহলও ফের চালু হতে চলেছে সল্টলেকে।
|
সুরক্ষার স্বার্থে |
• বিধাননগরের ১৬টি প্রবেশপথে পুলিশি প্রহরা।
• কেষ্টপুর খালের ওভারব্রিজগুলিতে টহলদারি।
• অটোচালক, হকার ও রাজমিস্ত্রির পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক।
• সাইকেল পুলিশের ব্যবস্থা।
• পরিচারকদের পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক। |
|
|
|
 |
|
|