টুকরো খবর
হাফলংয়ে ধরা পড়ল এনএসসিএন (আইএম)-এর দুই সিনিয়ার সার্জেন্ট মেজর। পুলিশ জানিয়েছে, জনা তিরিশ জঙ্গি পার্শ্ববর্তী রাজ্য নাগাল্যান্ড থেকে ডিমা হাসাও জেলায় ঢুকেছে, গোয়েন্দা সূত্রে এই খবর পেয়ে শুরু হয় সেনা-পুলিশ যৌথ অভিযান। শেষে নাগা অধ্যুষিত গ্রাম লংমাং থেকে ডব্লু এ আমোস এবং থুইঙ্গালেন সিরা নামে দুই জঙ্গি নেতাকে আটক করা হয়। তাদের কাছে অবশ্য কোনও অস্ত্রশস্ত্র পাওয়া যায়নি। কাল আদালতে তোলা হলে ধৃতদের পাঁচ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রাথমিক জেরায় নাগা জঙ্গিরা স্বীকার করেছে, অস্ত্রশস্ত্র-সহ মোট ৩০ জঙ্গি ডিমা হাসাওয়ে ঢুকেছে। আপাতত তারা জেলার নাগা অধ্যুষিত গ্রামগুলিতে ছড়িয়ে রয়েছে। ধৃতদের বক্তব্য, অর্থ সংগ্রহ বা কোনও ধরনের হিংসাত্মক অভিযান নয়, এনএসসিএন-এর খাপলাং গোষ্ঠী যেন নিজেদের শক্তিবৃদ্ধি করতে না পারে সে জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাদের এই অভিযান। ধৃতেরা জানায়, তাদের কাছে খবর রয়েছে খাপলাং গোষ্ঠী বিভাজিত হওয়ার পর এরা নতুন করে সদস্য সংগ্রহে নেমেছে। তবে ডিমা হাসাওয়ে পদস্থ এক পুলিশকর্তা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, যে কারণেই হোক, অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জঙ্গিদের ঘুরে বেড়ানো মেনে নেওয়া হবে না। তিনি আভাস দেন, জেলায় ঢুকে পড়া মুইভা গোষ্ঠীর বাকি জঙ্গিদেরও শীঘ্রই ধরা হবে। অভিযোগ, এনএসসিএন (আইএম) নাগাল্যান্ডে অস্ত্রবিরতি মেনে চললেও দীর্ঘদিন থেকে ডিমা হাসাওয়ে ঢুকে চাঁদা আদায় করে চলছে। সাধারণ মানুষকে এরা ভয় দেখায়। অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে অর্থের বিনিময়ে প্রশিক্ষণ এবং অস্ত্র সংগ্রহ করে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

পুরুলিয়া অস্ত্রবর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত কিম ডেভিকে ভারতে প্রত্যর্পণ না-করার সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানাল নয়াদিল্লি। এই ধরনের ঘটনায় সন্ত্রাসবাদীরা উৎসাহ পাবে বলেই ভারতের মত। ডেনমার্ক সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা ভারতের অনুরোধ মেনে ডেভিকে ফেরত পাঠাবে না। প্রত্যর্পণের জন্য সে দেশের সুপ্রিম কোর্টে আর আবেদনও করবে না। এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করে বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণ বলেন, “আমরা অত্যন্ত হতাশ। ২০১০ সালের এপ্রিলে ডেনমার্কের সরকার ডেভিকে প্রত্যর্পণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু সে দেশের কর্তৃপক্ষ ডেনমার্কের আদালতে নিজেদের যুক্তি প্রমাণই করতে পারল না। হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের পর উচ্চ আদালতে আবেদন করার ব্যাপারেও পিছিয়ে এসেছে ডেনমার্ক সরকার।” ভারতের জেলগুলির অবস্থা এবং মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে এই প্রত্যর্পণের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে ডেনমার্কের সরকার। ভারত ধারাবাহিকভাবে বিষয়টির প্রতিবাদ করেছে। এর আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম জানিয়েছিলেন, এই সব আশঙ্কা ভিত্তিহীন। ডেভিকে ভারতে আনা হলে প্রকাশ্য আদালতে তাঁর বিচার হবে। প্রতি দিন তাকে আদালতে পেশ করা হবে। জেলে মানবাধিকার লঙ্ঘন হলে পরের দিনই সে আদালতে অভিযোগ জানাতে পারে। তা সত্ত্বেও বরফ গলেনি। ক্ষুব্ধ কৃষ্ণ বলেন, “সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকেরই জানা উচিত, আমাদের সমাজে স্বচ্ছতা রয়েছে। ভারতীয় সমাজব্যবস্থা আইনের পথে চলে। ড্যানিশ সরকার এবং আদালতের ভাবার কোনও কারণই নেই যে ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়।”

হাল ফেরাতে আগামী কাল বৈঠকে বসছেন দিল্লির রেসিডেন্ট কমিশনার এবং রাজ্যের পূর্ত সচিব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান, শুধু থাকার আস্তানা হিসেবেই নয়, দিল্লিতে বাঙালির ভরসার কেন্দ্র হয়ে উঠুক বঙ্গভবন। সে উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যেই পূর্তমন্ত্রী সুব্রত বক্সি তাঁর দফতরের বদলে রেসিডেন্ট কমিশনারের হাতেই বঙ্গভবনের দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন। এ সপ্তাহেই রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র এসে দেখে গিয়েছেন বঙ্গভবনের হাল-হকিকত। এরই পরবর্তী পদক্ষেপ হিসাবে আগামী কাল আলোচনায় বসছেন রেসিডেন্ট কমিশনার ভাস্কর খুলবে এবং পূর্ত সচিব এ আর বর্ধন। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত বঙ্গভবনের ক্যান্টিনের সংস্কার, দোতলায় একটি নতুন লাউঞ্জ নির্মাণের বিষয় ছাড়াও কী ভাবে বোর্ডারদের জন্য পরিষেবা আরও বাড়ানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা।

স্নানযাত্রার পর মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে চতুর্দশ দেব বিগ্রহ। শুক্রবার ত্রিপুরায়
শুরু হল খার্চি উৎসব। আগরতলার কাছে খয়ারপুরে উমাশঙ্কর রায়চৌধুরীর তোলা ছবি
সেজে উঠেছে পুরাতন আগরতলার চতুর্দশ দেবতা মন্দির প্রাঙ্গণ। আজ কাকভোরে হাওড়া নদীতে হর, পার্বতী, উমা- সহ চতুর্দশ দেবতার স্নানযাত্রা শেষে সাত দিনব্যাপী উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও প্রকৃতপক্ষে কাল বিকেল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে খার্চি মেলা ও উৎসব। ত্রিপুরার ঐতিহ্যবাহী এই পুজো ও মেলাকে কেন্দ্র করে ফি বছরই পুরাতন ত্রিপুরায় হাজার হাজার মানুষ জড়ো হন। দেশ-বিদেশ থেকে আসেন বহু পর্যটক ও ভক্তপ্রাণ মানুষ। বস্তুত রাজ্যের বিভিন্ন জাতি-উপজাতির সম্প্রীতির মিলন উৎসব হল খার্চি উৎসব। রাজ্য সরকারও এ উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা করছেন সমস্ত দফতরে। স্কুল-কলেজ-সহ ব্যাঙ্ক ও আদালতও বন্ধ। রাজ্যব্যাপী উৎসবমুখর পরিবেশ। এই উপলক্ষ্যে সাত দিন ধরে কৃষ্ণমালা মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে বর্ণময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রতি দিন সকাল দশটা থেকে রাত ন’টা পর্যন্ত পরিবেশিত হবে পদাবলি কীর্তন, লোকসঙ্গীত, ধ্রুপদী নৃত্য, লোকনৃত্য, উপজাতি লোকনৃত্য গড়িয়া, মামিতা, বিঝু ইত্যাদি। এ ছাড়াও থাকবে রবীন্দ্র-নজরুল নৃত্য, বিহু, গাজন, হোলি, বাংলা আধুনিক ও শচীন কর্তার গান। এই আনন্দ উৎসব সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে রাজ্য সরকারের তরফে সব রকমের প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বিস্তর চাপান-উতোরের পর শেষ অবধি গত কাল রাতে মুক্তি পেলেন কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতির নেতা অখিল গগৈ। ২২ জুন দিসপুর কাণ্ডের জেরে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। তাঁর নামে ১০টি ধারায় মামলা দায়ের করে পুলিশ। তিনদিন পুলিশ হাজতের পরে আদালত তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠান। পিঠের ব্যথার জন্য, আদালতের নির্দেশে, গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অখিলকে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার আদালত বিভিন্ন মামলায় তাঁকে জামিন দেয়। গত কাল দুপুর থেকেই তাঁর মুক্তির অপেক্ষায় সহস্রাধিক মানুষ হাসপাতালের সামনে জড়ো হয়। তখনই খবর রটে, ফের ৪টি মামলা চাপিয়ে গ্রেফতার করা হতে পারে অখিলকে। প্রতিবাদে কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি আত্মঘাতী বাহিনী গড়ার হুমকি দেয়। গোটা হাসপাতাল ঘিরে ফেলে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত রাতে অখিলকে মুক্তি দেওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে বের হয়ে ব্যাপক সমর্থনের জন্য অসমবাসীকে অখিল কৃতজ্ঞতা জানান। সেই সঙ্গে বৃহৎ নদীবাঁধ বিরোধী ও জমির অধিকার নিয়ে আন্দোলন আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

মুঙ্গেরের ভেলবা দিয়াড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারটি বেআইনি অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান মিলল। চারটি বাড়িতে পুলিশ বেআইনি অস্ত্র কারখানার হদিশ পায়। ওই বাড়িগুলি থেকে পুলিশ বেশ কয়েকটি নির্মীয়মাণ পিস্তল, ম্যাগাজিন এবং অন্য অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। কারখানার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ৭ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মুফস্সিল থানার ওসি এম এ খান জানিয়েছেন, ধৃতদের কাছ থেকে একটি নৌকাও আটক করেছে পুলিশ।

বিমানে ওঠার পরে খারাপ আবহাওয়া বা অন্য কোনও কারণে উড়ান ছাড়তে দেরি হলে যাত্রীদের পর্যাপ্ত পরিষেবা দেওয়ার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি আর ভি রবীন্দ্রন এবং এ কে পট্টনায়কের বেঞ্চের রায়, ওই পরিষেবা না দিলে যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থাকে। শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এ ক্ষেত্রে কম ভাড়ার বিমান সংস্থাগুলোও দায় এড়াতে পারবে না। কারণ, কম ভাড়া নিচ্ছে বলেই ওই বিমান সংস্থাগুলো যাত্রীদের অবহেলা করতে পারে না। শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়েছে, আটকে পড়া যাত্রীদের জল, খাবার দিতে তো হবেই, শৌচাগারের ব্যবস্থা করতেও বিমানসংস্থাগুলো বাধ্য। আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে এই পরিষেবা দেওয়াই চালু প্রথা।

Previous Story Desh Next Item


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.