|
|
|
|
পশ্চিমে বৈঠক, শীঘ্রই হবে গ্রন্থাগার নির্বাচন
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সব মিলিয়ে ১৫৮টি গ্রন্থাগার রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। এর মধ্যে ৬৫টি গ্রন্থাগারেই পরিচালন সমিতির মেয়াদ ফুরিয়েছে। দীর্ঘদিন নির্বাচন হয়নি। এই ৬৫টি গ্রন্থাগারে পরিচালন সমিতির নির্বাচন যত দ্রুত সম্ভব করানোর সিদ্ধান্ত হল বৃহস্পতিবার। এ জন্য বিডিও ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ পাঠানো হবে।
এ দিন মেদিনীপুরে ‘লোকাল লাইব্রেরি অথরিটি’র (এলএলও) সভা হয়। ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) বাসব বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিক ইন্দ্রজিৎ পান, এলএলও’র সদস্য দীনেন রায়, অজিত মাইতি, বিক্রম প্রধান। বৈঠক শেষে অজিতবাবু বলেন, “৬৫টি গ্রন্থাগারে পরিচালন সমিতির নির্বাচন করতে হবে। দীর্ঘদিন নির্বাচন হয়নি। ফলে, কিছু সমস্যাও হচ্ছে। ওই সব গ্রন্থাগারে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন করানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। জেলা থেকে বিডিও- পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের প্রয়োজনীয় নির্দেশও পাঠানো হবে।”
পাশাপাশি, ২৮টি গ্রন্থাগারের পরিচালন সমিতিতে এলএলও’র প্রতিনিধি পাঠানো নিয়েও আলোচনা হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, শীঘ্রই প্রতিনিধির নাম চূড়ান্ত করে ওই ২৮টি গ্রন্থাগারে পাঠানো হবে। সামনে লোকসভা নির্বাচন রয়েছে। নির্বাচন মিটলে গ্রন্থাগার কর্মীদের বদলি শুরু হবে। পশ্চিম মেদিনীপুরে সবমিলিয়ে যে ১৫৮টি গ্রন্থাগার রয়েছে, তারমধ্যে গ্রামীণ গ্রন্থাগার ১৪২টি, শহরের গ্রন্থাগার ১৫টি এবং জেলা গ্রন্থাগার ১টি। বহু গ্রন্থাগার কর্মীর অভাবে ধুঁকছে। জেলায় অর্ধেকেরও বেশি পদ শূন্য। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলার ১৫৮টি গ্রন্থাগারে সবমিলিয়ে ৩৫৪টি পদ রয়েছে। এর মধ্যে ১৮১টি পদই শূন্য। কর্মী রয়েছেন ১৭৩ জন। অর্ধেকেরও বেশি পদ শূন্য পড়ে থাকায় গ্রন্থাগারগুলোতে নানা সমস্যা হয়। কর্মীদের পাশাপাশি পাঠকেরাও সমস্যায় পড়েন। পরিস্থিতি ঠিক কী? জেলা গ্রন্থাগারে পদ রয়েছে ১০টি। কর্মী রয়েছেন ৭ জন। শহরের গ্রন্থাগারগুলোতে পদ রয়েছে ৬০টি। কর্মী রয়েছেন ৪১ জন। অন্যদিকে, গ্রামীণ গ্রন্থাগারগুলোতে সবমিলিয়ে অনুমোদিত পদের সংখ্যা ২৮৪টি। কর্মী রয়েছেন ১৩৩ জন। এক সময় গ্রামীণ গ্রন্থাগার ঘিরে স্থানীয় গ্রামবাসীদের উৎসাহের অন্ত ছিল না। আশাপাশের গ্রামের মানুষও গ্রন্থাগারে আসতেন। বই পড়তেন। দিন বদলের সঙ্গে ওই ছবিটাও বদলেছে। এখন আর ততটা উৎসাহ নেই। গ্রন্থাগারগুলোও নানা সমস্যায় জর্জরিত। কোথাও পুরনো ভবন। সামান্য বৃষ্টি হলে ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ে। বইপত্র ভেজে। পরিকাঠামোগত সমস্যা যে রয়েছে, তা মানছেন এলএলও’র সদস্য তথা জেলা পরিষদের তৃণমূল পরিষদীয় দলনেতা অজিতবাবু। তিনি বলেন, “পরিকাঠামোগত কিছু সমস্যা রয়েছে। তার সমাধানে পদক্ষেপও করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কিছু সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।”
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শূন্য পদের বিষয়টি রাজ্যকেও জানানো হয়েছে। রাজ্য অনুমোদন দিলে কর্মী নিয়োগ শুরু হবে। অজিতবাবু বলেন, “বাম- আমলেই গ্রামীণ গ্রন্থাগারগুলো ধুঁকতে শুরু করে। পরিকাঠামো ভেঙে পড়ে। তখন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়নি। এখন গ্রন্থাগারগুলোর পরিকাঠামো উন্নয়নে রাজ্য সরকার সব রকম চেষ্টা করছে।” এলএলও’র এক সদস্য মানছেন, “গ্রামীণ গ্রন্থাগারগুলো চালু রাখতে হলে নূন্যতম পরিকাঠামো দরকার। কর্মীর সংখ্যা কম থাকলে সমস্যা তো হবেই।” |
|
|
 |
|
|