খবর এক মুঠো
মহুয়া, কুর্চি, কনকচাঁপা, পারুল কলকাতায় বিরল হয়ে যাওয়া এ সব গাছের পুনর্বাসনকেন্দ্র গড়ে উঠতে চলেছে নিউটাউনে। কেবল এ সব গাছই নয়, রবীন্দ্রসাহিত্যে উল্লেখ রয়েছে, এমন হরেক রকমের কয়েক হাজার গাছ থাকবে সেখানে। উদ্যানের নাম তাই রাখা হয়েছে ‘রবি-অরণ্য’। এই অরণ্যের আয়তন তিন একরের উপরে। ছাতিম থেকে অমলতাস, বট-অশ্বত্থ-অশোক-আম-আমড়া—সবরকম গাছই থাকবে এই বনে। ৪৮০ একর এলাকা ঘিরে তৈরি হচ্ছে এই ইকো-পার্ক। এই পার্কের সাড়ে নয় একর জায়গায জুড়ে তৈরি হচ্ছে ‘ট্রপিক্যাল রেন ফরেস্ট গার্ডেন’। এ ছাড়াও থাকছে একটি ‘হার্বাল গার্ডেন’। প্রকল্পের দু’টি ‘ইকো জোন’-এ থাকছে বিভিন্ন ‘ওয়েট্ল্যান্ড’, ‘গ্রাস্ল্যান্ড’। ‘অ্যাক্টিভ জোন’-এ রেস্তোরাঁ, ফুড কোর্ট, সংগ্রহশালা, হস্তশিল্পের হাট প্রভৃতি। ‘লেক জোন’-এ থাকবে বাহারি সেতু, বন্য ফুলের বাহার। ‘থিম এরিয়া’য় ‘হার্বাল গার্ডেন’, ‘ওয়াটার গার্ডেন’ ছাড়াও থাকবে ‘টি প্লান্টেশন এরিয়া’। সৌন্দর্যায়নের অঙ্গ হিসেবে বাগানের মধ্যে পায়ে চলার পথ (ওয়াক ওয়ে) তৈরি হবে। ইকো পার্কের মূল বিস্তীর্ণ জলাশয়টির মধ্যে যে দ্বীপভূমিটি রয়েছে, সেখানে তৈরি করা হবে ভাসমান এক আন্তর্জাতিক মানের কনফারেন্স হল ও কটেজ। পাশাপাশি, থাকবে নৌকাবিহারের ব্যবস্থাও। কনফারেন্সে আসা প্রতিনিধিরা সেখানে নৌকা চড়তে পারবেন। দিল্লি থেকে পরামর্শদাতা সংস্থার দাবি, “ঠিক এ রকম পার্ক শুধু ভারতে কেন, গোটা বিশ্বে নেই। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় এটা যতটা সহায়ক হবে, ততটাই সফল হবে পর্যটক টানতে।

প্রথম বছর এসেছিল ৫০ থেকে ৬০ জোড়া। পরের বছর আরও বেশি। এ বার আড়াই হাজারের বেশি শামুকখোল সংসার পেতেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জের আঙিনা এলাকায়। তাই ‘আঙিনা পাখি ও পরিবেশ সুরক্ষা সমিতি’র সম্পাদক বিশ্বজিত বসাক ও সদস্যরা সম্প্রতি কলকাতার পর্যটন মেলায় আঙিনা পাখিরালয়কে সামনে রেখে জেলার ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পর্যটনক্ষেত্র গুলিকে একসূত্রে বেঁধে পুজোয় দু’দিনের এক ভ্রমণসূচি তৈরি করেছেন। সমিতির সম্পাদক বিশ্বজিতবাবু বলেন, “আঙিনার জঙ্গলে ছোট ছোট তাঁবুতে লণ্ঠনের আলোয় রাতে থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে থাকছে গ্রাম ঘুরে পুকুরে ছিপ ফেলে কিংবা জাল দিয়ে মাছ ধরার ব্যবস্থাও।” তিনি আরও জানান, চারদিকে পরিখা দিয়ে ঘেরা ও পুরাতত্ত্বের নিদর্শন সম্বলিত গঙ্গারামপুরে ঐতিহাসিক বানগড় দুর্গনগরী পরিদর্শনের ব্যবস্থাও রাখা হবে। কালদিঘি, ধলদিঘি, মালিয়ান দিঘি, আলতাদিঘির ইতিহাস ছুঁয়ে দেখার বিষয়টিও প্যাকেজের আওতায় রয়েছে। বখতিয়ার খিলজীর সমাধি, শমীবৃক্ষ সহ একাধিক পুরাতত্ত্বের নিদর্শন দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে হিলি সীমান্তেও। বালুরঘাটে অতিথিশালা কিংবা লজে রাত্রিবাস করানোর কথা ভেবেছেন উদ্যোক্তারা।

দীর্ঘ ১৫ মাসের বিরতির পর ফের গুয়াহাটি থেকে শিলং-এর উদ্দেশে উড়ল পবনহংস হেলিকপ্টার। শীঘ্রই মেঘালয়ে যাত্রী পরিষেবাও শুরু করতে চলেছে তারা। আর পুরোনো এমআই ১৭২ নয়, মেঘালয় সরকারের সঙ্গে নয়া চুক্তি অনুযায়ী, দুই ইঞ্জিনের ডফিন এয়ারো স্পেশাল ৩৬৫ এন ৩ হেলিকপ্টার, দক্ষ চালক ও কর্মী-সহ গুয়াহাটি বিমানবন্দরে হাজির করা হয়েছে। দুই চালক, দুই সহকারী ছাড়াও ১১ যাত্রী পরিবহণ করতে পারবে এই হেলিকপ্টারটি। ইউরোকপ্টারের তৈরি এই হেলিকপ্টার ২০ হাজার ফুট উচ্চতা অবধি উড়তে সক্ষম। আপাতত গুয়াহাটি-শিলং-তুরার আকাশে উড়লেও পরে, জোয়াইকেও কপ্টারের রুটে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।