খবর এক মুঠো
দিল্লির পরে এ বার মুম্বই থেকে উড়ান চালু করছে ইংল্যান্ডের বেসরকারি বিমান সংস্থা ‘ভার্জিন অ্যাটলান্টিক’। আগামী ২৯ অক্টোবর মুম্বই থেকে প্রতি দিন ভার্জিন-এর উড়ান লন্ডন যাবে। সংস্থার দাবি, লন্ডন থেকে সুবিধাজনক সময়ে পাওয়া যাবে নিউ ইয়র্ক, বস্টন, শিকাগো, ওয়াশিংটনের উড়ান।

মালদহ জেলার বামনগোলা থানার মদনাবতী গ্রামের মেঘডুমরা পুকুরপাড়ে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ঐতিহাসিক ‘কেরি মেলা’। বাংলা হরফের ছাপাখানার জনক উইলিয়ম কেরির পুত্র পিটার কেরির সমাধিতে পুষ্পার্ঘ দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অঞ্চলের বিশিষ্ট বাসিন্দারা। দশ দিনের এই মেলায় নানা রকম জিনিসের পসরার পাশাপাশি বসেছিল সার্কাসের তাঁবু, জাদুখেলার আসর। মেলার মঞ্চে কেরি সম্পর্কে আলোচনা ও কবিতা পাঠ হয়। মেঘডুমরা পুকুর পাড়ের নীলচাষের ধ্বংসস্তূপ আজও নীরবে বলে চলে নীল চাষের কাহিনি ও উইলিয়ম কেরির কীর্তি।

গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীকে ভারতের পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করার জন্য নানা পরিকল্পনা নিয়েছে নেপালের পর্যটনের সঙ্গে জড়িত সংগঠনগুলি। ‘ভিজিট লুম্বিনী, ইয়ার-২০১২’ নাম দিয়ে একটি বিশেষ প্রচার অভিযান শুরু হয়েছে সংগঠনগুলি। সম্প্রতি শিলিগুড়িতে ইস্টার্ন হিমালয়ান ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকও করেন নেপালের প্রতিনিধিরা। তাঁরা জানিয়েছেন, ভারতে ধার্মিক পর্যটন অত্যন্ত জনপ্রিয়। কিন্তু বহু ঘুরপথে পর্যটকদের লুম্বিনী পৌঁছাতে হয়। শিলিগুড়িকে ‘ট্রানজিট’ করে কাঁকরভিটা হয়ে সহজে পৌঁছানো যায়। ইতিমধ্যে খড়িবাড়ি লাগোয়া নেপালের কাঁকরভিটা থেকে লুম্বিনী যাওয়ার দু’টি বাস চালু করা হয়েছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসও চালু হবে।

সুন্দরবনে ক্যামেরাবন্দি হল অজানা এক প্রাণী ‘মেলানিস্টিক লেপার্ড ক্যাট’। প্রাথমিক পরীক্ষার পর এমনই মত ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার বিশেষজ্ঞদের। সুন্দরবনে অতীতে এই প্রাণীর অস্তিত্বের কোনও তথ্য প্রমাণ নেই। শুধু তাই নয়, গোটা দেশে এই প্রথম বারের জন্য লেন্সবন্দি হল এই বিরল প্রজাতির প্রাণী। বন দফতর এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচার, ইন্ডিয়ার উদ্যোগে সম্প্রতি ক্যামেরা বসানো হয় রামগঙ্গা এবং রায়দিঘি রেঞ্জের বিভিন্ন এলাকায়। ২৬ ফেব্রুয়ারি আজমলমারিতে দু’বার ক্যামেরার মুখোমুখি হয় এই প্রাণীটি। ফিশিং ক্যাট ও লেপার্ড ক্যাটের সঙ্গে মিল থাকলেও এর পরিচিতি সম্পর্কে সংশয়ে ছিলেন বিশেষজ্ঞরা। অবশেষে একে মেলানিস্টিক লেপার্ড ক্যাট হিসেবে চিহ্নিত করেছেন দেরাদুনের বিশেষজ্ঞরা।

খুব ছোটবেলায় এয়ার-গান হাতে পাখি শিকারে নেমে শেষমেশ চড়াইয়ের প্রেমে পড়েছিলেন সালিম আলি। তার পর তাঁর জীবনের মোড় পাল্টে যায়। সালিম আলি হয়ে ওঠেন প্রবাদপ্রতিম পক্ষীবিশারদ। বাইবেলেও উল্লেখ রয়েছে খুদে এই পাখিটির। ওয়ার্ডসওয়ার্থ, লরেন্স ডানবার বা লংফেলোর কবিতাতেও ঠাঁই করে নিয়েছে চড়াই। আর এহেন চড়াই মন কেড়েছে অচিন্ত্য মারিকেরও। মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা অচিন্ত্যবাবু। ছোটবেলায় বাড়ির আলসেতে চড়াইয়ের বাসা খুঁচিয়ে ভাঙা থেকে ডিম নষ্ট, সবই করেছেন। তার পর ধীরে ধীরে ভালবেসে ফেলেছেন এই ছোট্ট পাখিটিকে। অচিন্ত্যবাবু জানালেন, অনেকদিন ধরেই এই পাখির প্রতি বিশেষ অনুরাগ রয়েছে তাঁর। তা ছাড়া, চড়াইয়ের সংখ্যাও এখন কমছে। এ নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোও তাঁর বিশেষ উদ্দেশ্য।

গুয়াহাটি চিড়িয়াখানায় এল নতুন অতিথি। রাঁচির ভগবান বিরসা বায়োলজিক্যাল পার্ক থেকে এক জোড়া ডোরাকাটা হায়না ও এক জোড়া নির্বাক রাজহাঁস চিড়িয়াখানায় আনা হয়েছে। বদলে, রাঁচি পাড়ি দিচ্ছে, একটি চিতাবাঘ ও একজোড়া লেপার্ড ক্যাট। বর্তমানে গুয়াহাটির চিড়িয়াখানায় ১৫টি চিতাবাঘ ও ২৬টি লেপার্ড ক্যাট রয়েছে। ডিএফও উৎপল বোরা জানান, এ মাসেই বিশাখাপত্তনমের ইন্দিরা গাঁধী চিড়িয়াখানা থেকে এক জোড়া স্লথ, একজোড়া রিং নেক্ড ফেজ্যান্ট, এক জোড়া সোনালি ফেজ্যান্ট ও তিনটি বনেট ম্যাকাক আনা হবে। পাঠানো হবে ব্রো অ্যান্টলার্ড হরিণ, রোজি পেলিক্যান, ভলুক ও লেপার্ড ক্যাট। একই মাসে, রায়পুরের নন্দন বন বিহার থেকে, দুই জোড়া চার শিঙা অ্যান্টেলোপ ও একজোড়া মনিটর লিজার্ড পাবে অসম চিড়িয়াখানা। পাঠানো হবে এক জোড়া রয়্যাল বেঙ্গল, এক জোড়া হিমালয়ান ভালুক।

গত তিন বছরে পবিতরায় ১৭টি গন্ডার বেড়েছে। সম্প্রতি মরিগাঁও জেলার পবিতরা অভয়ারণ্যে গন্ডার সুমারি হয়। ২০০৯ সালে এখানে ৮৪টি গন্ডার ছিল। গত কালের সুমারি শেষে সংখ্যাটি দাঁড়ায় ৯৩। পবিতরা থেকে ৮টি গন্ডার মানস জাতীয় উদ্যানে পাঠানোর পর এই অভয়ারণ্যে মোট গন্ডারের সংখ্যা হয়েছে ১০১টি। রেঞ্জার মুকুল তামুলি জানান, এই অভয়ারণ্যে গন্ডারের চারণভূমি মাত্র ১৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকা। এই এলাকায় বিজ্ঞানসম্মত ভাবে কত গন্ডার রাখা উচিত তা নিয়ে বন দফতরকে সমীক্ষার অনুরোধ জানানো হয়েছে। তামুলির মতে, আর গোটা বিশেক গন্ডারের জায়গা পবিতরায় হতে পারে। ১৬ মার্চ ওরাং জাতীয় উদ্যানে গন্ডার সুমারি হয়। সেখানে গন্ডারের সংখ্যা ১০০।

শুধু আগলে রাখাই নয়, শত্রুর হাত থেকে সন্তানদের বাঁচাতে মুখের ভেতরে নিয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পালিয়ে বেড়াতে হয়। এমনকী উপোসও করতে হয় তাদের। তারা আর কেউ নয়, অস্ট্রেলিয়ার বাবা কার্ডিনাল মাছ। কার্ডিনাল মাছেদের নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে জেমস কুক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই তথ্য তুলে ধরেছেন। তাঁদের এই গবেষণা ‘প্রসিডিং অফ দ্য রয়্যাল সোসাইটি বি জার্নাল’-এ প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণা অনুযায়ী মূলত আণুবীক্ষণিক উদ্ভিদ ও প্রাণীদের খেয়ে বেঁচে থাকে কার্ডিনাল মাছেরা। ডিম পাড়ার পরে মা মাছেদের আর দায়িত্ব থাকে না। এর পর সব দায়িত্ব নেয় বাবা কাডির্নালরা। ডিমগুলো তারা নিজেদের মুখে পুরে নেয়। এই সময় বাবা কাডির্নালরা কিছুই খায় না। দেহে সঞ্চিত স্নেহ পদার্থ থেকে কাজ করার শক্তি পায় তারা। সপ্তাহ খানেক পরে ডিম ফুটে বাচ্চা বেরোলে তবেই মুক্তি পায় বাবারা। কিন্তু এই আচরণই তাদের বড় বিপদের মুখে ফেলেছে বলে মনে করছেন গবেষকরা। তাঁদের মতে, পরিবেশ দূষণের জন্য পৃথিবীর উষ্ণতা যত বাড়ছে, তত সমুদ্রে অক্সিজেন ও কার্ডিনাল মাছের খাবারের পরিমাণ কমছে। ফলে প্রায় পাঁচ কোটি বছরের সন্তান পালনের অভ্যাস এখন প্রায় বিলুপ্তির মুখে।

গত মাসে এক সপ্তাহের সফরে গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ-এ এলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি দল। অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের উপকূলে অবস্থিত পৃথিবী বিখ্যাত এই ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’-এর পরিবেশ এখন বিপন্ন। বর্তমানে চারশো প্রকারের প্রবাল ও পনেরোশো প্রজাতির মাছের সন্ধান মেলে এই রিফে। দেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ কয়লা উৎপাদনকারী রাজ্য কুইন্সল্যান্ডের কয়লা শিল্প গড়ে উঠেছে গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে ঘিরেই। প্রকৃতিবিদদের আশঙ্কা, এখান থেকে ক্রমাগত কয়লার খনন ও তেল-গ্যাসের সন্ধানে খোঁজের ফলে বিপর্যস্ত এর প্রাকৃতিক পরিবেশ। এ বিষয়ে সরকারি পর্যালোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কয়লা শিল্প ঘিরে সমস্ত রকম কাজ বন্ধের জন্য সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তারা। এ আশঙ্কাকে সমর্থন করেছেন গ্রিনপিস অস্ট্রেলিয়া প্যাসিফিক-এর বরিষ্ঠ ব্যক্তিত্ত্ব জন হেপবার্ন। রাষ্ট্রপুঞ্জের দলটি তাদের সফর শেষে নিজেদের প্রস্তাবসমূহ পেশ করবেন ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি’র কাছে। এ ছাড়াও এ সম্পর্কে আলোচনার জন্য অস্ট্রেলীয় সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও দেখা করবেন তাঁরা। এ ছাড়াও পরিবেশবিদরা জানিয়েছেন জাহাজ চলাচলের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সমুদ্রের তলার এ অঞ্চল। তাঁদের মতে, এর ফলে ভারসাম্য হারাবে এখানকার পরিবেশ। তাঁদের আরও আশঙ্কা, এ ভাবে ক্রমাগত এ অঞ্চলের ক্ষতি হতে থাকলে ভবিয্যতে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’-এর মর্যাদাও হারাতে পারে গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ।

চিরাচরিত পদ্ধতির বদলে মাছ মারতে জলে ছড়ানো হচ্ছে বিষাক্ত কীটনাশক। পেঁচা ও বুনো হাঁস মারতে টোপ হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে বিষ-ফড়িং। আসলে ইঞ্জেকশন দিয়ে ফড়িংয়ের শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিষ। সেই ফড়িং খেয়ে মারা পড়ছে ভাসমান তৃণভূমিতে বিচরণশীল বুনো হাঁস ও পেঁচা। এই ভাবে মণিপুরের লোকটাক সংলগ্ন এলাকায় জলেস্থলে ব্যাপক হারে ছড়াচ্ছে রাসায়নিক বিষ। বিষ দিয়ে মারা মাছ ও বুনো হাঁসের মাংস খাওয়াটা শরীরের পক্ষেও ক্ষতিকর। পরিবেশবিদরা উদ্বিগ্ন। এই অবস্থায় ‘সেভ লোকটাক’ ও ‘লোকটাক ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’ ফুবাকচাও ও পূর্ব লোকটাক এলাকায় মরা মাছ ও সেঁকা মাছ বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। লোকটাক ডেভেলপমেন্ট অথরিটির প্রকল্প অধিকর্তা থংনাম ইবোবি জানান, লোকটাকে বাঁধ নির্মাণের পরে মৎসজীবীরা মাছ মারার জন্য কীটনাশকের ব্যবহার শুরু করেন। বর্তমানে, বেশি মাছ মারতে ‘হিলডান’-এর মতো কীটনাশক ব্যবহার শুরু হয়েছে। যা মানুষের শরীরের পক্ষেও মারাত্মক। বিশেষ ভাবে মাইবাম ফুমলাক ও ফুবাকচাও এলাকায় ঢালাও ভাবে এই কীটনাশকের ব্যবহার চলছে। ইতিমধ্যেই, পরীক্ষণাগারে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, সরোবরের ওই অংশের জলে বিষাক্ত রাসায়নিকের পরিমাণ রীতিমতো বিপজ্জনক।

সম্প্রতি উত্তর অস্ট্রেলিয়ার কাছের সমুদ্র থেকে সন্ধান মিলেছে বিরল প্রজাতির সাপের। অত্যন্ত বিষাক্ত এই সাপের মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত সমস্তটাই ঢাকা কাঁটাযুক্ত আঁশ দিয়ে। জীববিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকা ‘জুটেক্সা’র ২১ ফেব্রুয়ারির সংখ্যায় এই বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণী দেওয়া হয়েছে। বিবরণীর রচয়িতা ও ‘স্টাডি লিডার’ অ্যাডিলেড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকোলজিস্ট কনিষ্ক উকুওয়েলা জানিয়েছেন, বেশ কিছু সামুদ্রিক সাপের পেটের কাছে আঁশ দেখা গেলেও, এখনও পর্যন্ত সমস্ত গা জোড়া আঁশযুক্ত কোনও সামুদ্রিক সাপের দেখা মেলেনি। তিনি আরও জানিয়েছেন, সাধারণত সাপের গায়ে নরম আঁশ থাকে। কিন্তু সদ্য আবিষ্কৃত সাপের আঁশগুলি কাঁটাবিশিষ্ট। হলদেটে খয়েরি এই সাপের বৈজ্ঞানিক নামকরণ করা হয়েছে ‘হাইড্রোফিল ডোনাল্ডি’। এ ধরনের মোট ন’টি সাপকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ‘জুটেক্সা’য় প্রকাশিত প্রবন্ধের সহ-লেখক কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্রায়ান ফ্রাই জানিয়েছেন অন্য যে কোনও সাপের থেকে এটি দেখতে আলাদা। প্রতিটি সাপই ধরা পড়েছে উপকূলবর্তী সমুদ্রদেশের গভীর পাথুরে অঞ্চলে। হয়তো সে কারণেই এই সাপগুলির গায়ে কাঁটাযুক্ত আঁশ দেখা যায়। সমুদ্রের যে অঞ্চলে এই বিষাক্ত সাপগুলিকে উদ্ধার করা হয়েছে সেখানে সাধারণতঃ জনমানবের আনাগোনা খুবই কম। অত্যন্ত বিষাক্ত বক্স জেলিফিস, প্রমাণ সাইজের বুল শার্ক ইত্যাদি থাকায় এ তল্লাট এড়িয়ে চলে জেলেরাও।

কুলিক পক্ষিনিবাসে ৪৪ প্রজাতির প্রজাপতির হদিস পেল বন দফতর। সম্প্রতি, বন দফতর রায়গঞ্জের ওই পক্ষিনিবাসে একটি সমীক্ষা করেন। সেখানে একসঙ্গে একাধিক প্রজাতির প্রজাপতির দেখা মেলায় খুশি বন দফতরের কর্তা ও পরিবেশপ্রেমীরা। বন দফতরের আশা, পরিযায়ী পাখিরা চলে যাওয়ার পর প্রজাপতি দেখতেও পক্ষিনিবাস চত্বরে পর্যটকরা ভিড় জমাবেন। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিবছর জুন-জুলাই নাগাদ ওপেন বিল স্টক, লিটিল করমোন্যান্ট, নাইট হেরন, লিটিল ইগ্রেট সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি পক্ষিনিবাসে আসে। প্রজননের পর জানুয়ারি-ফ্রেব্রুয়ারি মাস নাগাদ তারা ফিরে যায়। পরিযায়ী পাখিদের দেখতে প্রতিবছর প্রচুর পর্যটক পক্ষিনিবাসে ভিড় করেন। পরিযায়ীরা চলে যাওয়ার পর পর্যটকরা যান না। বন দফতরের কর্তারা টানা সমীক্ষা চালিয়ে পক্ষিনিবাস চত্বরে কমন ওয়ানডেরার, বারোনেট, অ্যাঙ্গলেড ক্যাসটর, গ্রেট এগফ্লাই, কমন ক্যাসটর, ব্লু মরমন, কমন মরমন, কমন গ্রাস ইওলো, রাইস সুইফ্ট, কমান্ডার, মটলেড এমিগ্র্যান্ট, লাইম, কমন সেইলর, পাল্মফ্লাই, কমন মাইম, পিকক প্যান্সি, গ্রে প্যান্সি, লেমন প্যান্সি, কমন ক্রো, কমন ইভিনিং ব্রাউন, কমন ব্যারোন, কমন পিয়েরোট, রাউন্ডেড পিয়েরোট, সাইক, গ্র্যাস ডেমন, কমন সিলেট ব্লু, কমন টিগার, পাল গ্র্যাস ব্লু, কমন রেড আই, লাইম ব্লু, চকোলেট রয়্যাল, ডার্ক গ্র্যাস ব্লু, হোয়াইট টুফটেড রয়্যাল, স্কারলেট ফ্ল্যাস, শ্রীলঙ্কান কমন কুয়াকার, ডার্ক পাল্ম ডার্ট, অ্যাপেফ্লাই, কমন ব্রুশ ব্রাউন, কমন জ্যা, কমন লিওপার্ড, কমপ্লিট পেন্ট ব্রাশ সুইফ্ট, ইয়ামফ্লাই, মায়ানমার কমন কুয়াকার ও লেসার গ্র্যাস ব্লু প্রজাতির প্রজাপতির খোঁজ পেয়েছেন। ওই প্রজাপতি গুলির গায়ে সাদা, বাদামি, হলুদ, কালো, নীল, ছাই, রাণী, বেগুনি কমলা, আকাশি সহ বিভিন্ন রঙের নজরকাড়া নকশা রয়েছে। প্রজাপতিগুলির আকৃতিও বিভিন্ন নকশার আলপনার মতো।