এ বার দেখব অধিনায়ক
কোহলি কোথায় আলাদা
বার নজর বিরাট কোহলির উপর থাকবে। এমনকী ওর নিজের নজরও! পরের সপ্তাহদুয়েক ও কী ভাবে এগোবে? মহেন্দ্র সিংহ ধোনির থেকে আলাদা, স্বতন্ত্র অধিনায়কত্বের স্টাইল আমদানি করবে? না উপমহাদেশের পরিবেশে রান নিংড়ে নেওয়ার সেই চিরাচরিত ধারা বজায় রাখবে? বেঞ্চ স্ট্রেংথ পরখ করবে, নাকি চেনা মুখের উপরই ভরসা রাখবে? ধোনির অনুপস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থাকবে, না নিজস্ব ধুমধাড়াক্কা স্টাইলে ব্যাট করে যাবে? বিরাটের কেরিয়ারে এটা মাহেন্দ্রক্ষণ, আগামী বছরগুলোর একটা ঝলক যে বছরগুলোয় ওর ব্যাটিং আর অধিনায়কত্ব মিলেমিশে যেতে পারে। নিজের স্বপ্নের সঙ্গে বাস্তব কী ভাবে মেলাবে, সেটাই কিন্তু বিরাটের আসল পরীক্ষা।
বাস্তব এটাই যে, শেষ দশ ওভারে ভারত নিয়মিত একশোর উপর রান দিচ্ছে। এটাও সত্যি, মাঝের ওভারে উইকেটের জন্য স্ট্রাগল করছে ভারত। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা আর নিউজিল্যান্ড পরপর চারটে সিরিজে একই জিনিস হয়েছে। আর একটা বাস্তব হল, অভিজ্ঞ ধোনি, রায়না, যুবরাজ আর জাহিরকে পাশে পাচ্ছে না বিরাট। সবচেয়ে বড় বাস্তব সম্ভবত এটা যে, এ বারের প্রচণ্ড প্রতিযোগিতামূলক এশিয়া কাপে আফগানিস্তানকেও হালকা ভাবে নেওয়া যাবে না। আর মনে রাখতে হবে, একই পরিবেশে কয়েক দিন পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর বসতে চলেছে।
বাস্তববাদীরা বলবেন, ফাতুল্লাহে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের হয়তো তৃতীয় মিডিয়াম পেসারের দরকার পড়বে না। এই মাঠে তিন মাস আগে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ চার পেসার খেলিয়েছিল। নিউজিল্যান্ড সেখানে কিন্তু মাত্র একজন পেসার খেলিয়েছিল। কোহলিকে ভাবতে হবে যে, অবস্থা বুঝে ব্যবস্থার নীতিতে ও অমিত মিশ্রকে খেলাবে? নাকি বরুণ অ্যারন বা ঈশ্বর পাণ্ডের মতো তরুণ পেসারকে সুযোগ দেবে? স্টুয়ার্ট বিনির উপর কিন্তু আলাদা করে নজর রাখা দরকার। নিয়মিত ব্যাটসম্যানের বদলে ওকে টিমে রাখলে ও বাড়তি ভারসাম্য নিয়ে আসতে পারে। আশা করব রোহিত শর্মা তাড়াতাড়িই ফর্মে ফিরবে। আর ধোনির জায়গায় দীনেশ কার্তিক এসেছে, যার কব্জির মোচড়ে ফিল্ডারদের ফাঁক দিয়ে মাঠ-ঘেঁষা শট আছে। ভাল শুরু করতে পারলে ওকে ব্যাটিং অর্ডারে ওপর-নীচ করাই যায়। চার নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ স্লটটা পূজারার পাওয়া উচিত। মিডল অর্ডারে যে থিতু ভাব দরকার, সেটা ও আনতে পারবে। ওর উপর ভবিষ্যতের জন্য লগ্নি করাই যায়।
স্লো উইকেটে স্ট্রাইক রোটেট করা ভীষণ জরুরি। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের সিঙ্গলস নেওয়ার ক্ষমতাটার আরও উন্নতি দরকার, বিশেষ করে অশ্বিন বা পূজারার মতো ক্রিকেটারদের। এই একটা ক্ষেত্রে কিন্তু কারও উন্নতি তার বিপক্ষের উপর নির্ভর করে না।
যাই হোক, আসল কথা হল যে, কোহলির উপর সবার নজর থাকবে। কেউই ওর কাছ থেকে নিখুঁত নেতৃত্ব আশা করছে না। কিন্তু ভবিষ্যতে ওর কাছ থেকে কী পাওয়া যেতে পারে, সেটা বুঝিয়ে দেবে এই টুর্নামেন্ট। অনেক দিন পর ফেভারিট হিসেবে টুর্নামেন্ট শুরু করছে না ভারত। যেটা অনেক দিক থেকে বিরাটকে রিল্যাক্স করার, নেতৃত্ব উপভোগ করার সুযোগ দেবে।

বিরাট (কোহলি) চাপে থাকবে। যদি ভাল ফল করতে পারে তা হলে ওর জন্য শুরুটা দারুণ হবে। বিরাটকে একটা টুর্নামেন্টে দেখে বিচার করাটা ঠিক হবে না। অধিনায়ক হিসেবে ওর থেকে দারুণ কিছু আশা না করাই ভাল। সাম্প্রতিক সিরিজগুলোয় ভারতের খারাপ ফলের জন্য বিরাটের উপর প্রত্যাশা থাকবে বেশি। ধোনির একটা ফর্ম্যাট থেকে অবসর নেওয়া নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। যার জন্য বিরাটের উপর আরও চাপ থাকবে। এই সিরিজে ভারত বিশাল ভাবে ধোনির অভাব টের পাবে। একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে তো বটেই উইকেটকিপার হিসেবেও ধোনি সর্বোচ্চ মানের।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.