পুলিশ তদন্তে ক্ষোভ চাঁচলে
নিজস্ব সংবাদদাতা • চাঁচল |
মালদহের ট্রেনের তলায় দুই শিশু-সহ এক মহিলার মৃত্যুর পর অভিযুক্তদের ধরা নিয়ে জেলা পুলিশের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রতুয়া থানার শ্রীপুর এলাকায় ৫ বছর এবং আড়াই মাসের দুই শিশুকন্যাকে নিয়ে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে অপর্ণা মণ্ডলের (২৭) বিরুদ্ধে। ঘটনার পর রেল অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করা ছাড়াও তাঁর দুই সন্তানকে খুনের জন্য মৃতার নামে একটি খুনের মামলাও রুজু করে। ঘটনার রাতেই বধূর পরিবারের তরফে রতুয়া থানায় নির্যাতনের অভিযোগ জানানো হয়। তার পরেও অভিযুক্তদের ধরা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। জেলা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কংগ্রেস, আরএসপি। উত্তর মালদহের কংগ্রেস সাংসদ মৌসম বেনজির নুর বলেন, “অভিযুক্তদের ধরার দায়িত্ব পুলিশের। এই নিয়ে পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলব।” স্থানীয় আরএসপি বিধায়ক আবদুর রহিম বক্সি বলেন, “প্রশাসন কী ভাবে চলছে তা শ্রীপুরের ঘটনাতেই স্পষ্ট।” মৃতার দাদা শক্তিপদ মণ্ডল সোমবার বলেন, “ময়নাতদন্তের পর রবিবার রাতে বোন ও ভাগ্নিদের শেষকৃত্য করা হয়েছে। অভিযুক্তদের এখনও কেন ধরা হচ্ছে না জানি না।” ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন মৃতার স্বামী অরবিন্দ মণ্ডল, তার দুই দাদা ও এক বোন। অরবিন্দ এ দিন ফোনে বলেন, “আমরা নির্দোষ। অযথা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। তবে স্ত্রী এমন করল কেন তা পরিষ্কার নয়।” দ্রুত অভিযুক্তদের ধরার দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দা জেলা যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক আবু কালামও। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ।
|
বেতনহীন ৮ মাস
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
জেলার চল্লিশটি জাতীয় শিশু শ্রমিক পুনর্বাসন ও কল্যাণ কেন্দ্রের ৮০ জন শিক্ষক ও ৪০ জন করণিক আট মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। ওই ৪০টি কেন্দ্রের দু’হাজার ছাত্রছাত্রী তিন বছর ধরে ভাতার টাকা পাচ্ছে না। সোমবার জাতীয় শিশু শ্রমিক পুনর্বাসন কেন্দ্রের শিক্ষকরা জেলাশাসকের দ্বারস্থ হন। জেলাশাসক শরদ দ্বিবেদী বলেছেন, “মালদহে ফিরেই কেন্দ্রের শিক্ষকদের বেতনের বিষয়টি দেখব।” শিশু শ্রমিকদের পড়াশুনার জন্য ২০০৫ সালে জেলায় ৪০টি জাতীয় শিশু শ্রমিক পুনর্বাসন ও কল্যাণ কেন্দ্র চালু হয়েছিল। প্রতিটি কেন্দ্র ৫০ জন ছাত্র, দু’জন করে শিক্ষক ও এক জন করণিক কাজ করেন। শিক্ষকরা মাসে ৪ হাজার টাকা ও করণিকরা মাসে ৩ হাজার টাকা বেতন পান। ওই কেন্দ্রে পড়ুয়ারা প্রতি মাসে ১৫০ টাকা ভাতা পায়। কেন্দ্রগুলির প্রকল্প আধিকারিক শ্রম দফতরের সহকারী কমিশনার দেবু কর জানান, শিক্ষকদের বেতন ও ছাত্র ভাতা কেন্দ্রীয় শ্রম দফতর থেকে আসে। তাঁর কথায়, “আমরা বিল করে পাঠিয়েছি। আশা করছি এপ্রিল-মে মাসের মধ্যেই টাকা চলে আসবে।”
|
পাটি হাটের উদ্বোধন
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
শীতলপাটি বিক্রির পাটি হাটের উদ্বোধন হল কোচবিহারের ঘুঘুমারিতে। এখানে জেলার ঘুঘুমারি ও ধলুয়াবাড়ি এলাকায় তৈরি শীতলপাটি বিক্রির ব্যবস্থা থাকবে। সোমবার হাটটির উদ্বোধন করেন রাজ্যের পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির উদ্যোগে ১ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা খরচ করে ওই হাটে শেড, ২০টি স্টল ও সংযোগকারী রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার পাশে অস্থায়ীভাবে হাটটি চলছিল। পাশাপাশি, এদিন দিনহাটার রাখালমারিতে একটি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের নয়া ভবনের কাজের সূচনা করেন পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথবাবু। |
মেয়েদের স্কুলে ছেলেদের পরীক্ষা, বিতর্ক |
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে কোনও বালিকা বিদ্যালয়ে ছেলেদের পরীক্ষার আসন দেওয়া যাবে না। সোমবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় মালদহের মোহনপুর নিবেদিতা বালিকা বিদ্যালয়ে খাসকোল হাইস্কুলের ৬১ জন ছাত্রের পরীক্ষার আসন পড়েছে। মোহনপুর নিবেদিতা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শুচিস্মিতা ঘোষ বলেন, “মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্দেশিকায় লেখা রয়েছে, কোনও মেয়েদের স্কুলে ছেলেদের পরীক্ষাকেন্দ্র করা যাবে না। কী ভাবে আমাদের স্কুলে ৩৪৫ জন মেয়ে পরীক্ষার্থীর সঙ্গে ৬১ জন ছেলে পরীক্ষার্থীর আসন ফেলা হল বুঝতে পারছি না।” শিক্ষিকাদের অনেকেরই অভিযোগ, মেয়েদের স্কুলে ছেলেদের কোনও শৌচাগার নেই। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) আশিস কুমার চৌধুরী বলেন, “এ বার জেলায় ৪২ হাজার ৪১৯ জন পরীক্ষার্থী। মেয়ে ২৩ হাজার ৭২৮ জন ও ছেলে ১৮ হাজার ৬৯১ জন। জেলার ১০২ টি স্কুলে মাধ্যমিক পরীক্ষা হচ্ছে। ছেলেদের স্কুলের ছেলের আসন দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না দেখে এক রকম বাধ্য হয়ে মোহনপুর নিবেদিতা বালিকা বিদ্যালয়ের ৬১ জন ছাত্রের আসন ফেলতে বাধ্য হয়েছি।”
|
দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে মাধ্যমিকে বসেছে দৃষ্টিহীন ছাত্রী। ডুয়ার্সের ক্রান্তি এলাকার দেবীঝোরা উচ্চ বিদ্যালয়ের দৃষ্টিহীন পরীক্ষার্থী হিসাবে পরীক্ষায় বসেছে সাবিনা বানু। সম্পূর্ণ দৃষ্টিহীন সাবিনা শ্রুতিলেখক নিয়ে পরীক্ষায় বসেছে। ক্রান্তি লাগোয়া রাজাডাঙা পেন্দা মহম্মদ বিদ্যালয়ের ছাত্রী সাবিনা। অল্প বয়সেই বাবাকে হারিয়েছিল সাবিনারা দু’ভাই ও দু’বোন। সে সকলের ছোট। মা হাসিনা বেওয়া সংসার চালাতে দিনমজুরি করেন। দাদারা পড়া ছেড়েও দিয়েছে। কিন্তু সাবিনার লড়াই থামেনি। কাঠামবাড়ি বাজার লাগোয়া মাজার এলাকায় সাবিনার বাড়ি। শ্রুতিলেখক অনিলা রায়ও সাবিনার এই লড়াই এ সাহায্য করতে পেরে খুব খুশি। বাংলা পরীক্ষা ভালোই হয়েছে বলে জানিয়ে সাবিনা জানিয়েছে। ব্রেইল পদ্ধতিতে পড়াশুনো শিখে সে তাঁর মতো দৃষ্টিহীনদের সাহায্য করতে চায়।
|
পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে ছোট গাড়িতে চেপে বাড়ি ফেরার সময় তা উল্টে জখম হয়েছে ৯ জন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী-সহ ১১ জন। মালদহের চাঁচলের মকদমপুর এলাকায় সোমবার বিকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে। আহতদের প্রত্যেককে চাঁচল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর পরীক্ষার্থীদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। চালক-সহ এক অভিভাবিকার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বরুই পদ্মমনি হাইস্কুলের পরীক্ষাকেন্দ্র হয়েছে বীরস্থলি হাই স্কুলে। এ দিন ৫ ছাত্র ও ৪ ছাত্রী পরীক্ষাকেন্দ্রে যাতায়াতের জন্য একটি গাড়ি ভাড়া করে। তাদের সঙ্গে ছিলেন একজন অভিভাবিকাও। |