|
|
|
|
ধান কিনতে তিন দিনের শিবির, দেখা নেই চাষির |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
সরকারি নির্ধারিত মূল্যে ধান কেনার শিবির করেও পাওয়া গেল না চাষিদের। সবং ব্লকে তিন দিন ধরে চলা শিবিরের শেষ দিন ছিল সোমবার। রাজ্য সরকারের অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবারহ নিগমের উদ্যোগে ব্লকের ৮টি জায়গায় শিবির করা হয়েছিল। তবে এই তিন দিনে একজন চাষিও ধান বিক্রি করেননি বলে জানা গিয়েছে। সরকার নির্ধারিত দামের সঙ্গে খোলা বাজারে দামের ফারাকই এর কারণ বলে বলে স্থানীয়দের অভিমত।
ব্লক সূত্রে জানা গিয়েছে, সবং ব্লকের সবং, তেমাথানি, চাঁদকুড়ি, দশগ্রাম, বড়চারা, বুড়াল, মোহাড়, হান্নান গ্রামে শনিবার থেকে তিনদিন ধরে ধান কেনার শিবির চলে। চাষিদের থেকে প্রতি ক্যুইন্টাল ধান ১৩১০ টাকা দরে কেনার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। জেলার অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবারহ নিগমের জেনারেল ম্যানেজার কালীপদ পণ্ডিত বলেন, “আমরা ধান কেনার লক্ষ্যেই শিবির করেছিলাম। তবে একজন চাষিও উৎসাহ দেখায়নি। খোলা বাজারে ধানের দাম সরকারি দামের তুলনায় বেশি হওয়াতেই কাউকে পাওয়া গেল না মনে হচ্ছে।”
কৃষি দফতর সূত্রে খবর, গত বছর পুজোর আগে বৃষ্টি হলেও আমন ধানের ফলন কম হয়নি। শুধু সবং ব্লকেই সাড়ে ১৬ হেক্টর জমি থেকে আমন ধান হয়েছে। এখন প্রায় ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে চলছে বোরো চাষ। ফলন ভাল হওয়া সত্ত্বেও কেন চাষিরা শিবিরে গেলেন না? সবংয়ের চাষি স্বপন মাইতি, যুগল প্রধানরা বলেন, “এখন আমাদের বাড়িতে যে আমন ধানটুকু রয়েছে, তা নিজেদের খাওয়ার জন্য। তাছাড়া সরকার নির্ধারিত দামে ধান বিক্রি করে মুনাফা পাব না। তাই শিবিরে যাইনি।” শিবিরের সময় নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে সবংয়ের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অমল পণ্ডা বলেন, “ধান কেনার শিবিরের কথা আমরা প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচার করেছিলাম। তবে এটা সরকারের খামখেয়ালিপনা ছাড়া কিছু নয়। কারণ আমন অনেকদিন আগেই বিক্রি হয়ে গিয়েছে। যেটুকু রয়েছে তার দাম খোলা বাজারে প্রতি কুইন্টাল ১৫০০ টাকা। ক্ষতি করে কেন চাষিরা সরকারি দরে ধান বিক্রি করবেন?” |
|
|
|
|
|