বড় বেলুনের মধ্যে ঢুকে জলে সাঁতার কাটছে খুদেদের দল। কিন্তু গায়ে একটু জলও লাগছে না।
ঘরের মধ্যেই উড়ছে হেলিকপ্টার। রিমোটের সাহায্য চলছে বিমান। পাইলটের আসনে বসে রয়েছে একরত্তি এক শিশু।
মাঝে মধ্যেই হচ্ছে প্রশ্নোত্তর প্রতিযোগিতা। সঠিক উত্তর দিলেই মিলছে হাতে-গরম পুরস্কার।
কল্পবিজ্ঞানের পাতা থেকে তুলে আনা গল্প নয়। আসানসোল স্টেডিয়াম সংলগ্ন একটি শপিং মলের একতলাতে ঢুকলেই চোখে পড়বে এই ছবিগুলি। এই প্রথম আসানসোলে চালু হয়েছে ‘প্লে স্টেশন’। সেখানে রয়েছে সুইমিং পুল, বিমান, হেলিকপ্টার-সহ খেলার হরেক রকম সামগ্রী। চারিপাশে সাজানো রয়েছে নানা রঙের কাগজ। খুদেদের নিয়ে এসে খেলার আনন্দে মেতে উঠছেন বাড়ির বড়রাও। পাশের শহর দুর্গাপুরে এই ধরণের খেলার জায়গা থাকলেও আসানসোলে এই উদ্যোগ প্রথম বলে দাবি করে বিনোদন কেন্দ্রটির কর্ণধার সৌমেন পাল বলেন, “এর আগে আসানসোল শিল্পাঞ্চলে বাচ্চাদের জন্য এত রকমের খেলার সামগ্রী কেউ আনেননি।” |
বড় বেলুনে চেপে সুইমিং পুলে দাপাদাপি। ছবি: শৈলেন সরকার।
|
শহর হিসেবে ক্রমশ বড় হচ্ছে আসানসোল। বাড়ছে জনবসতি। তৈরি হয়েছে শপিং মল ও পার্ক। কিন্তু এতদিন শহরের খুদেদের নিজেদের খেলার জন্য আলাদা কোনও বিনোদন কেন্দ্র ছিল না। সেই অভাবই পূরণ করছে সম্প্রতি চালু হওয়া এই প্লে স্টেশনটি। এরমধ্যেই এখানে দল বেঁধে ভিড় জমাতে শুরু করেছে শহরের কচিকাঁচারা। প্লে স্টেশনটির ভিতরে গিয়ে দেখা গেল, ভিতরে ছুটে বেড়াচ্ছে তিন থেকে তেরো বছরের খুদের দল। কারও সঙ্গে এসেছেন অভিভাবক। আবার কেউ এসেছে বন্ধুদের সঙ্গে। কোনও কোনও অভিভাবক যেমন চিৎকার করে সাবধান করছিলেন, ঠিক তেমনই কেউ কেউ আবার নিজেই খেলার সামগ্রীগুলি ব্যবহার করতে উৎসাহী হয়ে পড়ছিলেন। দাদু সুশান্ত দের সঙ্গে এসেছিল সাড়ে তিন বছরের শৌভিক দে। সুশান্তবাবু বলেন, “এখানে আসার পরেই আমার নাতি এ দিক-ও দিক ছুটে বেড়াচ্ছে। ওর আনন্দ দেখে আমারও ভাল লাগছে।” পাড়ার বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে এসেছিল বারো বছরের টিউলিপ রায়। তার কথায়, “ইনডোর গেমসের যে এতরকম সামগ্রী হতে পারে সেটা আগে ভাবতেই পারতাম না।’’ |