টাটকা খবর
রাজীব হত্যাকারীদের মুক্তির সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধী হত্যাকাণ্ডে এখনই মুক্তি পাচ্ছে না তিন আসামি শান্তন, পেরারিবালন ও মুরুগন। কেন্দ্রের আর্জিতে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার হত্যাকারীদের মুক্তির সিদ্ধান্তের উপর স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণ উল্লেখ করে তামিলনাড়ু সরকারের সিদ্ধান্তের উপর এই স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। বাকি চার আসামি, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত নলিনী, রবার্ট পায়াস, জয়কুমার এবং রবিচন্দ্রনের মুক্তির জন্য পৃথক আবেদন করার কথা জানান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পি সদাশিবম। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ৬ মার্চ।
তামিলনাড়ু সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় হরিদ্বারের কংগ্রেস কর্মীরা। ছবি: পিটিআই।
বুধবার তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা ঘোষণা করেছিলেন রাজীব হত্যায় সাজাপ্রাপ্ত সাত জনকেই মুক্তি দেবে রাজ্য সরকার। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে এ দিন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্র। এ ক্ষেত্রে ফৌজদারির কার্যবিধির ৪৩৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী কেন্দ্রের কাছে নাম মাত্র অনুমতি চাওয়া হবে। তবে তা না মিললে ৪৩২ ধারা প্রয়োগ করে রাজ্য সরকারই সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তি দেবে। যদিও, এ দিন তামিলনাড়ু সরকারের তরফে আইনজীবী দাবি করেন, ফৌজদারি কার্যবিধি অনুয়ায়ী দোষীদের সাজা মুকুব হতে পারে। কিন্তু উভয়পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে পি সদাশিবমের বেঞ্চ রাজ্য সরকারের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয়। সলিসিটর জেনারেল মোহন পরাসরন এ দিন জানান, সরকারের নির্দেশের কিছু পদ্ধতিগত ত্রুটি ছিল। এক্ষেত্রে যে নির্দিষ্ট নিয়ম মানতে হয় তা জয়ললিতা সরকার মানেন নি। তাড়াহুড়োতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সুপ্রিম কোর্টের তরফে স্পষ্টভাবেই জানানো হয়েছে এক্ষেত্রে রাজ্যের ক্ষমতা কোনওভাবেই ক্ষর্ব করা হচ্ছে না। শুধুমাত্র আইনী বিষয়টি যথাযথভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ দিন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ একটি বিবৃতিতে জানান, “রাজীব হত্যা ছিল দেশের আত্মার উপর আক্রমণ। তামিলনাড়ু সরকার যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা আইনত সঠিক নয়।” দলের আর এক শীর্ষ নেতা মনীশ তিওয়ারি সাংবাদিকদের বলেন, “রাজীব গাঁধীকে হত্যা করে সন্ত্রাসবাদীরা দেশের ঐক্য ও অখণ্ডতার উপর প্রশ্ন তুলেছিল। কোনও ভাবেই এই সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া যায় না। এতে ন্যায় ব্যবস্থার উপর মানুষ আস্থা হারাবে।”
এ ব্যাপারে বুধবারই দলের সাধারণ সম্পাদক অজয় মাকেন জানিয়েছিলেন, ‘এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও দায়িত্বজ্ঞানহীন সিদ্ধান্ত।’ ফলে প্রত্যাশা মতো এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া ছিল সময়ের অপেক্ষা।

দুর্ঘটনায় মৃত ২, অগ্নিগর্ভ আসানসোল
আসানসোলের সেনর‌্যালে মোড়ের কাছে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে পথ দুর্ঘটনায় বৃহস্পতিবার দু’জনের মৃত্যু হয়। তাঁদের নাম বি কে বর্মা (৫৮) এবং সঞ্জিত নাগ (২৫)। ঘটনায় আরও দু’জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের আসানসোল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ তুলতে পুলিশ এলে তাদেরকে লক্ষ কের ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের একটি বিশ্রামাগারেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।
দুর্ঘটনাস্থলে পুলিশি টহল। ছবি: শৈলেন সরকার।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এ দিন দুপুর তিনটে নাগাদ এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ২ নম্বর জাতীয় সড়কের সেনর‌্যালে মোড়ের কাছে একটি চৌমাথায় দু’টি মোটর সাইকেলে চার আরোহী দাঁড়িয়েছিলেন। এই সময় পিছন দিক থেকে দ্রুত গতিতে একটি দশ চাকার পণ্যবাহী লরি ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই দু’জনের মৃত্যু হয়। ঘাতক লরিটিকে পুলিশ রানিগঞ্জের পঞ্জাবি মোড়ের কাছে আটক করে। চালক ও খালাসিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর পরই এলাকার বাসিন্দারা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এডিসিপি (ট্রাফিক, সেন্ট্রাল) সুরেশকুমার চাডিহা বলেন, “ওই চৌমাথায় ট্রাফিক সিগন্যাল বসাতে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে আবেদন করেছি। কিন্তু তাঁরা জানিয়েছেন সম্প্রসারণের কারণে ওই কাজ এখন করা সম্ভব নয়।” এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের প্রকল্প আধিকারিক কৃষ্ণমুরারী জানিয়েছেন, ওখানে একটি উড়ালপুল বানানোর প্রস্তাব রয়েছে। জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ করা হবে, তাই এই মুহূর্তে সেখানে নতুন কিছু করা সম্ভব নয়।

আপ-এ যোগ দিলেন সোনি সোরি
আপে যোগ দিলেন সোনি সোরি। আদিবাসীদের অধিকার নিয়ে লড়াই করা সোনি কিছু দিন আগেই সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। একই সঙ্গে আপে যোগ দিলেন প্রাক্তন ইনফোসিস কর্তা ভি বালা।
একটি সংস্থা থেকে হুমকি দিয়ে তোলা টাকা মাওবাদীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যম হিসাবে কাজ করার অভিযোগে ২০১১-র সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লি থেকে সোরি গ্রেফতার হন। তাঁর বিরুদ্ধে আরও পাঁচটি অভিযোগে মামলা দায়ের করে পুলিশ। যদিও এই অভিযোগগুলিতে তিনি খালাস পেয়েছেন। সোনির কথায়: “আমি কখনওই রাজনীতিতে আগ্রহী ছিলাম না। সাধারণ জীবন কাটাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশি হেফাজতে আমার উপর অত্যাচার আমার দৃষ্টিভঙ্গি এ ভাবনাচিন্তা পাল্টে দিয়েছে।” তিনি আপ-এর ফেসবুক পেজে জানিয়েছেন, তিনি আপ-এর হয়ে নির্বাচনে লড়বেন। এ ভাবেই ব্যবস্থার পরিবর্তন সম্ভব বলে তাঁর বিশ্বাস। যদিও সোনির নির্বাচনে লড়ার বিষয়ে এখনও আপ-এর পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। এর আগে সোনিকে ছত্তীসগড়ের বস্তার থেকে প্রার্থী করার বিষয়টি আপ অস্বীকার করেছিল।
অন্য দিকে, ভি বালা ইনফোসিস-এর বোর্ড-এর সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে আপ-এ যোগ দিলেন। তিনি ইনফোসিস-এ দু’দশকের বেশি কাটিয়েছেন। এই সময়ে তিনি ইনফোসিস-এর চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার (সিএফও), বোর্ড সদস্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব সামলেছেন। এই দু’জন ছাড়াও অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল এইচ এস পানাগ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল টি কে চাড্ডা এবং প্রাক্তন পুলিশ অফিসার বি এল ভোরাও আপ-এ যোগ দিয়েছেন।

তেলঙ্গানা নিয়ে উত্তাল রাজ্যসভা
তুমুল বিক্ষোভ ও হট্টগোলের মধ্যে বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় পেশ হল তেলঙ্গানা বিল। বিল পেশের পরেই ওয়েলে নেমে স্পীকারের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তেলঙ্গানা বিরোধী সাংসদেরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে মার্শাল ডাকা হয়। প্রবল হট্টগোলের জন্য এ দিন দফায় দফায় মুলতুবি হয়ে যায় রাজ্যসভার অধিবেশন।
হোর্ডিং নিয়ে স্পীকারের সামনে বিক্ষোভ বিরোধীদের। ছবি: পিটিআই।
বিজেপির প্রস্তাব মতো সংশোধনী মেনে নতুন ফর্মুলায় এ দিন দুপুর ৩টে নাগাদ রাজ্যসভায় তেলঙ্গানা বিল পেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। বিজেপির প্রস্তাব অনুযায়ী সীমান্ধ্রের জন্য আলাদা প্যাকেজ দিতে কেন্দ্র রাজি হতে পারে বলে সূত্রের খবর। রাজ্যসভায় বিলটি পাশ না হলে দ্বিতীয় ইউপিএ জমানাতেও অধরা থেকে যাবে ২৯তম রাজ্য গঠন।
বুধবার তেলঙ্গানা বিল পেশ নিয়ে রাজ্যসভায় চূড়ান্ত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেক্রেটারি জেনারেলকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল এক টিডিপি সাংসদের বিরুদ্ধে। পরে অবশ্য তিনি ক্ষমাও চেয়ে নেন।

পর্যটন প্রসারে পদক্ষেপ জম্মু-কাশ্মীর সরকারের, চালু হবে কেবল-কার পরিষেবা
রাজ্যে পর্যটনের প্রসার ঘটাতে সচেষ্ট হল জম্মু-কাশ্মীর সরকার। পর্যটনমন্ত্রী জি এ মীর জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহেই ঐতিহ্যমণ্ডিত মুবারক মাণ্ডি প্রাসাদ ও বাহু দুর্গের মধ্যে কেবল-কার পরিষেবার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা।
তিনি জানান, প্রতি বছর পর্যটকের সংখ্যা যাতে অন্তত ৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পায় তাতে বিশেষ জোর দিয়েছে পর্যটন মন্ত্রক। তার জন্য শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখারও আহ্বান জানান তিনি। ওমর সরকার শুধুমাত্র বিদেশি পর্যটকদের মুখাপেক্ষী থাকে, এমন দাবিও নস্যাত্ করে দিয়েছেন তিনি। মীর জানান, ২০০৮ সালে পর্যটকের সংখ্যা ছিল ৪০ হাজার, গত বছর সেই সংখ্যাই বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক কোটি ১০ লক্ষের উপর। এঁদের সিংহভাগই দেশি পর্যটক।
পর্যটন শিল্পে উন্নয়নের জোয়ার আনতে কেন্দ্রের সাহায্যে প্রায় ২৫ হাজার স্থানীয় যুবককে প্রশিক্ষণ দেবে রাজ্য। পর্যটন প্রসার ও পর্যটকদের সুবিধার্থে বিভিন্ন প্রকল্পে ভর্তুকি দেওয়ারও ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন পর্যটন মন্ত্রী। আনকোরা নতুন পর্যটন কেন্দ্র তুলে আনতে রাজ্যে ২২টি জায়গায় দফতর খুলেছে পর্যটন মন্ত্রক। রাজ্যের ৮৭টি পর্যটন প্রকল্পের জন্য প্রায় ৪০৯ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা অনুমোদন করেছে কেন্দ্র।
পর্যটনমন্ত্রী জানান, কুঙ্গদুরি-মেরিসহোল্ডার স্কি চেয়ার প্রকল্প এবং মাকদুম সাহিব চেয়ার কার প্রকল্পের জন্য অর্থ অনুমোদন করা হয়েছে। গত অর্থবর্ষে পর্যটন ক্ষেত্র থেকে প্রায় ৩৭ কোটি টাকা আমদানি হয়েছে। চলতি অর্থবর্ষে অন্তত ৩৯ কোটি টাকা আয় করাই তাঁর মন্ত্রকের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন তিনি। পর্যটন কেন্দ্রগুলির পাশাপাশি রাজ্যে গলফ কোর্সগুলিরও বিকাশ ঘটাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.