চাল চুরির অভিযোগে বসিরহাট থানার পুলিশ গ্রেফতার করল ব্যবসায়ী অনুপ বিশ্বাসকে। বুধবার রাতে তাঁকে বসিরহাটের সাঁইপালার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। স্থানীয় মাটিয়া বাজারে অনুপবাবুর বড় চালের দোকান আছে।
অন্য দিকে, মঙ্গলবার রাতে ধৃত ব্যবসায়ী আইজুল বিশ্বাস ও ট্রাকচালক আজাদ আলিকে বুধবার বসিরহাট আদালতে তোলা হলে বিচারক আইজুলকে ১৪ দিন জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দেন। আজাদকে পাঠানো হয়েছে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতে। বসিরহাটের আইসি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওই ট্রাকচালককে জেরা করে ১৫ বস্তা এবং আইজুলকে জেরা করে তার গোডাউন থেকে ২০০ বস্তা চাল উদ্ধার হয়েছে।” চুরি যাওয়া ৬৬০ বস্তা চালের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ২২৪ বস্তা উদ্ধার করতে পেরেছে পুলিশ। অনুপবাবু চাল চুরি চক্রে জড়িত, নাকি চোরাই চাল কিনেছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তদন্তকারী অফিসারেরা জানিয়েছেন, বর্ধমান থেকে আসা প্রায় ১০ লক্ষ টাকা মূল্যের ৩৩ টন চাল বসিরহাটের ঘোজাডাঙার পথে উধাও হয়ে গিয়েছে বলে সোমবার রাতে বারাসতের এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন। তদন্তে নেমে মঙ্গলবার দুপুরে বসিরহাট থানার পুলিশ মাটিয়া বাজারের চাল ব্যবসায়ী আইজুল বিশ্বাস এবং শাসন থানার টোনা গ্রাম থেকে আজাদ আলিকে গ্রেফতার করে। তাদের জেরা করে অনুপের হদিস মেলে। পুলিশ জানতে পেরেছে, বর্ধমান থেকে আনা চাল-ভর্তি ট্রাক নম্বর প্লেট বদলে বসিরহাটে দাঁড় করানো হয়। সেই চাল ১৮-২০ টাকা কেজি দরে ব্যবসায়ীদের বিক্রি করে একটি অসাধু চক্রের লোকজন। ব্যব্যসায়ীরা ওই চাল কিনে শহরের বাজারে কিলো-প্রতি ৮-১০ টাকা বাড়িয়ে রাতারাতি লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করে। |