|
|
|
|
শিল্ড জয়ের আনন্দ শেষ দিশাহারা হারে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা
পুণে-২(হাওকিপ, গেব্রিয়েল)
মহমেডান-০ |
শিল্ড-জয়ের আনন্দে বিভোর সাদা-কালো সমর্থকেরা যে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবেন, তার উপায় নেই! বাহাত্তর ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের অঘটন মহমেডানে। আই লিগের দ্বিতীয় পর্বের শুরুতেই পুণে এফসি-র কাছে বড় হার পেন-জোসিমারদের।
কয়েক দিন আগে যুবভারতীতে বাংলাদেশের শেখ জামাল ধানমন্ডিকে হারিয়ে যে মহমেডান শুধু বাংলার নয়, গোটা ভারতের মুখ উজ্জ্বল করেছিল, বুধবার পুণের বালেওয়ারি স্টেডিয়ামে সেই মহমেডানের যেন একেবারে অন্য চেহারা! দিশাহীন, অজস্র মিস পাসে ভরা ফুটবল।
|
পেন ওরজি। |
মহমেডান কোচ সঞ্জয় সেন ফুটবলারদের আত্মতুষ্টি নিয়ে যে প্রবল আশঙ্কায়, সেটা পুণে ম্যাচের চব্বিশ ঘণ্টা আগেই তাঁর কথাবার্তায় স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। তবে সাদা-কালো কোচ এ দিনের হারের জন্য শুধু আত্মতুষ্টি নয়, ফুটবলারদের বিশ্রী পারফরম্যান্সকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন। পুণে থেকে সঞ্জয় বলছিলেন, “কোনও অজুহাত দিতে চাই না। কিন্তু এটাও ঠিক আমরা এ দিন খেলতে পারিনি। কোনও এক জন নয়, সব ফুটবলার দাঁড়িয়ে গিয়েছিল।”
হতাশ মহমেডান কোচ। |
শিল্ড জয়ের পরে যেখানে বাড়তি আত্মবিশ্বাস নিয়ে ঝাঁপানোর কথা, সেখানে দলের এ রকম হাল কেন? প্রশ্ন শুনে শুরুতে বিরক্ত হলেও পরে সঞ্জয় বললেন, “ভুলত্রুটি তো হয়েছেই। কোথায় হয়েছে এবং সেটা কী ভাবে মেরামত করা হবে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। কলকাতায় ফিরে বলতে পারব।” তবে মহমেডান কোচ দলের খারাপ পারফরম্যান্সের কারণ খুঁজে না পেলেও, কলকাতায় বসে মহমেডানের সহকারী কোচ ফুজাতোপের যুক্তি, “ফুটবলাররা টানা ম্যাচ খেলে চলেছে। বিশ্রাম নেই। এই হারের একমাত্র কারণ ক্লান্তি।” যার সুযোগ নিয়ে বুধবার শিল্ড-জয়ীদের হারাল পুণে। বিরতির ঠিক আগে মুস্তাফা রিগার ক্রস থেকে হেডে প্রথম গোল হাওকিপের। বিরতির পরে সেই রিগার পাস থেকেই ২-০ গেব্রিয়েলের। এ দিনের ম্যাচে ব্যর্থ মহমেডানের নতুন জাপানি মিডিও তারো।
মহমেডানের হারের কারণ যা-ই হোক, পেন-নবিদের খুব তাড়াতাড়ি সেই ‘হ্যাংওভার’ কাটিয়ে বেরিয়ে আসতে হবে। না হলে অবনমনের কালো ছায়া ফের অভিশাপ হয়ে ঢুকে পড়বে শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের অন্দরমহলে। অন্তত আই লিগের পয়েন্ট তালিকায় তো সেই লাল সঙ্কেতই পাওয়া যাচ্ছে। ১৪ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শেষের দিক থেকে এখন দ্বিতীয় মহমেডান। রাংদাজিদ সবার শেষে (১৬ ম্যাচে ১২)। |
|
|
|
|
|