বাঘে নিয়ে গেল এক মহিলা মৎস্যজীবী। মঙ্গলবার দুপুরে গোসাবার সজনেখালি রেঞ্জের খোলাখালি নদীতে ঘটনাটি ঘটে। বন দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, শেফালি মণ্ডল (৪০) নামে ওই মহিলা কাঁকড়া ধরতে নদীতে বেরিয়েছিলেন। তাঁর বাড়ি ছোটমোল্লাখালির রজতজুবিলি পাথরপাড়ায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন সকালে শেফালি তাঁর স্বামী নরেন মণ্ডল ও প্রতিবেশী রবি মণ্ডলের সঙ্গে কাঁকড়া ধরতে বেরিয়েছিলেন। সে সময়ে পাশের জঙ্গল থেকে একটি বাঘ আচমকা বেরিয়ে এসে শেফালি দেবীকে তুলে নিয়ে যায়। নরেনবাবু বলেন, “আমরা তখন নদীতে কাঁকড়া ধরার জন্য জাল পাতছিলাম। বাঘটা আচমকা শেফালির উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমরা চেষ্টা করেও ওঁকে বাঁচাতে পারলাম না।” সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেক্টর সৌমিত্র দাশগুপ্ত বলেন, “এমন ঘটনার কথা শুনেছি। কিন্তু এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। খোঁজ নিয়ে জেনেছি, দলটি কোনও লিখিত অনুমতিপত্র ছাড়াই ওই এলাকায় ঢুকে পড়েছিল।”
|
ফের হাতির হামলায় আহত হলেন এক মহিলা। ঘটনাস্থল গঙ্গাজলঘাটির ঘনশ্যামপুর। মঙ্গলবার মাঝরাতে দলমার প্রায় ৫০টি হাতি গ্রামটিতে হানা দেয়। বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রে খবর, গ্রামের মহিলা আশা বাউরির মাটির বাড়ির দেওয়াল ভেঙে তাঁকে শুঁড়ে করে তুলে আছাড় মারে। বেশ কিছু গ্রামবাসীর বাড়িতে থাকা ধানের বস্তা বের করে ছড়িয়ে নষ্ট করে। গ্রামবাসী লতিকা লোহার, কৃষ্ণ বাউরিরা বলেন, “মাঝরাতে এসে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে গ্রামে দাপিয়ে বেরায় হাতিগুলি। আতঙ্কে আমরা ঘরের কোনে লুকিয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু ঘর ভেঙে আশাদেবীকে শুঁড়ে পাকিয়ে আছাড় দেয় একটি হাতি।” এই গ্রামটিতে সচরাচর হাতির উৎপাত হয় না বলেই জানাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। তবে এই ঘটনার পর এলাকাবাসীরা আতঙ্কে রয়েছেন। বনদফতরের এক কর্তার কথায়, “বড়জোড়ার সাহারজোড়া জঙ্গলে যে ১৩০টি হাতি অবস্থান করছে, তাদের মধ্যেই কিছু হাতি এই গ্রামটিতে হানা দিয়েছে।” হাতি ঠেকাতে গ্রামবাসীদের হাতে হুলা দেওয়ার বিষয়ে বন দফতর চিন্তাভাবনা করছে বলে তিনি জানান। এ দিন গঙ্গাজলঘাটি পঞ্চায়েত সমিতির তরফে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীদের ত্রিপল ও চাল দেওয়া হয়েছে। |