টাটকা খবর
আয়কর একই থাকছে, বাজেট ঘোষণা চিদম্বরমের
সংসদে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের শেষ বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। আয়কর পরিকাঠামোয় কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না বলে সোমবার ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি বলেন, “আর্থিক আয়তনে বিশ্বে এই মুহূর্তে ভারতের স্থান ১১তম। খুব শীঘ্রই আমরা তৃতীয় স্থান অধিকার করব। আমেরিকা এবং চিনের পর হবে আমাদের জায়গা। কাজেই সামনে এমন দিন আসছে যখন সারা পৃথিবীর অর্থনীতি নির্ধারিত হবে চিন ও ভারতের অর্থনীতিকে কেন্দ্র করে।”
সংসদে প্রবল চিত্কার চেঁচামেচির মধ্যে বেলা সওয়া ১১টা নাগাদ জীবনের নবম বাজেট পেশ করেন চিদম্বরম। কিন্তু লোকসভার উত্তাল অবস্থায় মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই থেমে যেতে বাধ্য হন চিদম্বরম। পরিস্থিতি সামলাতে মাঠে নামতে হয় স্পিকার মীরা কুমারকে। জিরো আওয়ার শেষে সাংসদদের এমন আচরণ ঠিক নয় বলে স্পিকার তাঁদের শান্ত হতে অনুরোধ করেন। তাঁর কথায়: “বাজেট পেশ সাংবিধানিক কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে। দয়া করে অর্থমন্ত্রীকে বক্তৃতা করতে দিন। প্রতিবাদ জানাতে হলে পরে আমার ঘরে এসে জানাবেন।” ওয়েলে নেমে এসে যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তাঁদের নিজেদের আসনে গিয়ে বসার অনুরোধ করেন স্পিকার। এর পর ধীরে ধীরে পরিবেশ শান্ত হয়। ফের বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন চিদম্বরম।
অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। ছবি: পিটিআই।
প্রায় এক ঘণ্টা ধরে অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। দ্বিতীয় ইউপিএ সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে পিছপা হয়েছে, বিরোধীদের এই অপপ্রচার তিনি মেনে নিচ্ছেন না বলে মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী। দেশের আর্থিক পরিকাঠামো পুনর্গঠনে তিনি দশটি পদক্ষেপ করার কথা ঘোষণা করেন।
সংখ্যালঘু উন্নয়নের কথা বলতে গিয়ে এ দিন চিদম্বরম জানান, দশ বছর আগে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১৪ লক্ষ মানুষ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন। কিন্তু গত আর্থিক বছরে প্রায় ৪৩ লক্ষ মানুষ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। ওই অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁদের প্রায় ৬৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে দেওয়া ঋণের পরিমাণ প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা।
প্রণব মুখোপাধ্যায় অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার জন্য একটি ঋণ প্রকল্প চালু করেছিলেন। সেই প্রকল্পে ২০০৯ সালের আগে যাঁরা ঋণ নিয়েছিলেন তাঁদের ২০১৩ সাল পর্যন্ত কোনও সুদ দিতে হবে বলে জানান চিদম্বরম। এর ফলে প্রায় ৯ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবে বলে অর্থমন্ত্রীর আশা। পাশাপাশি কৃষকদেরও স্বস্তি দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়: “কৃষিঋণ সময়মতো ফেরত দিলে সুদের ক্ষেত্রে ৩ শতাংশ হারে ছাড় পাওয়া যাবে।” দুপুর সওয়া বারোটা নাগাদ বাজেট শেষ করার আগে সহযোগী সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “গত দশ বছরে নর্থ ব্লকে আমি অনেক পরামর্শ পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ তো বটেই, বিভিন্ন সময়ে আমাকে সত্ পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করেছেন ইউপিএ-র চেয়ারপার্সন সনিয়া গাঁধীও। জওহরলাল নেহরুর ভারত গড়ার আদর্শের প্রতি সর্বদা অনুগত থাকার চেষ্টা করেছি। সাম্যের উপর দাঁড়ানো অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করেছি গত ১০ বছরে। ভবিষ্যেতেও সে ভাবেই কাজ করব।” আত্মনির্ভরতা এবং উন্নয়ন বৃদ্ধিকে লক্ষ্যে রেখে তিনি কাজ করেছেন বলে দাবি করেন অর্থমন্ত্রী। ভারতের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় প্রভাব পড়ে এমন কাজ তিনি করবেন না বলে দাবি করেন চিদম্বরম। এ দিন তিনি যে উল্লেখযোগ্য যে ঘোষণাগুলি করেন:

• কর পরিকাঠামোয় কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। একটা ‘ডিরেক্ট ট্যাক্স কোড’ চালু করা হল। নাগরিকরা যাতে এই বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন তার জন্য ওয়েবসাইটে খুব শীঘ্রই তা প্রকাশ করা হবে। গাড়ির ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার ঋণাত্মক। তাই বিভিন্ন গাড়ির উত্পাদন শুল্ক কমানো হয়েছে। গাড়ির যন্ত্রাংশের উপরেও শুল্ক কমানো হয়েছে।
• দেশি মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে উত্পাদন শুল্ক কমানো হবে।
• নোট ছাপানোর কাগজ এবং তার যন্ত্রাংশের উপর ৫ শতাংশ হারে শুল্ক কমানো হল।
• ধানের গুদামের উপর কোনও পরিষেবা কর লাগবে না। চালের ক্ষেত্রেও এই কর তুলে নেওয়া হল।
• স্বাস্থ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে পরিষেবা করে ছাড় দেওয়া হল।
• বিশ্বজুড়ে আর্থিক মন্দার প্রভাব পড়েছে ভারতীয় অর্থনীতিতে। ভারতীয় অর্থনীতির সামনে এখন সেটাই বড় চ্যালেঞ্জ।
• গঠনগত বেকারির হার কমেছে।
• জিডিপি বা মোট জাতীয় উত্পাদনের হার কমেছে।
• মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে ৭.৩ শতাংশ হারে। সেই হারকে ৪ শতাংশে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে।
• কৃষিতে বিকাশের হার ৪.৬ শতাংশে থাকার সম্ভাবনা।
• রাজকোষ ঘাটতির পরিমাণ হবে জাতীয় আয়ের ৪.৬ শতাংশ।
• বিনিয়োগের মাত্রা খুব একটা কমেনি।
• গত আর্থিক বছরে ২৫৫ মিলিয়ন টন খাদ্যশস্য উত্পাদন হয়েছে।
• ভারতে এই মুহূর্তে ১৫ বিলিয়ন ডলার জমা হয়েছে। ফলে টাকার দাম পড়ার কোনও আশঙ্কা নেই।
• উত্পাদন শিল্প ভারতীয় অর্থনীতির দুর্বলতম জায়গা। আমরা সেটাকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছি।
• ১০ বছরে ১০ কোটি কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছিলাম।
• গত আর্থিক বছরে সারা দেশে ৩৯ হাজার কিলোমিটার রাস্তা হয়েছে। নতুন রেলপথ হয়েছে প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার।
• দেশে বিদ্যুত্ উত্পাদন বেড়েছে। ১৬০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুত্ এ বছর তৈরি করা গিয়েছে।
• চিনির উপর নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণ তুলে দেওয়া হয়েছে।
• নতুন ব্যাঙ্ক খোলার আবেদনপত্র চাওয়া হয়েছে। এ বছর বিভিন্ন ব্যাঙ্কের প্রায় আট হাজার নতুন শাখা খোলা হবে।
• পুরনো জমি অধিগ্রহণ আইন পাল্টে নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
• সদ্য আনা খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্প দেশের প্রায় ৬৭ শতাংশ মানুষকে সাহায্য করছে।
• রাজ্যগুলিকে আরও বেশি স্বায়ত্বশাসনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ২ লক্ষ হাজার কোটি টাকার বেশি অনুদান রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে দেওয়া হবে।
• টেলি যোগাযোগ এবং ওষুধ শিল্পে নতুন বিনিয়োগের উদ্যোগ।
• তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পকে চাঙ্গা করতে ৪ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে।
• ৫৭ হাজার মেগাওয়াট জলবিদ্যুত্ উত্পাদনের চেষ্টা করা হবে।
• সাতটি নতুন নিউক্লিয়ার পাওয়ার রিঅ্যাকটর বসানো হবে।
• চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, কলকাতা ও অমৃতসরে নতুন রাস্তা নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
• নতুন পেনশন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।
• শিল্প রফতানি কমে গিয়েছিল, এখন তা বাড়ছে।
• কতকগুলি জাতীয় উত্পাদনশীল অঞ্চল তৈরি করা হবে। যেখানে ছোট শিল্পকেও উত্সাহ দেওয়া হবে।
• উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি ও উত্তরাঞ্চলের জন্য যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল তার সঙ্গে আরও ১২০০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হবে।
• বিশ্বের মধ্যে মাত্র কয়েকটি দেশ মহাকাশযান তৈরি করতে পারে, ভারত তাদের অন্যতম।
• মহিলাদের নিরাপত্তায় নির্ভয়া প্রকল্প গঠন করা হয়েছিল ১২০০ কোটি টাকা দিয়ে। সেই প্রকল্পে আরও এক হাজার কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হবে।
• খনি এবং উত্পাদন শিল্প ছাড়া পুঁজি বিনিয়োগ আর কোথাও কমেনি।
• গত ১০ বছরে বৃদ্ধির হার ৬.৬ শতাংশ হয়েছে।
• শিক্ষা খাতে খরচ হয়েছে ৭৯ হাজার কোটি টাকা।
• স্বাস্থ্য খাতে খরচ হয়েছে ৩৬ হাজার কোটি টাকা।
• রান্নার গ্যাসে ৩৩০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকার কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। সে বাধা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টাও চলছে।
• গৃহহীনদের জন্য নতুন আবাসন প্রকল্প তৈরি হয়েছে।
• সেনাবাহিনীতে ‘এক পদ একই পেনশন’ প্রকল্প চালু করা হল।
• বিজ্ঞান গবেষণায় উত্সাহ দিতে অনুদান বাড়ানো হবে। সে ক্ষেত্রে একটি সংস্থার মাধ্যমে এই অনুদান দেওয়া হবে।
• ভারতের টাকা বাইরে পাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ। আমরা এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছি। ৬৭টি ক্ষেত্রে আমাদের হাতে তথ্য এসেছে।
বরাদ্দ
• খরচ বাড়ায় আয়ও বাড়াতে হবে। সেই জন্য পরিকল্পনা খাতে আগের আর্থিক বছরের বরাদ্দই বহাল রাখা হচ্ছে। যার পরিমাণ ৫ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা।
• গ্রামীণ উন্নয়নে ৮৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল।
• রেলের অনুদান বাড়িয়ে এ বার ২৯ হাজার কোটি টাকা। গত বছর যা ছিল ২৬ হাজার কোটি টাকা।
• তফসিলি জাতি ও উপজাতি উন্নয়নে বরাদ্দ ৪৮ হাজার কোটি টাকা।
• শিশু উন্নয়নে বরাদ্দ ৮১ হাজার কোটি টাকা।
• দেশজুড়ে পঞ্চায়েতের বিভিন্ন প্রকল্প উন্নয়নে ৭ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হবে।
• নারী ও শিশুকল্যাণে বরাদ্দ ২১ হাজার কোটি টাকা।
• মানবসম্পদ উন্নয়নে ৬৭ হাজার কোটি টাকা।
• তফসিলি তহবিলে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
• স্বাস্থ্য খাতে ৩৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ।
• খাদ্যে ভর্তুকি দিতে বরাদ্দ করা হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা।
• সংখ্যালঘু খাতে ৩১১ কোটি টাকা বরাদ্দ।
• প্রতিরক্ষা খাতে ১০ শতাংশ বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
• শিক্ষা খাতে ৫৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
• জ্বালানি খাতে ৬৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

বোঝা না বাড়িয়ে ‘জনপ্রিয়’ বাজেট অমিতেরও


অমিত মিত্র
সামনেই লোকসভা ভোট। সে দিকে নজর রেখেই জনমোহিনী রাজ্য বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। নানা কর ছাড়, কর ব্যবস্থার সরলীকরণ, কর্মসংস্থানমুখী ক্ষেত্রে ব্যয়বরাদ্দ বৃদ্ধির দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। বাড়ছে পরিকল্পনা খাতে ব্যয়। নিজস্ব কর থেকে প্রাপ্ত রাজস্বও বাড়বে বলে আশা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। সব মিলিয়ে বাজেট ঘাটতি ৯ কোটি টাকার মধ্যে বেঁধে রাখা যাবে বলে অমিতবাবু মনে করেন। তাঁর দাবি, ‘বাংলা যা করছে আজ, ভারতে তা করবে কাল।’
রাজ্য বাজেটের উল্লেখযোগ্য দিকগুলি হল:
• বিশেষ সাফল্য
চলতি অর্থবর্ষে রাজ্যের অভ্যন্তরীণ উত্‌পাদন বৃদ্ধির হার ৭.৭%। গোটা দেশে সেখানে ৪.৯%।
রাজ্যে কৃষিক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার ৫.২৮%। দেশে ৪.৬%।
শিল্পক্ষেত্রে এই অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার ৯.৫৮%। ভারতে সেখানে ০.৭%।
এই অর্থবর্ষে পরিষেবা ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার ৭.৮%। দেশে ৬.৯%।
সিএসটি ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩৭৮৩ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা থেকে রাজ্য বঞ্চিত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় গ্রান্ট-ইন-এড ২০১১-’১২ অর্থবর্ষ থেকে ২০১২-’১৩ অর্থবর্ষে ১১.১৩% কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পরিকল্পনা খাতে ৩৪.৯৫% ব্যয় বেড়েছে।
সারদা কাণ্ডে ৪ লক্ষ মানুষকে সাহায্য করা হয়েছে।
‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পে ১৫ লক্ষ জন নথিভুক্ত হয়েছেন।
৬০টি ন্যায্যমূল্যের দোকান তৈরি হয়েছে।
৩৩৪৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ১৬ হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরি শুরু হয়েছে।
খাদ্যশষ্যের উত্‌পাদন হয়েছে ১৬৫.৬১ লাখ মেট্রিক টন।
২৪ লক্ষ কৃষাণ ক্রেডিট কার্ড।
৩ কোটি রেশন কার্ডের ডিজিটাইজেশন।
৩.২ কোটি পরিবার ২ টাকা কেজি দরে চাল ও ৫ টাকায় ৭৫০ গ্রাম আটা পেয়েছে।
১০০ দিনের কাজে ভারতে প্রথম। এতে চার হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় ১৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৫০০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হয়েছে।
ইন্দিরা আবাস যোজনায় ৩ লক্ষ ৫০ হাজার বাড়ি তৈরি হয়েছে।
জঙ্গলমহলে ১৪১ কোটি টাকা ব্যয়ে পানীয় জল প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে।
১ কোটি মানুষের কাছে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
প্রতি হাজারে প্রসূতি মৃত্যুর হার ১৪৫ থেকে কমে ১১৭।
৮২% মহিলা স্কুলে শৌচালয় তৈরি।
২২ লক্ষ সংখ্যালঘু পড়ুয়াকে বৃত্তি দান।
৩৬ লক্ষ অনগ্রসর পড়ুয়াকে বৃত্তি ও বই কেনার অনুদান।
দু’লক্ষের বেশি সংখ্যালঘুর কর্মসংস্থান হয়েছে।
পর্যটকের সংখ্যা আগের অর্থবর্ষের তুলনায় ১৬% বৃদ্ধি পেয়েছে।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায় ব্যাঙ্কের বিনিয়োগ ১০৫% বৃদ্ধি পেয়েছে।
১৩ লক্ষ ২২ হাজার নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে।
মোট ৬ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে।
মাদার ডেয়ারি লাভজনক হয়েছে।
চার হাজার ‘নো রিফিউজাল’ ট্যাক্সি নেমেছে।
রাজ্য সরকার সরকারি পরিবহণে তিন হাজারের বেশি নতুন পদ তৈরি করেছে।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে প্রায় ৪৩ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে।

রাজ্য বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। ছবি: সুদীপ আচার্য।
• এ বারের প্রস্তাব
কৃষি খাতে দেওয়া হবে ১১৫৭.৭২ কোটি টাকা। কৃষি বিপণন খাতে ২২৫ কোটি টাকা।
৫.৭৫৫ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্যের জন্য গুদামের ব্যবস্থা।
১২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০০০ কিলোমিটার রাজ্য সড়ক সংস্কার করা হবে।
৬২০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন ১০২টি কৃষক বাজার তৈরির পরিকল্পনা। এতে ৫৫ হাজার পরিবারের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।
৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০০টি ‘কর্মতীর্থ’ মার্কেটিং কমপ্লেক্স তৈরি হবে।
‘গতি ধারা’ প্রকল্পে গাড়ি কিনতে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত অনুদান। এতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ৫০ হাজার পরিবার কাজের সুযোগ পাবেন।
ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ।
মাইক্রো বিজনেস ক্রেডিট কার্ডে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। ১ এপ্রিল স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার সাহায্য এই প্রকল্পের সূচনা হবে।
অশোকনগরে পিপিপি মডেলে ইন্টিগ্রেটেড পাওয়ার লুম প্রকল্প। বন্ধ হয়ে যাওয়া কল্যাণী স্পিনিং মিলের ২ নম্বর ইউনিটের ৩৯ একর জমিতে এই প্রকল্প গড়ে উঠবে। এতে প্রত্যক্ষ ভাবে চার হাজার আর পরোক্ষে তিন হাজার কর্মসংস্থান হবে। পাশাপাশি স্পিনিং মিলের কর্মচারীরাও চাকরি পাবেন।
এক হাজার নতুন বাস নামবে।
নতুন বিদ্যুদয়ন প্রকল্প ‘সবার ঘরে আলো’। ৪ লক্ষ ৬৮ হাজার পরিবারে বিদ্যুত্‌ সংযোগ দেওয়ার জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
১৩টি তথ্যপ্রযুক্তি পার্ক গড়ে উঠবে। হার্ডঅয়্যার পার্ক তৈরির ভাবনা।
১৬ লক্ষ নতুন চাকরি হবে।
কন্যাশ্রী প্রকল্পে আরও ২০ লক্ষকে নথিভুক্ত করা হবে।
৫০০টি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা কাজের পরিধি বাড়াচ্ছে। এতে এক লক্ষ কর্মসংস্থানের আশা।


• কর প্রস্তাব
বার্ষিক এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত কোনও কর্মচারীকে বৃত্তি কর দিতে হবে না।
বার্ষিক ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত কোনও পেশার মানুষকে বৃত্তি কর দিতে হবে না।
বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের বৃত্তি কর দিতে হবে না।
বৃত্তি করের পদ্ধতির সরলীকরণ। অন লাইনে রেজিস্ট্রেশন এবং এনরোলমেন্ট করা যাবে।
ভ্যাট দিতে ন্যূনতম টার্নওভারের প্রমাণ দিতে হবে না।
অ্যাসেসমেন্ট-এর আগেই ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট হয়ে যাবে।
শিলিগুড়িতে ‘অ্যাপলেট অ্যান্ড রিভিশনাল বোর্ড’-এর বেঞ্চ তৈরি।
৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সম্পত্তি ক্রয়ে স্ট্যাম্প ডিউটি ১% কমল।
দ্বিতীয় বার বাড়ি বন্ধক রাখলে ৪% হারে সর্বোচ্চ এক লক্ষ টাকা স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হবে।
স্ট্যাম্প ডিউটির ঘাটতি দিতে দেরি করলে সুদের হার ২% থেকে কমে দাঁড়াল ১%। এর ঊর্ধ্বসীমা হবে ২০ হাজার টাকা।
২৪৬টি রেজিস্ট্রেশন অফিসে ই-স্ট্যাম্পিং চালু হবে।
২৫ টাকা দাম পর্যন্ত স্যানিটারি ন্যাপকিন, এক হাজার টাকা দামের গ্যাস স্টোভ, চুল বাঁধার ব্যান্ড ও ক্লিপের উপরে কর ১৪% থেকে কমে দাঁড়াল ৫%।
২০১৪-’১৫ অর্থবর্ষে পরিকল্পনা খাতে ৩০ হাজার কোটি টাকারও বেশি ব্যয় হবে যা আগের অর্থবর্ষের তুলনায় ১৫% বেশি। নিজস্ব কর বাবদ রাজস্ব আদায় হবে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি।
সামনের অর্থবর্ষে বাজেট ঘাটতি হবে ৯ কোটি টাকা।

ওয়েলিংটনে দ্বিতীয় টেস্টে ম্যাকলামের ব্যাটিং ঝড়ে বিপর্যস্ত ভারত
ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে আজ দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিনেও নিজেদের দাপট বজায় রাখল কিউয়ি ব্যাটিং লাইন-আপ। রবিবার ৫ উইকেটে ২৫২ রান করে কিউয়িরা। ব্র্যান্ডন ম্যাকালাম শতরান করেছিলেন রবিবারেই। সোমবার তা দ্বিশতরানে দাঁড়ায়। ব্যক্তিগত ৯ রানের মাথায় তাঁর ক্যাচ ফস্কানোর খেসারত দিতে হচ্ছে ভারতকে। ওই দিনের অর্ধশত রানের পর ওয়াটলিং এ দিন শতরান করেন। কিন্তু ১২৪ রানে সামির বলে তাঁর ইনিংস শেষ হয়। এখন ক্রিজে অর্ধশত রান করে ম্যাকালামকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন নিসম। এই সিরিজের দ্বিতীয় দ্বিশতরান করলেন ম্যাকালাম। ব্যক্তিগত তৃতীয় দ্বিশতরান করে ম্যাকালাম এখন নিউজিল্যান্ডের যুগ্ম সর্বাধিক দ্বিশতরানের মালিক। এর আগে স্টিফেন ফ্লেমিং তিন বার দ্বিশতরান করেছিলেন। পর পর দু’টি দ্বিশতরান করার নজির কিউয়িদের মধ্যে এই প্রথম।
চলতি সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে দ্বিশতরান করে উচ্ছ্বাস নিউজিল্যান্ড অধিনায়কের। ছবি: এএফপি।
অপর দিকে ভারত দ্বিতীয় টেস্ট ভাল ভাবে শুরু করেও তা বজায় রাখতে পারল না। নিউজিল্যান্ড টিম যখন ৫২/৩ রানে ধুঁকছে তখন ক্রিজে নেমে হাল ধরেন ম্যাকালাম। তার পর আর পিছনে ফেরেননি। তাঁর ব্যাটিং-ঝড় সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হল ধোনি বাহিনীকে। দিনের শেষে ম্যাকালাম ২৮১ ও নিসম ৬৭ রান করে অপরাজিত রইলেন। ২৮১ রান করে ভিভিএস লক্ষ্মণের ২০০১ সালের গড়া রেকর্ড ছুঁলেন ম্যাকালাম। প্রথম ত্রিশতরান থেকে মাত্র ১৯ রান দূরে তিনি।
চতুর্থ দিন ৬ উইকেটে ৫৭১ রানে শেষ করে কিউয়িরা। ভারতের থেকে ৩২৫ রানে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড। আগামিকাল মঙ্গলবার দ্বিতীয় টেস্টের শেষ দিন। ভারত কাল ঘুরে দাঁড়াতে পরে কি না, ম্যাকালাম-ই বা ত্রিশতরান করতে পারেন কি না সেটাই এখন দেখার।

প্রতিবন্ধী কিশোরীকে লাগাতার ধর্ষণ ঠাণেতে
এক বছর ধরে তাকে বারে বারে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ আনল এক প্রতিবন্ধী কিশোরী। ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের ঠাণের জওহর এলাকার। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি সামনে আসে মূক ও বধির ওই কিশোরীর বাড়ির লোক থানায় অভিযোগ জানানোর পরে। মেয়েটি সাত মাসের অন্তঃসত্বা। মেয়েটি অন্তঃসত্বা হওয়ার পরে দু'টি বাড়ির লোকজন তাদের বিয়ের ব্যাপারে একমত হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তিও ওই কিশোরীকে বিয়ে করার ব্যাপারে প্রথমে রাজি হয়। কিন্তু পরে পিছিয়ে যায় সে। এর পরেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্ত আপাতত পলাতক। তার সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে স্থানীয় জওহর থানার পুলিশ।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.