টাটকা খবর |
ইস্তফা দিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল
সংবাদ সংস্থা |
ইস্তফা দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
দিল্লি বিধানসভায় জন লোকপাল বিল পাশ করাতে না পারায় শুক্রবার রাতে ইস্তফা দিলেন তিনি। দিল্লির মসনদে বসার মাত্র ৪৯ দিন পরেই অবসান হল আম আদমি পার্টি-র (আপ) শাসনের। দিল্লি বিধানসভার ৭০ সদস্যের মধ্যে ৪২ জনই এই বিলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। দিল্লির উপরাজ্যপাল নাজীব জঙ্গের কাছে ফ্যাক্স করে নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন কেজরিওয়াল। নতুন করে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই আমরা উপরাজ্যপালের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি। এই বিধানসভা ভেঙে নতুন নির্বাচনের জন্যও তাঁর কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।”
এর আগে বিরোধীদের তুমুল প্রতিবাদ ও তীব্র হইহট্টগোলের মধ্যেই এ দিন দিল্লি বিধানসভায় জন লোকপাল বিল পেশ করেছিলেন কেজরিওয়াল। কিন্তু বিল পেশের প্রক্রিয়াকেই অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে তার তীব্র বিরোধিতা করে বিজেপি এবং কংগ্রেস। ফলে সম্মিলিত বিরোধিতার মুখে পেশ হয়েও খারিজ হয়ে যায় জন লোকপাল বিল।
দিল্লি বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন শুরু হয় বৃহস্পতিবার থেকে। প্রথম দিনেই জন লোকপাল বিল পেশ করার কথা বলেছিলেন কেজরিওয়াল। |
|
|
দিল্লি মন্ত্রিসভার
বিশেষ বৈঠকে। |
মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক শেষে। |
|
কিন্তু বিজেপি এবং আপ-এর ‘সহযোগী’ কংগ্রেসের বিরোধিতার মুখে বিল পেশ করতে ব্যর্থ হয় আপ সরকার। নিয়মানুযায়ী দিল্লি বিধানসভায় কোনও বিল পেশ করতে হলে উপরাজ্যপাল তথা কেন্দ্রের অনুমতির প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে তেমন কোনও অনুমতিই নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ বিরোধীদের। এখনই বিল পেশ না করার পরামর্শ দিয়েছিলেন উপরাজ্যপাল। কিন্তু সেই পরামর্শ উপেক্ষা করে শুক্রবার বিলটি এনে আলোচনা বা ভোটাভুটির আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী। স্পিকার বিল নিয়ে আলোচনার অনুমতি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিরোধীরা। বাধ্য হয়ে ২০ মিনিটের জন্য অধিবেশন মুলতুবি করেন স্পিকার। এর পর অধিবেশন শুরু হতেই ফের বিল পেশের পদ্ধতিগত ত্রুটির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ শুরু হয়। আপ-এর বিধায়কেরা বাদে বাকি সব বিধায়কই এর বিরোধিতা করেন। ফলে বিল পেশ হলেও তা খারিজ করে দিতে বাধ্য হন স্পিকার।
ক্ষমতায় আসার পর থেকে দিল্লির উপরাজ্যপালের সঙ্গে নতুন মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্ক যথেষ্ট মধুর ছিল। বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর সঙ্গে পরামর্শও করতেন কেজরিওয়াল। কিন্তু এ দিন প্রথম তিনি প্রকাশ্যে মুখ খুললেন উপরাজ্যপালের বিরুদ্ধে। নজীব ‘ব্রিটিশ আমলের ভাইসরয়ের মতো আচরণ করছেন’ বলে এ দিন কেজরিওয়াল মন্তব্য করেন। তিনি আরও জানান, দিনের শুরুতে বিধানসভায় বিল পেশের বিরুদ্ধেই ছিলেন উপরাজ্যপাল। রাতে তাঁর কাছেই ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন কেজরিওয়াল।
গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর দিল্লির রামলীলা ময়দানে আম আদমি পার্টি-র সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কংগ্রেসের সমর্থনে সরকার গড়ার এই ৪৯ দিনে কেজরিওয়াল সরকার প্রায় প্রতিদিনই সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছে। নির্বাচনের আগে দেওয়া বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি রাখতে পারা না-পারার মধ্যেই টিম-কেজরিওয়াল ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখে পড়ে। বিক্ষুব্ধ বিধায়ক থেকে রণংদেহী মন্ত্রী, এই ক’দিনে আপ-সরকারের দৌলতে অনেক কিছুরই সাক্ষী হয়েছে গোটা দেশ। তবে যে জন লোকপালের প্রতিশ্রুতি কেজরিওয়ালকে ক্ষমতার অন্দরে এনেছিল, সেই বিলই যে তাঁকে ক্ষমতার বাইরে নিয়ে দাঁড় করাবে তা বোধহয় আম আদমি-র এই প্রতিনিধির কাছে কিছুটা অপ্রত্যাশিতই। |
ছবি: পিটিআই। |
|
পাড়ুই-কাণ্ডের তদন্তভার খোদ ডিজি-র হাতে দিল হাইকোর্ট
নিজস্ব প্রতিবেদন |
ডিআইজি কিংবা আইজি পর্যায়ের কোনও অফিসার নয়, পাড়ুই-কাণ্ডে খোদ রাজ্য পুলিশের ডিজি গোটুর মহারেড্ডি প্রভু রাজশেখর (জিএমপি) রেড্ডিকেই মূল তদন্তকারী অফিসার হিসেবে নিযুক্ত করল কলকাতা হাইকোর্ট।
সরকারপক্ষ এবং আবেদনকারী দুই পক্ষ মূল তদন্তকারী অফিসারের নাম নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে না পারায় শুক্রবার বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত একতরফা ভাবে রাজ্য পুলিশের ডিজি-র নাম ঘোষণা করে দেন। তিনি বলেন, বীরভূমের পাড়ুই গ্রামের সাগর ঘোষ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করবেন রাজ্য পুলিশের ডিজি-র নেতৃত্বে তৈরি হওয়া পাঁচ সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল। ওই তদন্ত হবে হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে। জিএমপি রেড্ডি কোনও ভাবেই তদন্তের ব্যাপারে রাজ্য সরকারের কাছে কোনও মতামত চাইতে পারবেন না। রাজ্য প্রশাসন কোনও ভাবেই ওই তদন্তে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি দত্ত। এ দিন বিকেলের মধ্যে তদন্তকারী দলের বাকি চার সদস্যের নাম তাঁর এজলাসে জমা দিতেও সরকারপক্ষকে নির্দেশ দেন বিচারপতি দত্ত।
বিকেলেই রাজ্য সরকারের পক্ষে তদন্তকারী অফিসারদের নাম সরকারপক্ষের আইনজীবীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। তখনই জানা যায়, বিশেষ তদন্তকারী দলের বাকি সদস্যেরা হলেন এডিজি (সিআইডি) রামফল পওয়ার, আইজি (সিআইডি) নিরজ সিংহ, এক জন ডিএসপি (সিআইডি) এবং এক জন ইনস্পেক্টর। এ দিনই সিআইডি-র হাত থেকে তদন্তের কাগজপত্র ডিজি-র নেতৃত্বধীন তদন্তকারী দলের হাতে চলে এসেছে। ১৫ দিনের মধ্যে ডিজি-কে তদন্তের প্রথম অগ্রগতি রিপোর্ট দিতে বলেছেন বিচারপতি দত্ত।
এ দিন ডিজি-র নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দল কলকাতা হাইকোর্ট গড়ে দেওয়ায় নতুন করে আশার আলো খুঁজে পেয়েছেন সাগরবাবুর পরিবারের সদস্যেরা। সাগরবাবুর ছেলে হৃদয় ঘোষ বলেন, “ডিজি-র মতো সর্বোচ্চ পর্যায়ের অফিসারকে হাইকোর্ট তদন্তভার দেওয়ায় আমাদের মনে ভরসা এসেছে। বিচারপতি যে ভাষায় তদন্তে সরকারের হস্তক্ষেপ নিষিদ্ধ করেছেন তাতে প্রকৃত অপরাধীদের সাজা পাওয়ার বিষয়টি উজ্জ্বল হয়েছে।”
নিহতের পুত্রবধূ শিবানী ঘোষ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে যে বয়ান দিয়েছিলেন তাতে অভিযুক্ত হিসেবে প্রথম দু’টি নাম তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এবং জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরীর। ওই দুই জনকে এফআইআর-এ নাম থাকা ‘প্রথম দুই ভদ্রলোক’ বলে অভিহিত করে কেন ওই তাঁদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না তা সিআইডি-র কাছে জানতে চেয়েছিলেন বিচারপতি দত্ত। সরকারপক্ষ বিচারপতির প্রশ্নের কোনও জবাব দেয়নি। অণুব্রত মণ্ডল এবং বিকাশ রায়চৌধুরীকে গ্রেফতারও করেনি পুলিশ।
গত বছরের ২১ জুলাই চতুর্থ দফার পঞ্চায়েত ভোটের আগের রাতে বীরভূমের পাড়ুইয়ের বাঁধ নবগ্রামে খুন হন অবসরপ্রাপ্ত স্কুলকর্মী সাগর ঘোষ। তাঁর পুত্রবধূ শিবানী ঘোষের অভিযোগ ছিল, আশঙ্কাজনক অবস্থায় শ্বশুরমশাইকে ফেলে রেখে জোর করে তাঁদের দিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়েছিল পুলিশ। ওই সাদা কাগজে কয়েক জনের নাম লিখিয়ে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করা হয়। শিবানী দেবী এর পরে রেজিস্ট্রি ডাকে অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগপত্রকে জেলা পুলিশ কখনওই এফআইআর হিসেবে গণ্য করেনি। মামলাটি হাইকোর্টে যাওয়ার পরে আদালতের নির্দেশে ওই অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে সিআইডি।
|
সভা-মিছিলে হাঁসফাঁস মহানগরীর
নিজস্ব সংবাদদাতা |
শহরের প্রাণকেন্দ্রে দু’টি সভা। তার উপরে শহর জুড়ে দু’টি ধর্মীয় সংগঠনের মিছিল। সব মিলিয়ে কাজের দিনে ফের নাকাল শহরবাসী। শুক্রবার দুপুরে যত না যানজট হয়েছে, বিকেলে তা ছড়িয়ে গিয়েছে আরও বেশি। যার ফলে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরতে ঘাম ছুটল অফিসফেরত মানুষকে। |
|
—নিজস্ব চিত্র। |
পুলিশ জানায়, এ দিন দুপুরে ধর্মতলার ওয়াই রোডে গ্রন্থাগার কর্মীদের একটি সংগঠনের জমায়েত ছিল। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে সভা ছিল একটি ধর্মীয় সংগঠনের। বিকেলে ওয়াই রোডে ফের জমায়েত করেন বিভিন্ন অর্থলগ্নি সংস্থার এজেন্ট ও আমানতকারীরা। দুপুরে তিলজলা থেকে একটি ধর্মীয় সংগঠনের শোভাযাত্রা বেরিয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ ১৭টি জায়গা ঘুরে পুনরায় তিলজলায় ফিরে যায়। কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে লোকজন ওই শোভাযাত্রায় যোগ দেন। তার জেরেই এ দিন ধর্মতলা-সহ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে যানজট হয়। আগাম পুলিশি ব্যবস্থা করা সত্ত্বেও শহরবাসীর নাকাল হওয়া এড়ানো যায়নি। |
কিশোরীকে ফের ধর্ষণের চেষ্টা কলকাতায়, ধৃত যুবক
নিজস্ব সংবাদদাতা |
পাম অ্যাভিনিউয়ের বাসিন্দা এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে আগেও এক বার তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সে যাত্রায় বেকসুর খালাস হলেও ওই মামলার বিচারক মন্তব্য করেছিলেন, “আপনি খুব স্বচ্ছ প্রকৃতির নন। ভবিষ্যতে ভাল থাকার চেষ্টা করবেন।” বৃহস্পতিবার রাতে সেই কিশোরীকেই ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে শাহজাদা বক্সকে ফের গ্রেফতার করল পুলিশ। তাকে শুক্রবার আলিপুরের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জীব দারুকার আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশ আদালতকে জানিয়েছে, ওই কিশোরী ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে গোপন জবানবন্দি দিতে চায়। পুলিশ শাহজাদাকে গ্রেফতার করলেও তার সঙ্গী সেলিমকে শুক্রবার রাত পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি।
পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে মেয়েটি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত সওয়া ৯টা নাগাদ সে বাড়ির সামনের দোকান থেকে মিষ্টি কিনতে গিয়েছিল। ওই সময় শাহজাদা ও তার সঙ্গী সেলিম মোটরসাইকেল চেপে উল্টো দিক দিয়ে আসছিল। তাকে দেখে তারা মোটরসাইকেল ঘুরিয়ে অশ্লীল গালিগালাজ করতে শুরু করে, বুকে ঘুষি মারে, গায়ে নখ দিয়ে আঁচড়ে দেয়। জামাকাপড়ও ছিঁড়ে দেয়। তার পরে রাস্তায় ফেলে ধর্ষণেরও চেষ্টা করে। ওই সময় শাহজাদা ও সেলিমের খপ্পর থেকে নিজেকে কোনও মতে মুক্ত করে সে বাড়ির দিকে পালায়। বাড়িতে গিয়ে কাকিমাকে সব জানায়। কাকিমার সঙ্গে রাতেই চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করায়। কড়েয়া থানায় শাহজাদা ও তার ওই সঙ্গীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে সে।
শাহজাদার বিরুদ্ধে বছর দেড়েক আগেও ধর্ষণের অভিযোগ করেছিল এই কিশোরী। ২০১২ সালের সেই ঘটনার পরের দিন থানায় অভিযোগ জানাতে মেয়েটির সঙ্গে গিয়েছিলেন পাড়ারই যুবক আমিনুল ইসলাম। অভিযোগ ওঠে, মেয়েটিকে ধর্ষণের লিখিত বক্তব্য প্রত্যাহার করার জন্য আমিনুলকে চাপ দেয় থানা। তাঁকে ডাকাতির মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এই অপমানের জ্বালায় গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করে আমিনুল। মেয়েটিও ধর্ষণের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে শাহজাদা গ্রেফতার হলেও বেকসুর খালাস হয়ে যায়। ওই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় শহর ও রাজ্য জুড়ে। সাসপেন্ড হন কড়েয়া থানার তৎকালীন তিন পুলিশকর্মী। পরে বদলি করা হয় কড়েয়া থানার প্রাক্তন ওসি এবং দক্ষিণ-পূর্ব ডিভিশনের এক অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারকেও। |
ওয়েলিংটনে প্রথম দিনের শেষে অ্যাডভান্টেজ ভারত
সংবাদ সংস্থা |
ইডেন পার্কের দ্বিতীয় ইনিংস থেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল ধোনি বাহিনী। ওয়েলিংটনের শক্ত আর ঘাসে ভরা পিচে ৫৩ ওভারের মধ্যে ১৯২ রানে কিউয়িদের নিকেশ করে সিরিজে প্রথম বার অ্যাডভান্টেজ ভারত। পেস সহায়ক উইকেটে নিউজিল্যান্ডের উইকেটগুলি ভাগ করে নিলেন ইশান্ত ও শামি। ইশান্ত ছ’টি ও শামি চার উইকেট নেন।
শুক্রবার সকালে মহাগুরুত্বপূর্ণ টস জেতেন ধোনি। এ বারের নিউজিল্যান্ড সিরিজে টস জেতাটা মোটামুটি অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন তিনি। সবুজ পিচ আর আর্দ্র আবহাওয়ায় কিউয়িদের প্রথমে ব্যাট করতে পাঠাতে দ্বিধা করেননি তিনি। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করার কাজ ন’ওভারের পর থেকেই শুরু করেন ইশান্ত শর্মা। |
|
ওয়েলিংটনে বিধ্বংসী ইশান্ত। ছবি: এএফপি। |
নিজের পর পর তিন ওভারে নিউজিল্যান্ডের প্রথম তিন উইকেট তুলে নেন তিনি। যোগ্য সঙ্গত দেন মহম্মদ শামিও। উইকেট না পেলেও যথেষ্ট ভাল বল করেন জাহির খান। কেন উইলিয়ামসন (৪৭) বাদে তেমন ভাবে রান পাননি কেউই। এ দিন রস টেলরের অভাব যথেষ্ট ভুগিয়েছে নিউজিল্যান্ডকে। পরিবারের পাশে থাকায় দ্বিতীয় টেস্টে না খেলার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তাঁর জায়গায় দলে এসে দাগ কাটতে ব্যর্থ হলেন টম লাথাম। নিউজিল্যান্ড দলে আরও একটি পরিবর্তন হয়েছে— ইশ সোধির জায়গায় দলে এসেছেন জিমি নিশাম। অন্য দিকে অপরিবর্তিত রয়েছে ভারতীয় দল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিজয়ের উইকেট হারায় ভারত। তবে ইডেন পার্কে যেখানে শেষ করেছিলেন সেখান থেকেই ইনিংস শুরু করেন শিখর ধবন। দ্বিতীয় উইকেটে পূজারার সঙ্গে ৮৭ রানের পার্টনারশিপ করেন তিনি। ১৯ রানে পূজারা আউট হলেও ৭১ রানে অপরাজিত থেকে যান ধবন। প্রথম দিনের শেষে ভারত ১০০/২। ধবনের সঙ্গে অপরাজিত রয়েছেন নাইট ওয়াচম্যান ইশান্ত শর্মা। |
|