|
|
|
|
টুকরো খবর |
ছেলের হাতে ‘খুন’ বাবা
নিজস্ব সংবাদদাতা
|
বাবাকে খুনের অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বিকেলে, সার্ভে পার্ক থানা এলাকার একটি বাড়িতে। নিহতের নাম শম্ভু দাস (৪৫ )। তিনি তিন ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে ক্যানাল সাউথ রোডের ওই বাড়িতে থাকতেন। পুলিশ জেনেছে, ওই ব্যক্তি প্রায়ই মত্ত অবস্থায় স্ত্রীর সঙ্গে বচসা করতেন। বড় ও মেজ ছেলেকে মারধর করতেন। গত মঙ্গলবার সেই পরিস্থিতি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছয় বলে পুলিশ জানতে পারে। শম্ভুবাবুর বড় ছেলে স্বপন একটি মার্বেলের দোকানে কাজ করতেন। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জেনেছে, মঙ্গলবার দুপুরে কোনও বিষয়ে স্বপন ও শম্ভুবাবুর মধ্যে বিরোধ হওয়ায় তিনি ছেলেকে মারধর করেন। বিকেলে বচসা বাড়ায় শম্ভুবাবু ছেলেকে মারধর করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, তখনই স্বপন একটি ইট দিয়ে বাবার মাথায় আঘাত করেন। অচৈতন্য হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন শম্ভুবাবু। খবর পেয়ে পৌঁছয় পুলিশ। শম্ভুবাবুকে বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার চিকিত্সকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এর পরেই স্বপনকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তকে বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে পুলিশ হেফাজত দেন। অন্য দিকে পুলিশ জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় মেটিয়াবুরুজের লিচুবাগান বস্তিতে দু’ভাইয়ের মধ্যে মারামারিতে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম আবুল হোসেন (৫৪ )। এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম মহম্মদ হালিম, ইসরত এবং নুসরত জাহান। ধৃতদের মধ্যে মহম্মদ হালিম নিহতের ভাই। অন্য দু’জন হালিমের শ্যালিকা। পুলিশ জানায়, মাস কয়েক ধরে ওই দু’ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ চলছিল। মঙ্গলবার বচসা হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায়। জখম আবুলকে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্সকেরা। এর পরেই মৃতের স্ত্রী রিজওয়ানা খাতুন খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
|
অতিরিক্ত জল দিতে নয়া প্রকল্প |
জলসঙ্কট দূর করাই নয়, বিধাননগরে অতিরিক্ত জল সরবরাহ করবে রাজ্য। বৃহস্পতিবার এক সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে এসে এমনই প্রতিশ্রুতি দিলেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিধাননগর পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তীকে অতিরিক্ত জল সরবরাহ ঘিরে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের ধাঁচে একটি প্রকল্প চালুরও পরামর্শ দেন মন্ত্রী। সেই মতোই কাজ হবে বলে জানিয়েছে পুরসভা। জনস্বাস্থ্য কারিগরি ও নগরোন্নয়ন দফতরের যৌথ উদ্যোগে প্রতি দিন ১০ কোটি গ্যালন জল সরবরাহের একটি প্রকল্প চলছে। তা থেকে বিধাননগর, নবদিগন্ত, নিউ টাউন, রাজারহাট -গোপালপুর, দক্ষিণ দমদম, পার্শ্বস্থ বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকা, হাড়োয়া প্রমুখ জায়গায় জল সরবরাহ করা হবে। এ দিন বিধাননগরের ডিডি ব্লকে পশ্চিমবঙ্গ সামগ্রিক অঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ, রাজ্য শিশুশিক্ষা মিশন ও রাজ্য পঞ্চায়েত সম্পদ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্দেশ্যে ‘যৌথ উন্নয়ন ভবন’-এর শিলান্যাস করেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী। সেখানেই তিনি বলেন, “বিধাননগরে রোজ গড়ে মাথাপিছু ১০০ লিটার জল সরবরাহ হবে। ফলে জল উদ্বৃত্ত হবে।” তা নষ্ট না করে একটি বিশেষ প্রকল্প চালুর পরামর্শ দেন মন্ত্রী। বর্তমানে বিধাননগরে যে জল সরবরাহ করা হয়, তার একাংশ ভূগর্ভস্থ জল। লক্ষাধিক বহিরাগতও জল ব্যবহার করেন। প্রতিদিন জল নষ্টের পরিমাণও যথেষ্ট। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, নতুন প্রকল্পের জল সরবরাহ করা হলেও চাহিদা কি আদৌ মিটবে? প্রশাসনের দাবি, চাহিদা পূরণ করা যাবে। অনুষ্ঠানে ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, দুই বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত ও সুজিত বসু, চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী -সহ পুরসভার অন্য কাউন্সিলরেরা।
|
সিএফ নিতে হবে সরকারি বাসকেও |
সরকারি ডিপো থেকে লজ্ঝড়ে বাস বেরিয়ে কিছু দূর যাওয়ার পরেই ব্রেকডাউন হয়ে গেল, কিংবা ব্রেক ফেল করে দুর্ঘটনা ঘটাল সরকারি বাস। ভাঙাচোরা সরকারি বাস কালো ধোঁয়া ছেড়ে মহানগরের রাস্তায় দিব্যি চলছে এমন অভিযোগ হামেশাই জমা পড়ে পরিবহণ দফতরে। গত তিন -চার দিনে তিনটি দুর্ঘটনাও ঘটেছে সরকারি বাসে। তিন দিন আগে পার্ক সার্কাসে সরকারি বাসের রেষারেষির জেরে মৃত্যু হয়েছিল দু’মাসের এক শিশুর। বুধবার বাইপাসে দু’টি সরকারি বাসের সংঘর্ষে ৩৬ জন যাত্রী জখম হন। ওই দিনই বি বা দী বাগে একটি সরকারি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফুটপাথে উঠে পড়ে একটি বাতিস্তম্ভে ধাক্কা মারে। পরপর এমন দুর্ঘটনা আটকাতে এ বার সরকারি বাসেও ‘সার্টিফিকেট অফ ফিটনেস’ (সিএফ ) চালু করার সিদ্ধান্ত নিলেন পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র। তিনি বলেন, “পর পর দুর্ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। বেসরকারি বাসকে নিয়মিত সময় অন্তর পরিবহণ দফতর থেকে ফিটনেস সার্টিফিকেট নিতে হয়। কিন্তু সরকারি বাসে এত দিন সেই নিয়ম ছিল না। এ বার আমরা সরকারি বাসেও সেই নিয়ম চালু করছি।” সার্টিফিকেট অফ ফিটনেস না থাকলে কোনও সরকারি বাসকে রাস্তায় বের করা যাবে না বলেও নির্দেশ দেন মন্ত্রী। রাজ্যের পাঁচটি সরকারি নিগমেই এই নিয়ম চালু হবে বলে জানিয়েছেন মদনবাবু। তিনি বলেন, “ফিটনেস সার্টিফিকেট আছে, এমন বাস রাস্তায় বেরনোর পরে দুর্ঘটনা ঘটলে চালককে তার জন্য জবাবদিহি করতে হবে।” পাশাপাশি, দুর্ঘটনা এড়াতে চালকদের নিয়মিত কর্মশালা এবং কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থাও করা হবে বলে পরিবহণ দফতর সূত্রের জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার বাইপাসের দুর্ঘটনায় জখম যাত্রীদের দেখতে হাসপাতালে যান পরিবহণমন্ত্রী। তিনি আহতদের ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন। ওই দুর্ঘটনায় কে বা কারা দায়ী, তা অবিলম্বে চিহ্নিত করারও নির্দেশ দেন মদনবাবু।
|
এমডি -তে ভর্তির নামে প্রতারণা, ধৃত চিকিত্সক |
বেঙ্গালুরুর এক সরকারি মেডিক্যাল কলেজে উচ্চশিক্ষায় ভর্তি করানোর নামে ৪৫ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে এক চিকিত্সক গ্রেফতার হলেন। ধৃত শান্তনু পাল বিধাননগরের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার আদালতে তাঁর চার দিনের পুলিশি হেফাজত হয়। পুলিশ জানায়, বর্ধমানের বাসিন্দা চিকিত্সক রোহন ভাণ্ডারীর অভিযোগের ভিত্তিতে শান্তনুকে ধরা হয়। রোহন পুলিশকে জানান, এমডি -তে ভর্তির জন্য তিনি যোগাযোগ করেছিলেন শান্তনুর সঙ্গে। শান্তনু জানান, ওই হাসপাতালের প্রশাসনিক স্তরে তাঁর যোগাযোগ আছে। সে সূত্রেই ভর্তি করিয়ে দিতে তিনি রোহনের থেকে ৩ বছরের জন্য ৪৫ লক্ষ টাকা চান। দু’জনের মধ্যে চুক্তিও হয়। ২০১২ -র ডিসেম্বরে রোহন মোট ২৫ লক্ষ টাকা দেন। কিন্তু ভর্তি করাতে পারেননি শান্তনু। অভিযোগকারী পুলিশকে আরও জানান, টাকা ফেরত চাইলে শান্তনু গত অক্টোবরে তাঁকে ৫ লক্ষ টাকার চেক দেন। সেটি বাউন্স করে। রোহন বিধাননগর উত্তর থানায় ওই চিকিত্সকের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশের দাবি, জেরায় শান্তনু জানিয়েছেন, তিনি বেঙ্গালুরুর ওই হাসপাতালে উচ্চশিক্ষায় ভর্তি করানোর নামে একাধিক ব্যক্তির থেকে কয়েক কোটি টাকা তুলেছেন। কয়েক জনকে ভর্তি করাতে পেরেছেন। বাকিদের পারেননি।
|
স্কুলছাত্রের অপমৃত্যু |
অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক স্কুলছাত্রের। বুধবারের ঘটনা। মৃতের নাম বিক্রম চৌধুরী (১৬ )। বাড়ি গৌরীবাড়ি লেনে। বি টি রোডের আদর্শ মাধ্যমিক স্কুলে একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল সে। পুলিশ জানায়, বুধবার বিক্রম স্কুল চলাকালীন বেরিয়ে পড়ে। দুপুরে বেদিয়াপাড়ার কাছে রেল লাইনের ধারে তাকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়েরা। খবর যায় দমদম জিআরপি -তে। তারাই বিক্রমকে আর জি করে ভর্তি করে। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। জিআরপি -র অনুমান, ট্রেন থেকে পড়েই মৃত্যু হয়েছে বিক্রমের। বৃহস্পতিবার বিক্রমের পরিবার চিত্পুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। বিক্রমের এক ভাই জ্যোতি প্রসাদ স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ তুলে বলেন, “ভাই স্কুল চলাকালীন কী ভাবে বাইরে গেল, তদন্ত হোক। কখন বিক্রম স্কুল থেকে বেরোয়, শিক্ষকেরা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারছেন না।” স্কুল কর্তৃপক্ষ অবশ্য মন্তব্য করতে চাননি। জ্যোতির আরও অভিযোগ, থানায় অভিযোগ জানিয়ে যখন স্কুলে যাই তখন স্কুলে এক পুলিশ অফিসার ছিলেন। তিনি আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন।” যদিও ওই অফিসার বলেছেন, “খারাপ ব্যবহারের প্রশ্নই নেই। কী ঘটেছে জানতে আমরা স্কুলে গিয়েছিলাম। তদন্ত চলছে।”
|
মামলা সরলো জেলা কোর্টে |
 |
গার্ডেনরিচ কাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া শুরুর জন্য মামলাটি পাঠানো হল জেলা জজের আদালতে। বৃহস্পতিবার আলিপুরের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট এই নির্দেশ দেন। ২৭ ফেব্রুয়ারি জেলা আদালতে এই বিচার শুরু হবে। গত বছরের ১২ জানুয়ারি গার্ডেনরিচে কলেজ নির্বাচনকে ঘিরে অশান্তির ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন কলকাতা পুলিশের এসআই তাপস চৌধুরী। সেই ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল নেতা মহম্মদ ইকবাল -সহ আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ধৃতদের মধ্যে শেখ সুভান নামে এক যুবক ছাড়া বাকি সবাই জামিনে মুক্ত। যদিও এ দিন আদালতে সব অভিযুক্তই হাজির ছিলেন। অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী অরিন্দম দাস বলেন, “২৭ ফেব্রুয়ারিও সব অভিযুক্তকে হাজির থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” |
|
|
 |
|
|