টাটকা খবর |
অপসৃত প্রদীপ, প্রদেশ কংগ্রেসের নতুন সভাপতি অধীর
নিজস্ব সংবাদদাতা |
লোকসভা নিবার্চনের মুখে প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির নতুন সভাপতি করা হল বহরমপুরের সাংসদ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অধীর চৌধুরীকে। সোমবার সকালে এআইসিসি-র পক্ষ থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে এই পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
মেয়াদ শেষের আগেই প্রদীপ ভট্টাচার্যকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে অধীরবাবুকে ওই পদে বসানো রাজ্য রাজনীতিতে অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। অধীরবাবুকে সভাপতি করার সিদ্ধান্তে স্বয়ং সোনিয়া গাঁধী এবং রাহুল গাঁধী সিলমোহর দিয়েছেন বলে কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে। লড়াকু নেতা হিসেবে অধীরবাবুর পরিচিতি রয়েছে। তাই, এই সিদ্ধান্তে দলের নিচুতলার কর্মীরা উজ্জীবিত হবেন বলে মনে করেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব । সভাপতি হওয়ার পরে অধীরবাবু বলেন, “সামনে লোকসভা ভোট। সময় খুব কম। সবাইকে নিয়ে লড়তে হবে। ক’টা আসন পাব তা নিয়ে ভেবে কাজ করব না। কংগ্রেসকে জোরদার করাই এখন প্রাথমিক কাজ। নেতা-কর্মীদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। জেতা-হারা পরের কথা। লড়াইটাই আসল কথা।” এআইসিসি-র এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সদ্য-বিদায়ী সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “অধীর তুলনায় অনেক তরুণ এবং উদ্যমী নেতা। আমার দিক থেকে অধীর সব রকমের সহযোগিতা পাবে।”
নতুন সভাপতির নেতৃত্বে কংগ্রেস ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলে মনে করেন আর এক প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি মানস ভুঁইয়া। প্রদীপবাবু প্রদেশ সভাপতি হওয়ার আগে মানসবাবু এগারো মাস ওই দায়িত্ব সামলেছেন। অনেক আগেই এই সিদ্ধান্ত নিলে সংগঠনের পক্ষে আরও ভাল হত বলে মনে করেন কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান।
|
সারদার সম্পত্তি বিক্রি করতে পারবে না শ্যামল সেন কমিশন, নির্দেশ হাইকোর্টের
নিজস্ব সংবাদদাতা |
সারদা-কাণ্ডে গঠিত বিচারপতি শ্যামল সেন কমিশন সারদা গোষ্ঠীর কোনও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে বিক্রি করতে পারবে না বলে সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিল।
যে ভাবে ওই কমিশন সারদা গোষ্ঠীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে তা বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তাতে আপত্তি জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তারা হাইকোর্টকে জানিয়েছিল, এই ভাবে সারদা গোষ্ঠীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে তা বিক্রি করার কোনও আইনি বৈধতাই শ্যামল সেন কমিশনের নেই। একমাত্র কেন্দ্রীয় ইডি-ই এই কাজ করতে পারে। এ দিন সারদা মামলায় ইডি-র এই যুক্তি মেনে নিয়েছে বিচারপতি অসীম বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
রাজ্য সরকার সারদা কমিশন তৈরির সময়ে তাদের সারদা গোষ্ঠীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে তা বিক্রি করার যে অধিকার দিয়েছিল, এ দিন হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের পরে তার আর কোনও যৌক্তিকতা থাকল না বলে আইনজীবীরা মন্তব্য করেছেন। ইতিমধ্যে কমিশন সারদা গোষ্ঠীর হাতে থাকা তিনটি বৈদ্যুতিন চ্যানেল বিক্রি করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ নিয়ে কথাবার্তাও অনেকটা এগিয়েছে বলে কমিশন সূত্রের খবর। ওই চ্যানেল বিক্রির টাকা সারদা-কাণ্ডের ভূক্তভোগীদের মধ্যে বিলি করার কথা। কিন্তু এ দিন হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের ফলে সেই প্রক্রিয়া চালু থাকবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ ব্যাপারে কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি শ্যামল সেন বলেছেন, “রায়ের প্রতিলিপি না দেখে আমি কিছু বলব না।”
রাজ্যের বিভিন্ন আদালতে সারদা মামলার শুনানি যে ভাবে চলছে তা নিয়েও হাইকোর্টে আপত্তি জানিয়েছিল ইডি। তাদের প্রস্তাব ছিল সারদাগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে চলতে থাকা সব ক’টি মামলা এক ছাতার তলায় আনা হোক। হাইকোর্ট ইডি-র এই প্রস্তাবও মেনে নিয়েছে। পাশাপাশি সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেন এবং দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে ইডি চাইলেই জেরা করতে পারবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন।
|
পাড়ুই হত্যাকাণ্ডে দু’জনকে ধরা যাচ্ছে না কেন, প্রশ্ন হাইকোর্টের
নিজস্ব প্রতিবেদন |
বীরভূমের পাড়ুইগ্রামের সাগর ঘোষ হত্যাকাণ্ডের এফআইআর-এ নাম থাকা প্রথম ‘দুই ভদ্রলোক’কে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না কেন, সোমবার সেই প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিহত সাগর ঘোষের স্ত্রী ও পুত্রবধূর দায়ের এফআইআর-এর প্রথম দু’টি নাম বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ চৌধুরীর। শুধু এফআইআর-এ নাম থাকা প্রথম ‘দুই ভদ্রলোক’ই নন, গত ২১ জুলাই যে দু’জন সাগরবাবুকে লক্ষ করে গুলি চালিয়েছিল বলে অভিযোগ, সেই সুব্রত রায় ও ভগীরথ ঘোষ কেন ধরা পড়ছে না তা এ দিন জানতে চান বিচারপতি দত্ত।
বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, এদেরকে ধরা যাচ্ছে না, না কি ধরা হচ্ছে না? সিআইডি-র তদন্ত পুরোপুরি লোকদেখানো কি না তা-ও বিচারপতি জানতে চান। সিআইডি-র তদন্তকারী অফিসারকে সরিয়ে ডিআইজি (সিআইডি) দময়ন্তী সেনকে সেই দায়িত্ব দেওয়া সম্ভব কি না রাজ্য সরকারের কাছে তা জানতে চান বিচারপতি দত্ত। বুধবারের মধ্যে রাজ্য সরকারকে এই বিষয়ে জানাতে হবে।
যাঁদের গ্রেফতার করতে না পারার জন্য সিআইডি-কে এ দিন হাইকোর্ট ভর্ত্সনা করল তাঁদের মধ্যে অনুব্রত মণ্ডল এবং বিকাশ চৌধুরী অবশ্য তাঁদের এলাকাতেই ছিলেন। অনুব্রত এ দিন বলেন, “আমি তো পালিয়ে বেড়াচ্ছি না।” বিকাশবাবুও বলেন, “আমি ওই ঘটনার কিছুই জানি না। আমি তো রোজই অফিস করছি।”
সাগরবাবুর স্ত্রী সরস্বতীদেবী ও পুত্রবধূ শিবানীদেবী (ঘটনার দুই প্রত্যক্ষদর্শী) বলেন, “জেলা পুলিশ নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত করেনি। এখন দেখছি সিআইডি-ও নিরপেক্ষ তদন্ত করছে না। খুনের সঙ্গে জড়িত বড় মাথাগুলো এখনও বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করার একটা চেষ্টা চলছে।” সাগরবাবুর ছেলে হৃদয় ঘোষের দাবি, “বাবার খুনের নিরপেক্ষ তদন্ত চাই।”
স্থানীয় পুলিশের তদন্তে অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট সাগর ঘোষ হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার দিয়েছিল সিআইডি-কে। কিন্তু সিআইডি-র তদন্তও বিচারপতি দত্তকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। সিআইডি-কে গত সোমবারও ভর্ত্সনা করে বিচারপতি দত্ত তাদের আরও একটি সুযোগ দিয়েছিলেন। এ দিন তাদের তদন্তের নতুন রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছিল। রিপোর্ট তাঁকে সন্তুষ্ট করতে না পারলে কোনও নিরপেক্ষ সংস্থাকে যে তিনি তদন্তভার দেবেন বিচারপতি আগের দিনই তা জানিয়ে দিয়েছিলেন।
|
মধ্যমগ্রামের কিশোরীর মৃত্যুর কারণ হাইকোর্টে জানাতে পারল না সিআইডি
নিজস্ব সংবাদদাতা |
মধ্যমগ্রামের গণধর্ষিতা কিশোরীর মৃত্যুর কারণ কী, সোমবার হাইকোর্টে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের এজলাসে জমা দেওয়া রিপোর্টে তা জানাতে পারলেন না সিআইডি (ডিআইজি) দময়ন্তী সেন। কেন এমন হল তার ব্যাখ্যা দিতে দিয়ে সরকারি কৌঁসুলি অশোক বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে জানান, ওই কিশোরীর আগুনে পোড়া নিয়ে তদন্তের সময় যা কিছু পাওয়া গিয়েছে, তা ফরেন্সিক দফতরে পাঠানো হয়েছে। এখনও ফরেন্সিক রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। তাই এই তদন্তে আরও কিছুটা দেরি হবে বলে তিনি আদালতে জানান।
গত ২৫ অক্টোবর ওই কিশোরী মধ্যমগ্রামে প্রথম বার গণধর্ষিত হয়। থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরে ২৮ অক্টোবর দ্বিতীয় বার ধর্ষিত হতে হয় তাকে। এর পর মধ্যমগ্রাম ছেড়ে এয়ারপোর্ট থানা এলাকায় চলে আসে কিশোরীর পরিবারটি। সেখানে কিশোরীটির গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গত ৩১ ডিসেম্বর মৃত্যু হয় তার। এই ঘটনার পরে তার বাবা কলকাতা হাইকোর্টে মেয়ের মৃত্যুর যথাযথ তদন্তের আর্জি জানিয়ে মামলা করেন। হাইকোর্ট মামলাটির দায়িত্ব দিয়েছিল সিআইডি-র ডিআইজি দময়ন্তী সেনকে।
মৃত কিশোরীর বাবার আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এ দিন আদালতে বলেন, প্রথম বার ধর্ষণের পরে যদি পুলিশ মেয়েটিকে নিরাপত্তা দিত, তা হলে দ্বিতীয় বার ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটত না। তাই পুলিশ দু’বার এফআইআর-এর পরিপ্রেক্ষিতে কী তদন্ত করেছে, তা দেখা প্রয়োজন রয়েছে বলে তিনি আদালতে জানান। তিনি বলেন, সেই কারণেই আদালতে ওই মামলার কেস ডায়েরি জমা দেওয়া প্রয়োজন। বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এ দিন জানিয়ে দেন, আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী দিনে ওই দু’টি মামলার কেস ডায়েরি হাইকোর্টে জমা দিতে হবে।
|
মুলতুবি হয়ে গেল সংসদের দু’ কক্ষ
সংবাদ সংস্থা |
শীতকালীন অধিবেশনের চতুর্থ দিনেও দফায় দফায় মুলতুবির সাক্ষী থাকল সংসদের দুই কক্ষই। পৃথক তেলঙ্গানা রাজ্য গঠনের পক্ষে ও বিপক্ষে যাঁরা, উভয় পক্ষই লোকসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদেরা। '৮৪ সালের শিখ বিরোধী দাঙ্গায় জড়িতদের নাম প্রকাশ এবং সাম্প্রদায়িক হিংসা প্রতিরোধ বিলটির বিরোধিতা করে বিক্ষোভ দেখান সপা-র সাংসদেরা।
দফায় দফায় বিক্ষোভরত সাংসদদের কাছে স্পিকার মীরা কুমার অধিবেশন শুরু করার আর্জি জানান। কিন্তু তাতেও কাজ না হওয়ায় দিনের মতো সংসদ মুলতুবি করে দেন স্পিকার।
অন্য দিকে, নজিরবিহীন বিরোধিতার সাক্ষী থাকল রাজ্যসভাও। এআইডিএমকে এবং ডিএমকের ২ সাংসদ বুলেটিন ছিঁড়ে ফেলে দেন। কয়েক জন সাংসদ চেয়ার ছোড়েন এবং গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রও ছিঁড়ে ফেলেন। এমনকী, এআইডিএমকে’র সাংসদ ভি মৈত্রেয়ান চেয়ারম্যানের দিকেও মাইক্রোফোন নিয়ে তেড়ে যান। তাঁকে আটকান রাজ্যসভার নিরাপত্তা কর্মীরা। বাধ্য হয়ে দিনের মতো সভা মুলতুবি করে দিতে বাধ্য হন ডেপুটি চেয়ারম্যান পি জে কুরিয়েন।
|
নেপালে নতুন প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা
সংবাদ সংস্থা |
নির্বাচনের দু’মাস পরে নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন সুশীল কৈরালা। তিনি নেপালি কংগ্রেস পার্টির সদস্য। নেপালের সংসদের ৬০১টি আসনের মধ্যে ১৯৪টি নেপালি কংগ্রেসের দখলে রয়েছে। নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থানাধিকারী ইউএমএল (কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (ইউনিফায়েড মার্কসিস্ট-লেনিনিস্ট)) তাঁকে সমর্থন করছে। সব মিলিয়ে তিনি ৪০৫ জন সাংসদের সমর্থন পেয়েছেন। ৭৬ বছর বয়সী সুশীল কৈরালা বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি খিল রাজ রেগমির কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, তাঁর প্রধান কাজ হবে ২০০৬-এ নেপালের মাওবাদীদের সঙ্গে স্বাক্ষরিত শান্তি চুক্তি মোতাবেক নতুন সংবিধান তৈরি করা। |
পার্ক সার্কাসে বাস উল্টে মৃত্যু শিশুর, আহত ১৫
নিজস্ব সংবাদদাতা |
সোমবার সাত সকালে বাস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক শিশুর। আহত হন প্রায় ১৫ জন যাত্রী। ঘটনাটি ঘটে পার্ক সার্কাসের ৪ নম্বর সেতুর উপর। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ দিন নিউটাউন থেকে পর্ণশ্রী যাচ্ছিল বাসটি। ওভারটেক করতে গিয়ে সেতুর উপর হঠাত্ই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেলিংয়ে ধাক্কা মেরে বাসটি উল্টে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের তত্পরতায় উদ্ধার করা হয় যাত্রীদের। আহতদের পাঠানো হয় চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে বাসটিকে আটক করে। তবে চালককে গ্রেফতার করতে পারেনি। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয় বেশ কিছু ক্ষণের জন্য। তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। |
|