বনগাঁ-চাকদহ সড়কে রাস্তার দু’পাশ জুড়ে লরি-ট্রাক পার্কিংয়ের জন্য প্রায়ই দুর্ঘটনা নিয়ে কিছুদিন আগেই সরব হয়েছিলের স্থানীয় বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের প্রতিবাদ-আন্দোলনের পারে পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই রাস্তায় লরি-ট্রাক পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু তার পরেও কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ার ফের মাসুল দিতে হল এক বাইক আরোহীকে। রবিবার বিকেলের বনগাঁর চাঁপাবেড়িয়ায় ট্রাক চাপা পড়ে মৃত্যু হল সঞ্জয় দাসের (৩২)। |
তাঁর বাড়ি পানচিতা গ্রামের জামতলায় এলাকার মানুষের অভিযোগ, এর আগেও পর পর কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটায় রাস্তার দু’পাশে দাংড়িয়ে থাকা ট্রাক-লরি সরানোর জন্য পুলিশকে বার বার বলা হয়েছে। কিন্তু তারা তাতে গা করেনি। এ দিন তাদের উদাসীনতারই মাসুল দিতে হল সঞ্জয়কে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল চারটে নাগাদ গোপালনগরের দিক থেকে মোটর সাইকেল চালিয়ে সঞ্জয় বনগাঁর দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় বনগাঁর দিক থেকে দশ চাকার একটি ট্রাক চাকদহের দিকে আসছিল। চাঁপাবেড়িয়া পাওয়ার হাউসের সামনে রাস্তায় একটি বাঁক রয়েছে। রাস্তার দু’পাশে পার্কিং করে থাকা ট্রাক-লরির জন্য উল্টোদিকের ট্রাকটিকে দেখতে পাননি সঞ্জয়। যখন পেলেন তখন আর কিছু করার ছিল না। মুখোমিখী সংঘর্ষে বাইকটি ভেঙে দু’টুকরো হয়ে যায়। একটি অংশ ট্রাকটির নীচে ঢুকে যায়। |
ওই অবস্থা ঘষতে ঘষতে প্রায় ২০ মিটার এগিয়ে যায় ট্রাকটি। থামার পড়ে গুরুতর জখম সঞ্জয়কে হাসপাতালে নিয়ে যায় বাসিন্দারাই। সেখানে তিনি মারা যান। এর পরেই ফের রাস্তার দু’পাশে ট্রাক পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বাসিন্দারা। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বনগাঁ থানার আসি চন্দ্রশেখর দাস, তিনি বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে শান্ত করেন।
বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “দুর্ঘটনা কমাতে অবিলম্বে পুলিশকে রাস্তার দু’পাশে ট্রাক পার্কিং বন্ধ করতে বলা হয়েছে। বিষয়টি ডিজি-সহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তাদেরও জানানো হয়েছে।” |
ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক। |