টাটকা খবর |
বাম ব্রিগেডে বিপুল ভিড়, লোকসভায় প্রতিরোধের ডাক
নিজস্ব সংবাদদাতা |
পিঠোপিঠি ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দেওয়ার পরে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেছিলেন, তৃণমূল ও বিজেপি-র সঙ্গে চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠ ভরাতে হবে। কার্যক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ নিয়েই দেখালেন বাম কর্মী-সমর্থকেরা! বামফ্রন্টের সমাবেশে ব্রিগেড ময়দান উপচে পড়ল রবিবার। ভিড়ের বহরে শাসক দল তৃণমূলের সঙ্গে তুল্যমূল্য পাল্লা দিয়ে দেখাল বিরোধী বামফ্রন্ট।
নানা প্রতিকূলতা, হুমকির অভিযোগের মধ্যে সব জেলা থেকে বাম কর্মী-সমর্থকেরা এসেছিলেন নানা পথে। এলাকায় শাসক দলের চোখকে ফাঁকি দেবেন বলে কয়েক দিন আগে রওনা দিয়ে ঘুরপথে ব্রিগেডে পৌঁছনোর লোকও ছিলেন অনেক। তাঁদের মেজাজও ছিল আক্রমণাত্মক। তবে এ দিন ব্রিগেড সমাবেশে বাম নেতৃত্বের বেশির ভাগের বক্তৃতাই তাঁদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি। আরও জোরালো বার্তা তাঁরা আশা করেছিলেন নেতাদের কাছে। ভিড় দেখে উৎসাহিত প্রকাশ কারাট, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্রেরা অবশ্য লোকসভা ভোটে কড়া প্রতিরোধের ডাক দিয়েছেন। তাঁদের আহ্বান, পঞ্চায়েত ও পুরভোটের পুনরাবৃত্তি আটকাতে হবে। |
|
ব্রিগেডে বক্তব্য রাখছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। |
রাজ্য সরকারের উৎসব ও মেলার পিছনে টাকা খরচের সমালোচনার পাশাপাশিই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধবাবু নরেন্দ্রে মোদীকে কটাক্ষ করেছেন। কয়েক দিন আগেই ব্রিগেডে এসে জোড়া লাড্ডুর তত্ত্ব দিয়েছিলেন বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী মোদী। কটাক্ষ করে এ দিন বুদ্ধবাবু বলেছেন, “একটা মোদীর লাড্ডু, আর একটা তৃণমূলের! ওই লাড্ডু কেউ খাবেন না! খেলে পস্তাতে হবে!” সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক কারাট দেশে অ-কংগ্রেস এবং অ-বিজেপি সরকার গড়ার লক্ষ্যে তৃতীয় বিকল্পের একজোট হওয়ার কথাই ফের বলেছেন। শাসক দলের সন্ত্রাস মোকাবিলার ডাক দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমানবাবু বলেছেন, “রাজ্যসভায় ভোট দেওয়ার জন্য টাকার খেলায় বিধায়ক কেনাবেচা করেছে তৃণমূল। এই সংস্কৃতি বাংলায় তারা আমদানি করেছে। এদের চিনে নিন! এরা সততার প্রতীক!” আর রাজ্যসভার ভোটে সদ্য যে দলের দুই বিধায়ক তৃণমূলকে ভোট দিয়ে দল ছেড়েছেন, সেই আরএসপি-র রাজ্য সম্পাদক ক্ষিতি গোস্বামী বলেছেন, “এ ভাবে আমাদের শেষ করা যাবে না। আণরা রক্তবীজের ঝাড়! মাটি থেকে উঠছি তোমাদের (তৃণমূল) ধ্বংস করার জন্য!” |
|
ব্রিগেড সমাবেশে বাম কর্মী-সমর্থকরা। |
তৃণমূল অবশ্য বামেদের ব্রিগেডকে কোনও আমল দিতে চায়নি। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের মন্তব্য, “এ দিনের ব্রিগেড নতুন কোনও বার্তাই দিতে পারেনি। একটা ফালতু (বোগাস) ব্রিগেড হয়েছে!” পক্ষান্তরে, বাম জনতার প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ার প্রশ্নে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের ব্যাখ্যা, “মানুষের মনোভাব খুব আক্রমণাত্মক ছিল। নেতারাও সেখানে খুব আগ্রাসী কথা বললে ওই জনতা ফিরে গিয়ে এলাকায় আক্রমণাত্মক হয়ে পড়তে পারত। তখন অভিযোগ উঠত, ব্রিগেড থেকে উস্কানি দেওয়া হয়েছে! এলাকায় স্থানীয় কর্মীরাও বিপদে পড়তেন।” |
ছবি: দেবাশিস রায়। |
ব্রিগেড সমাবেশে নাকাল শহর
নিজস্ব সংবাদদাতা |
রবিবাসরীয় ব্রিগেডে বামফ্রন্টের সমাবেশের সৌজন্যে তীব্র যানজটে নাকাল হতে হল শহরবাসীকে। এ দিন বামেদের ব্রিগেড সমাবেশ ও বইমেলার যুগলবন্দিতে দুপুর থেকে মাটির উপরে ও নীচের যানবাহনে তিল ধারণের জায়গা ছিল না।
অন্য রবিবারের মতো এ দিনও মেট্রো চালু হয়েছে সকাল ১০টায়। সমাবেশ এবং বইমেলামুখী ঢলে বিভিন্ন স্টেশনে কাতারে কাতারে ভিড় জমেছে। রবিবার আধ ঘণ্টা অন্তর ট্রেন মেলায় প্ল্যাটফর্মে ভিড় বিপুল চেহারা নিতে সময় নেয়নি। ১১টা বাজতে না বাজতেই পা রাখা দায় মেট্রোর কামরায়। দমবন্ধকর হয়ে দাঁড়ায় মেট্রো-কামরার চেহারা। যা-ও বা পৌঁছনো গিয়েছে গন্তব্যে, তাতেও বেরোবার সময়ে তুমুল হুড়োহুড়ি। বেশির ভাগ স্টেশনেই দুর্ঘটনা এড়াতে এসক্যালেটর বন্ধ ছিল। টোকেনের ভাঁড়ার উপচে পড়ায় খুলে দেওয়া হয়েছিল পাঞ্চগেট। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গেই ভোগান্তির ছবিটা ভয়াবহ হয়েছে পাতাল পথে। ভিড়ের চাপে কেউ গন্তব্য পেরিয়ে নামতে পেরেছেন অন্য স্টেশনে। ধাক্কায় অল্পবিস্তর চোট পেয়েছেন কেউ, কারও ছিঁড়ে গিয়েছে জুতো-জামা। বিপুল জনতাকে সামলাতে এসপ্ল্যানেড-সহ কোনও কোনও স্টেশনে মৃদু বলপ্রয়োগ করতে হয়েছে আরপিএফকে। |
ব্রিগেডমুখী মিছিলে রুদ্ধ শহর। ছবি: সুমন আচার্য। |
মাটির উপরের ছবিটাও দুর্ভোগেরই। রাস্তায় ব্রিগেডমুখী বাস ছাড়া অন্য যানবাহনও ছিল হাতেগোনা। শিয়ালদহ, হাওড়া স্টেশন, উত্তর-দক্ষিণ এবং পূর্ব-পশ্চিম থেকে বেলা বারোটার পর থেকেই কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলা থেকে এক্সাইড মোড়। ব্রিগেডমুখী অসংখ্য মিছিলে যান চলাচল থমকে যায় এজেসি বসু রোড, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রোড, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, জওহরলাল নেহরু রোড, থিয়েটার রোড, এসএন ব্যানার্জি রোড, আশুতোষ মুখার্জি রোড, মেয়ো রোড-সহ দক্ষিণ ও মধ্য কলকাতার বিভিন্ন রাস্তা। বাসমালিকদের দাবি, এমনিতেই রবিবার এখন লাভ হয় না বলে বাস রাস্তায় অন্য দিনের তুলনায় অনেকটাই কম। তার উপরে রাস্তায় ব্রিগেড সমাবেশের জন্য যানজটের আশঙ্কায় দুপুরের পর থেকে কলকাতার রাস্তায় বাস-ট্যাক্সি কার্যত উধাও। তবে এ দিন কলকাতার রাস্তায় এমনিতে এ দিন নিত্যযাত্রীর ভিড় ছিল কম। তাই খানিকটা বাঁচোয়া। কিন্তু যাঁরা বাড়ি থেকে দুপুরে বেরিয়েছেন, তাঁদের প্রবল দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট, স্ট্র্যান্ড রোড, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ে, গোষ্ঠ পাল সরণির দু’ধারে মিছিলের গাড়ি পার্কিং ও মিছিলের জেরে যানজট হয়। ফলে এই সব রাস্তায় বহু গাড়ি আটকে পড়ে।
|
নিদোর মৃত্যু নিয়ে সরব মিজোরাম
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
|
নিদো টানিয়া |
নিদো টানিয়ার মৃত্যু এবং দিল্লিতে উত্তর-পূর্বের রাজ্যবাসীদের সঙ্গে বিদ্বেষমূলক আচরণের অভিযোগে এ বার সরব হল মিজোরাম।
নিদো-কাণ্ডের বিচারবিভাগীয় তদন্তের পাশাপাশি, দ্রুত জাতি-বিদ্বেষ বিরোধী আইন চালুর দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠালেন সে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বিশ্বজিৎ দেব। চিঠিতে বিশ্বজিৎবাবু লিখেছেন, ‘উত্তর-পূর্বের সঙ্গে দিল্লি তথা দেশের মূল ভূখণ্ডের অবিশ্বাসের সম্পর্ক দানা বাঁধছে। এখানকার মানুষ দেশের অন্য কোনও প্রান্তে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ ধরনের নেতিবাচক মনোভাব জাতীয় ঐক্যের পক্ষে ক্ষতিকারক।’
নিদোর ঘটনার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে কয়েক দফা দাবিও পেশ করেছেন বিশ্বজিৎবাবু। তাঁর বক্তব্য, হাইকোর্টের কোনও বিচারপতির নেতৃত্বে বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করুক সরকার। তা ছাড়াও দেশের সব রাজ্যে উত্তর-পূর্বের মানুষের জন্য বিশেষ হেল্পলাইন চালু, প্রতিটি রাজ্যে উত্তর-পূর্বের মানুষদের সমস্যা দেখার জন্য এক জন করে ক্রাইম ব্রাঞ্চের ইনস্পেক্টর নিয়োগ, সংসদে সর্বদলীয় আলোচনার মাধ্যমে সর্বসম্মত ভাবে জাতিবিদ্বেষ বিরোধী আইন প্রণয়ন-সহ অন্য কয়েকটি দাবিও করেছেন তিনি।
|
তৃণমূলের গোষ্ঠী-সংঘর্ষের অভিযোগে উত্তেজনা নওদায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী-সংঘর্ষের অভিযোগে উত্তেজনা ছড়াল কালিয়াচক থানার নওদা এলাকা। ঘটনার সূত্রপাত রবিবার সকাল ৮টা নাগাদ নওদার যদুপুরে। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে একে অপরকে লক্ষ্য করে যথেচ্ছ বোমাবাজি করে। কালিয়াচক থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সংঘর্ষে দু’পক্ষের তরফে কয়েক রাউন্ড গুলিও চলে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ঘটনার জেরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল আড়াই ঘন্টা বন্ধ ছিল। এলাকায় র্যাফ নামিয়ে ও লাঠিচার্জ করে বেলা ১১টা নাগাদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। তৃণমূলের অভিযোগ, লাঠিচার্জে তৃণমূলের পাঁচ কর্মী জখম হয়েছেন। তাঁদের মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, দু’টি গোষ্ঠী বোমা-গুলি চালিয়েছে। পুলিশ কোনও গুলি চালায়নি।
কালিয়াচক ১ নম্বর ব্লকের বিরোধীহীন নওদা যদুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে কে প্রধান হবেন তা নিয়ে বিবাদের জেরে এ দিন সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ। তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি বকুল শেখের সঙ্গে দলেরই পঞ্চায়েত সদস্য জাকির শেখের গোলমাল শুরু হয়। বকুল শেখ নিজের ভাইয়ের স্ত্রীকে ফারহানা বিবিকে প্রধান করার পরই জাকির শেখের সঙ্গে বিরোধ চরমে ওঠে। এ দিন তা চরমে পৌঁছয়।
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র-র অবশ্য একে গোষ্ঠী সংঘর্ষের তকমা দিতে নারাজ। তাঁর দাবি, “জাকির শেখ সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ছিল। তাঁকে আটকাতে দলের নেতা-কর্মীরা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে উল্টে তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এমনকী, পার্টি অফিসে ঢুকে পুলিশ দলের কর্মীদের মারধর করেছে।” মন্ত্রী জানান, “জাকির শেখ আমাদের দলের নিবার্চিত পঞ্চায়েত সদস্য হলেও ৭ মাস আগে ও কংগ্রেস যোগ দিয়েছে। কংগ্রেসের হয়ে কাজ করছে।” অভিযোগ প্রসঙ্গে দক্ষিণ মালদহের কংগ্রেস সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আবু হাসেম খান চৌধুরী বলেন, “বকুল শেখের ভয়ে নওদা যদুপুরে কংগ্রেস প্রার্থী দিতে পারেনি। ওখানে সবাই তৃণমূল। নিজেদের গোষ্ঠী সংঘর্ষ ধামাচাপা দিয়ে কংগ্রেসের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। জাকির তৃণমূলের সদস্য।” |
অসমে নিহত দুই জঙ্গি
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হল দু’জন জিএনএলএ জঙ্গি। ঘটনাটি ঘটেছে অসমের গোয়ালপাড়া জেলায়। পুলিশ জানায়, গত রাতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি দল অসম-মেঘালয় সীমানার লক্ষ্মীপুর বরঝার এলাকায় টহল দিচ্ছিল। মোটরবাইক আরোহী দু’জন যুবককে দেখে সন্দেহ হওয়ায় জওয়ানরা সে’টির পিছু ধাওয়া করেন। সে সময় নিরাপত্তা বাহিনীর দিকে মোটরবাইক আরোহীরা গুলি চালাতে থাকে। পাল্টা গুলিতে দু’জনের মৃত্যু হয়। তাদের কাছ থেকে দু’টি বিদেশি পিস্তল, ১২ রাউন্ড গুলি ও একটি স্যাটেলাইট ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
|
কার্বি আংলং-এ হাতি শিকার
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
গুলি করে একটি হাতি মারল চোরাশিকারিরা। ঘটনাটি ঘটেছে কার্বি আংলং জেলায়। বন দফতর সূত্রের খবর, বৈঠালাংশুর হামরেন রেঞ্জের টেক্সোপাড়া এলাকায় দু’দিন ধরে জঙ্গল থেকে দুর্গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। গ্রামবাসীদের কাছে খবর পেয়ে বনরক্ষীরা তল্লাশি চালিয়ে একটি হাতির দেহ উদ্ধার করে। সে’টির দাঁত কেটে নেওয়া হয়েছিল। দেহের থেকে কিছুটা দূরে শুঁড়টি পাওয়া যায়।
|
ফিরলেন যোরহাটের অপহৃত ম্যানেজার
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
অপহরণকারীদের ডেরা থেকে পালিয়ে এলেন অপহৃত চা বাগান ম্যানেজার। শুক্রবার যোরহাট জেলার তিতাবরে লখিমিজান চা বাগান থেকে অপহৃত হন মুন মহন্ত। আজ সকালে তিনি টাইরুন চা বাগানে হাজির হন। মুন জানান, চার জন অপহরণকারী তাঁকে নাগাল্যান্ডের গোপন ঘাঁটিতে নিয়ে গিয়েছিল। তাদের চোখে ধুলো দিয়ে গত রাতে তিনি পালিয়ে আসেন।
|
অকল্যান্ড টেস্টে হার ভারতের
নিজস্ব সংবাদদাতা |
অত্যন্ত নাটকীয় ভাবে শেষ হল রবিবারের অকল্যান্ড টেস্ট। দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করেও শেষ রক্ষা করতে পারল ভারত। কাজে এল না শিখর ধবনের দুরন্ত শতরানও। এ দিন কিউয়িদের কাছে ৪০ রানে হেরে টেস্ট সিরিজ শুরু করল তারা।
চতুর্থ দিনে ৩৯০ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মাঠে নামে ভারত। হাতে তখনও ৯ উইকেট ছিল। দিনের শুরুতে ক্রিজে ছিলেন পূজারা ও শিখর ধবন। সাউদির বলে আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন ধবন ও কোহলি। তত ক্ষণে জেতার লক্ষ্য মাত্রা অনেকটাই কমিয়ে আনেন তাঁরা দু’জনে। |
|
ব্যাটিং দাপট শিখর ধবনের। ছবি: রয়টার্স। |
কিন্তু ওয়াগনারের বলে ওয়াটলিং-এর হাতে ক্যাচ তোলেন কোহলি। ব্যক্তিগত ৬৭ রানের মাথায় ক্রিজ ছাড়েন তিনি। কোহলি আউট হওয়ার পরেও দলকে ভাল ভাবে টানছিলেন ধবন। ১১৫ রানের মাথায় ফের ওয়াগনার ধবনের গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটি তুলে নেন। সেই সঙ্গেই ভারতীয় শিবিরে ধস নেমে আসে। এ দিন রান পেলেন না রোহিত, রাহানে ও জাডেজা। মিডল ও লোয়ার মিডল অর্ডারের এই ব্যর্থতা ফের ভোগাল ভারতকে। |
ভারত
দ্বিতীয় ইনিংস ৩৬৬ |
বিজয় ক ওয়াটলিং বো বোল্ট ১৩
ধবন ক ওয়াটলিং বো ওয়াগনার ১১৫
পূজারা ক ওয়াটলিং বো সাউদি ২৩
কোহলি ক ওয়াটলিং বো ওয়াগনার ৬৭ রোহিত ক ওয়াটলিং বো সাউদি ১৯
রাহানে এলবি ডব্লিউ বো বোল্ট ১৮
ধোনি
ন.আ. ৩৯
জাডেজা ক সোধি বো বোল্ট ২৬
জাহির ক টেলর বো ওয়াগনার ১৭
ইশান্ত ক ওয়াটলিং বো ওয়াগনার ৪
শামি ন.আ. ০ অতিরিক্ত ২৫ মোট ৩৬৬। পতন: ৩৬, ৯৬, ২২২, ২৪৮, ২৬৮, ২৭০, ৩২৪, ৩৪৯, ৩৬২, ৩৬৬। |
|
|
|