|
|
|
|
ক্ষুদ্রশিল্পে উৎসাহ বাড়াতে শুরু মেলা
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
শুরু হল জঙ্গলমহল মাইক্রো অ্যান্ড স্মল স্কেল ইণ্ডাস্ট্রিয়াল ফেয়ার ২০১৪। মেদিনীপুর শহরের কলেজ- কলেজিয়েট স্কুল মাঠে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
এ দিন সন্ধ্যায় মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) পাপিয়া ঘোষ রায়চৌধুরী, বিধায়ক মৃগেন মাইতি, জেলা শিল্প কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার প্রহ্লাদ হাজরা প্রমুখ। ইণ্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট এন্টারপ্রেনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন খাসজঙ্গল-এর উদ্যোগেই মেলা। মেলা কমিটির সম্পাদক সঞ্জীব রায় জানান, প্রতিদিন আলোচনা সভা রয়েছে। ক্ষুদ্রশিল্পে উৎসাহ বাড়াতেই মেলার আয়োজন।
বছর দশেক আগে মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন খাসজঙ্গল এলাকায় গড়ে ওঠে ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ সেন্টার। এখানে বেশ কিছু সরকারি খাস জমি পড়েছিল। তার মধ্যে কিছু জমি শিল্প স্থাপনের উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়। রাস্তা, সীমানা প্রাচীর তৈরি হয়। পরে সেই জমি বিভিন্ন সংস্থাকে লিজে দেওয়া হয়। এখন এখানে বেশ কিছু ছোট ও মাঝারি কারখানা রয়েছে। যেমন মশারি তৈরির কারখানা, আটা তৈরির কারখানা, ফাইবারের দরজা সহ অনান্য সরঞ্জাম তৈরির কারখানা প্রভৃতি। এ ছাড়া আইসক্রিম, চকোলেট, পাইপ, পেরেক, সাইকেলের বিয়ারিং প্রভৃতি তৈরির কারখানাও রয়েছে। |
|
মেদিনীপুরে মেলার উদ্বোধন।—নিজস্ব চিত্র। |
খাসজঙ্গলে যাঁদের কারখানা রয়েছে, শুরুতে তাঁরাই নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ওই সংগঠন গড়ে তোলে। পরে মেলা করার পরিকল্পনা করে। যোগাযোগ করে প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে। প্রশাসন সব রকম সহযোগিতা করার আশ্বাস দেয়। তারপর গত বছর থেকে শুরু হয় এই মেলা। এ বার দ্বিতীয় বর্ষ। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “ক্ষুদ্র শিল্পে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। এখন অনেকেই ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প করতে উৎসাহ দেখাচ্ছেন। আমরাও নানা ভাবে এঁদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করি। এমন মেলার ফলে অনেকে যেমন ক্ষুদ্র শিল্পে উৎসাহ পাবেন, তেমন বিপণনেরও সুযোগ তৈরি হবে।” বিধায়ক মৃগেন মাইতি বলেন, “ছোট কারখানা তৈরি করেও নিজের পায়ে দাঁড়ানো যায়। স্বনির্ভর হওয়া যায়। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প করতে যাঁরা এগিয়ে আসবেন, রাজ্য সরকার তাঁদের সব রকম ভাবে সহযোগিতা করবে। ইতিমধ্যে উৎপাদিত পণ্য বিক্রির জন্য জেলা ও মহকুমাস্তরে বিপণন কেন্দ্র খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলার বহু মানুষ ক্ষুদ্র শিল্পকে আঁকড়ে ধরে সংসার চালান। এমন মেলার ফলে অনেকেই ক্ষুদ্র শিল্প নিয়ে উৎসাহিত হবেন।”
|
|
|
|
|
|