টুকরো খবর |
সিপিএম পঞ্চায়েত সদস্য এলেন তৃণমূলে
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্য পদত্যাগ করলেন চণ্ডীপুরে। শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর ব্লকের নন্দপুর বরাঘুনি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্য রিঙ্কুবর্মন কাণ্ডার ব্লকের বিডিওর কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেন। তৃণমূল পরিচালিত ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের ১১ জন ও বিরোধী সিপিএমের তিন জন সদস্য ছিল। রিঙ্কুদেবী তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় সিপিএমের সদস্য সংখ্যা কমে দাঁড়াল চার। সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় পঞ্চায়েতের সদস্য পদ থেকে সরে দাঁড়াতে চেয়ে বলে এ দিন বিডিওর কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। রিঙ্কুদেবী বলেন, “এলাকায় জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়েও পঞ্চায়েতের উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারছিলাম না। এনিয়ে দলীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু দল কোনও সুরাহা করতে পারেনি। তাই পঞ্চায়েতের সদস্য পদ থেকে সরে দাঁড়াতে পদত্যাগ করেছি। বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কাজে সামিল হতে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” চণ্ডীপুরের বিডিও সপ্তর্ষি ঘোষ বলেন, “বরাঘুনি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য রিঙ্কুদেবী পঞ্চায়েতের সদস্য থেকে পদত্যাগ করতে চেয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন। এবিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক পদক্ষেপ করা হবে।” রিঙ্কুদেবীর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়ে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তথা তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি অংশুমান মান্না বলেন, “রিঙ্কুদেবী সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করে আমাদের দলে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। আমরা ওঁকে দলে গ্রহণ করেছি।” রিঙ্কুদেবীর পদত্যাগ করার বিষয়ে সিপিএমের চণ্ডীপুর জোনাল কমিটির সম্পাদক মঙ্গলেন্দু প্রধান বলেন, “আমাদের দলের ওই গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য পদত্যাগ করতে চেয়ে বিডিও’র কাছে পদত্যাগ পত্র দিয়েছেন বলে শুনেছি। তবে এবিষয়ে উনি আমাদের কিছু জানান নি। কেন তিনি পদত্যাগ করলেন খোঁজ নেব।”
|
কেশিয়াড়ির গ্রামে পুড়ে ছাই দু’টি বাড়ি
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
রাতের অন্ধকারে ভস্মীভূত হয়ে গেল দু’টি বাড়ি। বৃহস্পতিবার রাতে কেশিয়াড়ির ঘৃতগ্রাম পঞ্চায়েতের দরবারমেলা গ্রামে পরপর দু’টি দোতলা মাটির বাড়িতে আগুন লাগেয়। তবে হতাহতের খবর নেই। রাতেই খড়্গপুর থেকে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাড়ি মহাদেব সিংহ ও ব্রজেন সিংহদের। কর্মসূত্রে মহাদেববাবুর ভাই সহদেব বাইরে থাকেন। মহাদেববাবুও কাজে বাইরে গিয়েছিলেন। দু’ভাইয়ের স্ত্রীও বাপের বাড়িতে গিয়েছেন। বাড়িতে একা ছিলেন তাঁদের বৃদ্ধা মা। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তিনিও কাছেই মেয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সন্ধেয় হঠাৎ আগুন লাগে। তা ছড়ায় ব্রজেনবাবুর বাড়িতেও। স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পুলিশ ও দমকলে খবর দেওয়া হয়। তবে দমকল আসার আগেই আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় দু’টি বাড়ি। মহাদেববাবুর ৮টি ছাগল মারা গিয়েছে। দু’জনের গোলার ধানেরও ক্ষতি হয়েছে। খড়্গপুর দমকল বিভাগের ওসি রবীন্দ্রনাথ সর্দার বলেন, “এত দূরের পথে আমাদের দু’টি ইঞ্জিন যাওয়ার আগেই খড়ের ছাউনি দেওয়া দু’টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গিয়েছিল। ঘণ্টা খানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।” শুক্রবার মহাদেব সিংহ ও সুশান্ত সিংহ বলেন, “বুঝতে পারছি না কী ভাবে আগুন লাগল। আমরা সব হারালাম।” পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি অশোক রাউত বলেন, “ওই দু’টি পরিবারকে আপাতত ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। বাড়ি তৈরির জন্য আর্থিক সাহায্যের কথা ভাবা হচ্ছে।”
|
জেল হাজতে অশোক গুড়িয়া
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা সমর মাইতি খুনের ঘটনায় ধৃত সিপিএম নেতা অশোক গুড়িয়া-সহ চার জনের জেল হেফাজত হল। তিন দিনের পুলিশ হেফাজত শেষে অশোকবাবু-সহ চার জনকে শুক্রবার হলদিয়া আদালতে হাজির করানো হয়। পুলিশ এ দিন ওই চার জনকে হেফাজতে চায়নি। বিচারক তাঁদের ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত নন্দীগ্রামের বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা শেখ নাজিমুদ্দিন পলাতক। সমর-খুনে ধৃত আরও দু’জন আতাউর রহমান খান এবং রেজাবুল ওরফে তেজাহার আলি খানকে জেরা করে আততায়ীদের মোটরবাইকটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, আতাউর, রেজাবুল জানান, ওই মোটরবাইকে চেপেই নাজিমুদ্দিন ও সঙ্গীরা মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে এসেছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের বয়াল-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান সমর মাইতিকে স্থানীয় তেরপেখ্যা বাজারের কাছে গুলি করে খুন করে আততায়ীরা। নিহতের পরিবার এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, দলীয় কোন্দলের জেরেই নাজিমুদ্দিন ও তার সঙ্গীরা সমরবাবু খুন করেছে। সমরবাবুর বাবা স্থানীয় তৃণমূল নেতা বাদল মাইতি নাজিমুদ্দিন ছাড়াও অশোক গুড়িয়া-সহ মোট ২০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
|
একশো দিনের বরাদ্দ মিলছে না
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
দেশপ্রাণ পঞ্চায়েত সমিতি ও বিভিন্ন গ্রাম ঞ্চায়েত গুলির উন্নয়নমুলক প্রকল্পগুলি নিয়ে এক উন্নয়নী বৈঠক হল শুক্রবার। ছিলেন জেলাশাসক অন্তরা আচার্য, অতিরিক্ত জেলাশাসক অজয় পাল, জেলা শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মামুদ হোসেন, বিডিও সত্যজিৎ মুখোপাধ্যায়, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তরুণ জানা। কয়েকজন পঞ্চায়েত প্রধান অভিযোগ করেন, একশো দিনের কাজে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে উন্নয়নমূলক কাজ হলেও বরাদ্দ টাকা এসে পৌঁছয়নি। এর ফলে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। জেলাশাসক জানান, বরাদ্দ অর্থ যথাসময়েই পাওয়া যাবে। তরুণবাবু বলেন, “সারা রাজ্যে যেখানে একশো দিনের কাজে চলতি আর্থিক বছরে গড়ে ২৪ দিন কর্মদিবসের সৃষ্টি হয়েছে, তখন দেশপ্রাণ পঞ্চায়েত সমিতি ও সমিতির ৮টি গ্রাম পঞ্চায়েত গড়ে ১৭-৩০ দিন শ্রমদিবসের কাজ হয়েছে।
|
সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
চণ্ডীপুরের মুরাদপুরের বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব শুরু হল শুক্রবার। এ দিন সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পাঁচদিন ব্যাপী উৎসবের উদ্বোধন করেন বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামী স্বতন্ত্রানন্দ। উপস্থিত ছিলেন নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের সহ-সম্পাদক স্বামী দেবেশ্বরানন্দ, চন্ডীপুর রামকৃষ্ণ মঠের অধ্যক্ষ স্বামী গণদেবানন্দ, বিধায়ক অমিয়কান্তি ভট্টাচার্য। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলীপকুমার মিত্র জানান, “পাঁচদিন ব্যাপী উৎসব উপলক্ষে সঙ্গীত সহ নানা অনুষ্ঠান আয়োজন রয়েছে।”
|
শিল্পধ্বনি উৎসব |
|
তথ্য: কিংশুক গুপ্ত ও ছবি: দেবরাজ ঘোষ। |
ঝাড়গ্রামে শুক্রবার শুরু হল ২৪তম শিল্পধ্বনি উৎসব। অরণ্যশহরের অফিসার্স ক্লাব ময়দানে আয়োজিত তিন দিন ব্যাপী ওই উৎসবের উদ্যোক্তা, ‘ঝাড়গ্রাম শিল্পীতীর্থ শিক্ষানিকেতন’। সহযোগিতায় রয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্র। এ দিন সন্ধ্যায় জঙ্গলমহলের শিল্প-সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত বিশিষ্টজনেরা প্রদীপ জ্বালিয়ে উৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন। ছিলেন পুরপ্রধান দুর্গেশ মল্লদেব। অনুষ্টানে পঞ্জাবের ভাঙ্গড়া নাচ ও গুজরাতের গঢ়বা নৃত্য পরিবেশন করেন সিআরপি’র ১৮৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানেরা। উৎসব প্রাঙ্গণে রয়েছে হস্তশিল্প ও কারুশিল্পের একাধিক স্টল। রয়েছে সংস্থার শিল্পীদের আঁকা ছবি ও হাতে তৈরি ভাস্কর্যের প্রদর্শনী। |
|