|
|
|
|
মীমাংসা ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে |
চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে নির্দেশ বিমা সংস্থাকে
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
চিকিৎসার জন্য খরচ হয়েছিল ১ লক্ষ ৯৩ হাজার ৪৯৪ টাকা। বিমা সংস্থা খরচের এক তৃতীয়াংশও দিতে রাজি হয়নি। মাত্র ৬০,৮০০ টাকা দিতে রাজি হয় তারা। তা না নিয়ে বিমা সংস্থার বিরুদ্ধে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে গিয়েছিলেন খড়্গপুর শহরের মালঞ্চর বাসিন্দা মীরা অগ্রবাল। আদালত বিমা সংস্থাকে ১ লক্ষ ১৩ হাজার ৮০০ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিল।
মীরাদেবীর গল ব্লাডারে পাথর হয়েছিল। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে সল্টলেকের এক বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করেন তিনি। খরচ হয় ১ লক্ষ ৯৩ হাজার ৪৯৪ টাকা। চিকিৎসা বিমা থাকায় পুরো টাকাটাই দাবি করেন মীরাদেবী। কিন্তু বিমা সংস্থা বলে, মীরাদেবী গল ব্লাডারে পাথরের চিকিৎসা করাতে গিয়ে অন্য চিকিৎসাও করিয়েছেন। তাই শুধু ফার্মেসি ও ওষুধের বিল বাবদ ৬০৮০০ টাকা তারা দেবে। চিকিৎসকেরা মীরাদেবীকে হাসপাতাল থেকে ছাড়ার সময় লিখেছিলেন, তাঁর ‘স্লিভ গ্যাসট্রেকটোমি’ করা হয়েছে। বিমা সংস্থার দাবি, ‘স্লিভ গ্যাসট্রেকটমি’র সঙ্গে ‘কোলেসিস্টেকটমি’র কিছুটা সম্পর্ক থাকলেও গল ব্লাডারে পাথরের কোনও সম্পর্কই নেই।
ক্রেতা সুরক্ষা আদালত অবশ্য দ্য এনসাইক্লোপিডিয়া অন ফ্যাসট্রেকটমি-র ব্যাখ্যা উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, স্লিভ গ্যাসট্রেকটমি হল একটা পদ্ধতি, যাতে অস্ত্রোপচার করলে ঝুঁকি থাকে কম। তাই এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের খরচ বিমা সংস্থাকে অবশ্যই দিতে হবে। গত ২৯ জানুয়ারি মেদিনীপুর ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের সভাপতি সুজিত দাস ও সদস্য কপোতময় চট্টোপাধ্যায় এই নির্দেশ দেন। বিমা সংস্থার পক্ষের আইনজীবী মৃণালকান্তি চৌধুরী বলেন, “এখনও আদালতের নির্দেশ হাতে আসেনি। নির্দেশ পেলে বিমা সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করেই পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে।”
মীরাদেবীর রোগ ধরা পড়েছিল ২০০৯ সালে। ওই বছর ৭ মে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। অস্ত্রোপচার হয় পরদিন। ১৩ মে তিনি হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরেন। তারপরই চিকিৎসার খরচ দাবি করেন। কিন্তু তা না পাওয়ায় ২০১১ সালে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে আবেদন জানান মীরাদেবী। তখন আদালত দু’মাসের মধ্যে খরচ মেটানোর নির্দেশ দিয়েছিল। তারপরেও অবশ্য টাকা দেয়নি বিমা সংস্থা। মীরাদেবী ফের আদালতে আবেদন জানান। ক্রেতা সুরক্ষা আদালত ২০১১ সালের ১৮ নভেম্বর থেকে ১ লক্ষ ১৩ হাজার ৮০০ টাকার উপর ১০ শতাংশ হারে সুদ সহ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। |
|
|
|
|
|