টাটকা খবর |
|
রাজ্যসভায় জয় তৃণমূলের
চার প্রার্থীরই, জিতল বামও
নিজস্ব সংবাদদাতা |
|
রাজ্যসভা ভোটে বিধায়কদের শিবির পাল্টানোর আশঙ্কাই সত্যি হল। বিরোধী শিবিরের ভোট ভাঙিয়ে নিজেদের চার প্রার্থীর জয়ই নিশ্চিত করল তৃণমূল। বিধায়কদের সংখ্যার ভিত্তিতে নিজেদের তিন প্রার্থীর জয় আগেই নিশ্চিত করেছিল তৃণমূল। রাজ্যসভার পঞ্চম আসনে নির্দল প্রার্থী আহমেদ সৈয়দ মালিহাবাদিকে হারানোর জন্য তৃণমূল তাঁদের বিধায়কদের টাকার টোপ ও ভয় দেখাচ্ছিল বলে অভিযোগ ছিল বিরোধীদের। শুক্রবার সকালে আরএসপির দুই বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী ও দশরথ তিরকে এবং ফব-র সুনীল মণ্ডল তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন। |
|
ভোট দিয়ে বেরোচ্ছেন শিখা মিত্র (বাঁ দিকে)। নির্দল প্রার্থীকেই ভোট দিয়েছেন বলে জানালেন তিনি। |
এই তিন জনকে শিবির বদল করানো হচ্ছে বলে বৃহস্পতিবারই অভিযোগ করেছিলেন বিরোধীরা। এর সঙ্গে এ দিন যোগ হয়েছে সুতির কংগ্রেস বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস এবং গাজলের বিধায়ক সুশীল রায়ের ভোট। এঁরাও তৃণমূলকে ভোট দেওয়ায় শাসক দলের চতুর্থ প্রার্থীও জিততে পেরেছেন। সন্ধ্যায় তিন জয়ী সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তী, যোগেন চৌধুরী ও আহমেদ হাসান (ইমরান)কে পাশে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, এঁরা বাংলার উন্নয়নে রাজ্যসভায় কাজ করবেন। জয়ী হলেও ওই সময়ে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর পাশে উপস্থিত ছিলেন না কেডি সিংহ। বামেরা তাঁদের প্রার্থী ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় নিশ্চিত করে তাদের উদ্বৃত্ত দ্বিতীয় পছন্দের ভোট দিয়েছেন নির্দল প্রার্থী মালিহাবাদিকে। কংগ্রেসের ৩৭ বিধায়কের ভোটও তিনি পেয়েছেন। কিন্তু প্রথম ও দ্বিতীয় পছন্দের ভোট মিলিয়ে খুব সামান্য ব্যবধানে তিনি পিছিয়ে থেকেছেন তৃণমূলের চতুর্থ প্রার্থীর চেয়ে। অঙ্কের হিসেবে দেখা যাচ্ছে বাম ও কংগ্রেস শিবিরের বিক্ষুব্ধ পাঁচ বিধায়কের মধ্যে কোনও এক জন তৃণমূলকে না দিয়ে মালিহাবাদিকে ভোট দিলে তিনি জিতে যেতে পারতেন। এই কারণেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিধায়ক কেনাবেচা করে ভোটে জেতার অভিযোগ এনেছে বাম ও কংগ্রেস। তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েদাবি করছেন তাঁদের দল স্বচ্ছ্বতায় বিশ্বাস করে। ওই বিধায়কেরা আদর্শগত কারণে তৃণমূলকে সমর্থন করেছেন।
বামফ্রন্টের ৬১ জনের মধ্যে প্রত্যাশিত ভাবেই এ দিন উপস্থিত ছিলেন ৫৭ জন বিধায়ক। আএসপি-র দুই, ফব-র এক বিধায়ক বাদে (তাঁরা তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন) অনুপস্থিত ছিলেন সিপিএমের বিধায়ক নারায়ণ মুখোপাধ্যায়। তিনি এখন হাসপাতালে ভর্তি। প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ থাকলেও ঋতব্রতকেই ভোট দিয়েছেন আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা। এ দিন সকালে মোর্চা বিধায়ক হরকা বাহাদুর ছেত্রী-র ভোট দেওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। চোখে সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। পরে হাসপাতাল থেকে সোজা বিধানসভায় এসে ভোট দিয়ে যান তিনিও। পাশাপাশি হুইল চেয়ারে চেপে এসে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে কংগ্রেসকেই ভোট দিয়েছেন মালদহের আবু নাসের (লেবু) খান চৌধুরী। আবার তৃণমূলের সাসপেন্ডেড বিধায়ক শিখা মিত্র প্রত্যাশিত ভাবেই ভোট দিয়েছেন মালিহাবাদিকে। শেষ পর্যন্ত বাতিল হয়েছে দু’টি ভোট। |
|
ভোট দিতে যাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা। |
হার প্রায় নিশ্চিত বুঝে এ দিন ফল ঘোষণার আগেই মালিহাবাদি বলেন, “বাংলায় নতুন পরিবর্তন এসেছে। আয়ারাম-গয়ারাম রাজনীতি চালু হয়েছে। এ বার ভোটে দাঁড়িয়ে দেখলাম পরিবেশ একেবারে দূষিত হয়ে গেছে। বাংলায় এটা ছিল না।”
তৃণমূলকে ভোট দেওয়ায় দলের বিদ্রোহী বিধায়কদের ছ’বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছে কংগ্রেস। সাসপেন্ড করা হয়েছে ফব-র বিধায়ক সুনীল মণ্ডলকেও। দলের দুই বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী ও দশরথ তিরকের ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি আরএসপি নেতৃত্ব।
|
ছবি: সন্দীপন চক্রবর্তী।
|
‘গুন্ডে’ ছবির বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা খারিজ
নিজস্ব সংবাদদাতা |
গুন্ডে ছবির বিরুদ্ধে জনস্বার্থের মামলা খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। দু’জন আইনজীবী এই মামলা করে বলেছিলেন দক্ষিণেশ্বর মন্দির চত্বরে ও হাইকোর্টের সামনে অত্যন্ত অশালীন নাচ-গানের শ্যুটিং করা হয়েছে। তাই এই ছবি প্রদর্শন বন্ধ করে দেওয়া হোক। শুক্রবার প্রধান বিচারপতি অরুন মিশ্র ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয় শালীন-অশালীন বিচার করার দায়িত্ব আদালতের নয়। এর জন্য সেন্সর বোর্ড রয়েছে। আবেদনকারীরা মনে করলে সেন্সর বোর্ডের কাছে অভিযোগ জানাতে পারেন। যশ চোপরার এই ছবিটি আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাবে। প্রিয়ঙ্কা চোপড়া, রণবীর সিংহ ও অর্জুন কপূর এঁরা এই নাচ-গানের দৃশ্যে প্রধান অভিনেতা-অভিনেত্রী ছিলেন। দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির ও দেবত্র এস্টেট এর সম্পাদক কুশল চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “গত ১০০ বছর ধরে বিভিন্ন ছবি, তথ্যচিত্র ও গবেষণামূলক চিত্রের জন্য মন্দির প্রাঙ্গণ ব্যবহার করতে দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে প্রযোজক জানিয়েছিলেন, বাঙালি পোশাক পরে একটি বিবাহের দৃশ্যের শ্যুটিং হবে। আমরা সেই অনুযায়ী অনুমতি দিয়েছিলাম। পরে যদি কোথাও অশালীন কিছু ঘটে থাকে তাঁর দায় আমাদের নয়।”
|
আগুনে ভস্মীভূত ময়দানের টেনিস ক্লাবের টেন্ট
নিজস্ব সংবাদদাতা |
আগুনে ভস্মীভূত হল ময়দানের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টস টেনিস ক্লাবের টেন্ট। শুক্রবার সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে।
খবর পেয়ে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। প্রায় পঁয়তাল্লিশ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন দমকল কর্মীরা। প্রাথমিক তদন্তের পরে দমকল কর্তাদের অনুমান, বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুন লাগে।
দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, টেন্টটি টিন দিয়ে তৈরি। কোনও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ছিল না বলে দমকল কর্মীরা দাবি করেছেন। ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টস ক্লাবের অন্যতম কর্তা চঞ্চল দেব বলেন, “গত বছরই ক্লাবের টেন্টটি সংস্কার করা হয়েছিল। আগুনে টেন্টের রাখা খেলার সরঞ্জাম, অনেক ছবি এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পুড়ে গিয়েছে।” আগুন লাগার কারণ খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছেন দমকলের কর্তারা।
|
ম্যাকালামের দ্বিশতরান, অকল্যান্ড টেস্টে ব্যাকফুটে ভারত
সংবাদ সংস্থা |
চিত্রনাট্যটা যেন কিছুতেই বদলাচ্ছে না। ওয়ান ডে সিরিজে বিধ্বস্ত হওয়ার পর অকল্যান্ড টেস্টেও সেই পথেই এগোচ্ছে ভারত। সৌজন্যে ব্রেন্ডন ম্যাকালাম, কেন উইলিয়ামসনের চওড়া ব্যাট এবং সিরিজে প্রায় নিয়মিত হয়ে যাওয়া ভারতীয় টপ অর্ডারের ব্যার্থতা। গত কাল যেন কিছুটা ‘ভুল’ করেই প্রথম ঘন্টায় তিন উইকেট তুলে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন ভারতীয় পেসাররা। সিরিজে প্রথম বার কোণঠাসা নিউজিল্যান্ড। তবে এর পরই ম্যাকালাম-উইলিয়ামসনের পাল্টা মারের শুরু। এবং শুরু ম্যাচ থেকে ভারতের হারিয়ে যাওয়া। শতরান করে উইলিয়ামসন কাল থামলেও শুক্রবার ডবল সেঞ্চুরি করে থামলেন ব্রেন্ডন ম্যাকালাম। |
|
ডবল সেঞ্চুরির পর ম্যাকালাম। ছবি: এএফপি। |
দলের শেষ ব্যাটসম্যান হিসাবে আউট হওয়ার আগে ২২৪ রান করেন তিনি। কেরিয়ারের দ্বিতীয় ডবল সেঞ্চুরি করার পথে ২৯টি বাউন্ডারি ও ৫টি ওভার বাউন্ডারি মারেন তিনি। ৫০৩ রানে শেষ হয় নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। অন্ধকারে সামান্য রুপোলি রেখা— ইশান্ত শর্মার ছ’উইকেট। এর পর ব্যাট করতে নেমে স্কোরবোর্ডে ১০ রান উঠতে না উঠতেই তিন উইকেট পড়ে যায় ভারতের। যথারীতি ব্যর্থ ধবন। ব্যর্থ হন পূজারা-কোহলিও। দলের ৫১ রানের মাথায় আউট হন অপর ওপেনার বিজয়ও। এর পর কিছুটা হাল ধরেন রোহিত শর্মা ও আজিঙ্ক রাহানে। পঞ্চম উইকেটে আপাতত ৭৯ রানের পার্টনারশিপ করেছেন তাঁরা। এ দিন খারাপ আলোর জন্য ১৭ ওভার আগেই শেষ হয় খেলা। দ্বিতীয় দিনের খেলার শেষে ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ১৩০/৪, এখনও পিছিয়ে ৩৭৩ রানে। শনিবার সকালে রোহিতদের ব্যাট থেকে ভাল কিছু দেখার অপেক্ষায় থাকবে ভারতীয় সমর্থকরা। |
|