এ বারের পুজোর ছুটি একটু অন্যরকম কাটালাম। বিপিসিসির শিক্ষামূলক ভ্রমণের সঙ্গী হয়ে বেরিয়ে পড়লাম ভুটানের পথে। ১৫ই অক্টোবর প্রায় ৩৫ জন কচিকাচা ও বয়স্কদের সঙ্গে নিয়ে দুপুর ১২টা নাগাদ কাটোয়া থেকে চড়ে বসলাম হলদিবাড়ি সুপার ফাস্ট ট্রেনে। শিলিগুড়িতে সেই রাতটা কাটিয়ে পরের দিন সকাল ৬টায় ইন্টারসিটি ধরে পৌঁছলাম হাঁসিমারা। সেখান থেকে গাড়িতে করে রওনা দিলাম জয়গাঁও।
ভুটান ও বাংলার সীমান্তে সুন্দর দু’টি শহর ফুন্টশিলিং ও জয়গাঁও। অনুমোদন করিয়ে ১৭ই অক্টোবর সকাল সকাল রওনা দিলাম থিম্পুর উদ্দেশ্যে। রাত ৮টায় পৌঁছলাম থিম্পুর নির্মল হোটেলে। তিন দিন ধরে ঘুরে ফিরে স্থানীয় দর্শনীয় স্থান দেখার পরে ২১ অক্টোবর বিকেল ৪টে নাগাদ পৌঁছলাম ৫৩ কিলোমিটার দূরের পারোতে। |
একটুকরো ভুটান। ছবি লেখকের সৌজন্যে। |
পারোর সৌন্দর্য্য এককথায় নজরকাড়া। প্রায় ২৩০০ মিটার উঁচুতে পটে আঁকা ছবির মতো সুসজ্জিত শহর। উপত্যকার মাঝখান দিয়ে বয়ে চলেছে চু নদী। একটি বিমানবন্দরও আছে। পারোর মূল আকর্ষণ প্রাকৃতিক দৃশ্য ও জং। এছাড়া পাহাড়ের মাথায় রয়েছে জাতীয় মিউজিয়াম। পারো জং-এর পশ্চিম দিকে পেলরি থাং। সুন্দর কাঠের প্রাসাদ। বিভিন্ন বৌদ্ধ মন্দিরের মধ্যে রয়েছে ডুমসে লাখাং এবং প্রাচীনতম গুম্ফা কিচু লাখাং। রোদ উঠতেই পাহাড় চূড়ায় গুম্ফার ঝলসে ওঠা অসাধারণ। পারোর টংসা জং-এর প্রাকৃতিক দৃশ্যও অপরূপ। জং-এর মন্দিরে ৬ মিটার উঁচু বুদ্ধ মূর্তি রয়েছে, যা ভুটানিদের কাছে তীর্থ স্থান।
পরের দিন চললাম চেলেনা। ৩৫ কিলোমিটার দূরের চেলেনাতে বরফ পেলাম। প্রায় ১৩৫০০ ফুট উচুঁ চেলেনার প্রাকৃতিক দৃশ্য নয়নাভিরাম। সঙ্গে দূরে বরফে ঢাকা পাহাড় চূড়াও চোখ কাড়ার মতো। পারো দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল যেন বিদেশে এসেছি। অনেকটা যেন ভুটানের সুইজারল্যান্ড। |