টাটকা খবর |
রাজ্যসভার ভোটে বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ রাজ্যে
নিজস্ব সংবাদদাতা |
পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যসভার ভোটে এ বার নজিরবিহীন ভাবে এসে পড়ল বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ!
নির্বাচনের আগের দিন, বৃহস্পতিবার দিনভর নানা নাটক ও টানাপোড়েনের পরে দুই বিরোধী পক্ষ বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের তরফে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে, বিধায়কদের যে ভাবে ভাঙানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, তাতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এ রাজ্যে আগে রাজ্যসভায় ক্রস ভোটিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ বেনজির!
রাজ্যসভার ভোটের আগে এ দিন সব দলই বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিল। কংগ্রেসের ৩৮ জন বিধায়কের মধ্যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ৮ জন। বাকিরা তাঁদের অনুপস্থিতির কারণ জানালেও আবু নাসের (লেবু) খান চৌধুরী ও সুশীল রায়কে নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। সুশীলবাবু শাসক দলে যোগ দিচ্ছেন বলে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে। লেবুবাবু যদিও রাতে জানিয়েছেন তিনি কংগ্রেসেই আছেন, তবে শেষ পর্যন্ত তিনি কাকে ভোট দেবেন, তা নিয়ে সংশয় রয়েই গিয়েছে! অন্য দিকে, বাম শিবিরে আরএসপি-র দুই বিধায়ক অনন্ত দেব অধিকারী এবং দশরথ তিরকে নিখোঁজ! অনন্তবাবুর জন্য পার্ক স্ট্রিট থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছে আরএসপি। ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক সুনীল মণ্ডল দলকে জানিয়েছেন, তিনি তৃণমূল প্রার্থীকে ভোট দেবেন। আবার ফব-রই দুই বিধায়ক ধীরেন মাহাতো ও বিজয় বাগদি এবং সিপিএমের সুশান্ত বেসরা অভিযোগ করেছেন, তাঁদের টাকার টোপ দিয়ে এবং জবরদস্তি করে তৃণমূলকে সমর্থন করতে বাধ্য করার চেষ্টা হয়েছিল। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রবীন দেবের অভিযোগ, এ সবই বিধায়ক কেনাবেচার চেষ্টার ফসল। কমিশনের কাছে পৃথক ভাবে অভিযোগ জানিয়েছে বামফ্রন্ট এবং তাদের প্রার্থী ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিধানসভা ভবনে শুক্রবার ভোট নেওয়া হবে রাজ্যসভার শূন্য হওয়া পাঁচ আসনে। প্রার্থী আছেন ৬ জন। তৃণমূলের চার জন, বামেদের এক এবং এক জন নির্দল। নিজেদের তিন প্রার্থীকে সরাসরি জেতানোর পরে চতুর্থ জনকে জেতানোর জন্য যা ভোট দরকার, তৃণমূলের হাতে তার চেয়ে গোটা পাঁচেক ভোট কম রয়েছে। সেই জন্যই বিধায়ক ভাঙানোর চেষ্টা বলে বিরোধীদের অভিযোগ। তৃণমূলের দুই শীর্ষ নেতা মুকুল রায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরা অবশ্য মন্তব্য করেছেন, হেরে যাওয়ার ভয়ে বিরোধীরা এ সব অভিযোগ করছে। তাঁদের চার প্রার্থীই জিতবেন।
|
নন্দীগ্রাম-কাণ্ডে নতুন করে সিবিআই তদন্তের আর্জি রাজ্যের
নিজস্ব সংবাদদাতা |
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে নন্দীগ্রাম-কাণ্ডের তদন্ত করে সম্প্রতি আদালতে যে চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই, তা পছন্দ হয়নি রাজ্য সরকারের। তাই নতুন করে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানাল সরকার।
২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে সশস্ত্র জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে বাধ্য হয়ে পুলিশ গুলি চালিয়েছিল বলে হলদিয়া আদালতে সম্প্রতি চার্জশিট জমা দিয়ে জানিয়েছে সিবিআই। এই চার্জশিট যে তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়, তা আগেই জানিয়েছিল সরকার। আরও এক ধাপ এগিয়ে এ বার নতুন তদন্তকারী অফিসার নিয়োগ করে সিবিআই-কে তদন্ত করার আর্জি জানাল রাজ্য। সিবিআই অবশ্য রাজ্য সরকারের এই আর্জি অবাস্তব বলে জানিয়ে আদালতকে বলেছে, এই মামলায় নতুন করে তদন্ত করার প্রয়োজন নেই। নন্দীগ্রাম-কাণ্ড নিয়ে আগামী মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অসীম বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
নন্দীগ্রামে পুলিশের গুলিচালনার ঘটনার পরের দিনই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সিবিআই-কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই তদন্তের অগ্রগতি জানতে গত বছর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বাসিন্দা সুকুমার জানা-সহ কয়েক জন। তাঁরা প্রত্যেকেই নন্দীগ্রাম-কাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য। এ দিন মামলার শুনানির সময় সরকারি আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার হলদিয়া আদালতে জমা দেওয়া সিবিআই-এর চার্জশিটের প্রসঙ্গটি তোলেন। তিনি বলেন, সিবিআই দু’টি চার্জশিট জমা দিয়েছে। সেখানে পুলিশকে কোনও দোষ দেওয়া হয়নি এবং গুলিচালনাকে বৈধ বলা হয়েছে। |
|
আদালতে জমা দেওয়া সিবিআই-এর চার্জশিট প্রসঙ্গে রাজদীপবাবু বলেন, কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এস এস নিজ্জর এবং প্রাক্তন বিচারপতি পিনাকী ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ নন্দীগ্রামের গুলিচালনা নিয়ে জনস্বার্থের মামলায় এই গুলিচালনাকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক অভিহিত করে সিবিআই-কে ঘটনার তদন্তভার নিতে বলেছিল। এই প্রেক্ষিতে তাঁর প্রশ্ন ছিল, “হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ যেখানে গুলিচালনাকে অসাংবিধানিক বলেছে, সেখানে সিবিআই গুলিচালনাকে বৈধ বলে আখ্যা দিল কী ভাবে?”
সিবিআই-এর পক্ষে আইনজীবী আশরফ আলি বলেন, নন্দীগ্রাম নিয়ে মোট সাতটি মামলা দায়ের হয়েছিল। তার মধ্যে চারটি মামলায় কোনও সারবত্তা না থাকায় তার তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়। দু’টি মামলায় তদন্ত শেষ করে সম্প্রতি হলদিয়া আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। একটি মামলার ক্ষেত্রে ছয় জন পুলিশ অফিসার ও এক জন চিকিৎসককে জেরা করার জন্য রাজ্য সরকারের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। সরকার অনুমতি দেয়নি। ফলে পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। তদন্তও শেষ করা যাচ্ছে না।
|
গৃহবধূ ধর্ষণে অভিযুক্তের শাস্তি চায় ত্রিপুরার শাসক, বিরোধী দল নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
দক্ষিণ ত্রিপুরায় এক গৃহবধূর নির্যাতনের ঘটনায় রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। দিল্লির ‘দামিনী-কাণ্ডের’ সঙ্গেও তার তুলনা করা হচ্ছে। প্রদেশ কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস এবং শাসক দল সিপিএম ঘটনার তীব্র নিন্দা করে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, ওই গৃহবধূকে শুধু ধর্ষণই করা হয়নি, তাঁর বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ধারালো অস্ত্র দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে। এমনকী, যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে মারাত্মক ভাবে আঘাত করেছে দুষ্কৃতীরা। নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে একটি চোখ। আগরতলার সরকারি জিবি হাসপাতালের আইসিইউ-তে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন ওই মহিলা। রবিবার রাতে দক্ষিণ ত্রিপুরার উদয়পুরের জামজুরি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। কাঁকড়াবন থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, প্রধান অভিযুক্ত বিশ্বজিত্ ভৌমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এলাকাবাসীর একাংশের দাবি, পারিবারিক বিবাদের জেরেই ওই গৃহবধূকে অত্যাচার করা হয়।
জামজুরির ঘটনা নৃশংসতার নিরিখে দিল্লির ‘দামিনী-কাণ্ড’কে পিছনে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যের বিরোধী নেতা সুদীপ রায়বর্মণ। রাজনীতি ভুলে এই ঘটনার নিন্দা করতে সবাইকে অনুরোধ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। সরকারি খরচে দিল্লির এইম্স হাসপাতালে ওই মহিলার চিকিত্সার ব্যবস্থাও দাবি তুলেছে তাঁরা। ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান রতন চক্রবর্তীর অভিযোগ, প্রধান অভিযুক্ত বিশ্বজিত্ শাসক দলের কর্মী বলে পরিচিত। তাই তাকে গ্রেফতার করতে দেরি করেছে পুলিশ।
কংগ্রেস এবং তৃণমূলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিজন ধরের বক্তব্য, প্রধান অভিযুক্তের সঙ্গে সিপিএমের নাম জড়িয়ে রাজ্যের বিরোধী দলের নেতারা ‘রাজনৈতিক ফায়দা’ তোলার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের বাইরে। গৃহবধূর উপর পাশবিক অত্যাচারের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত দুষ্কৃতীর উপযুক্ত শাস্তি হওয়া দরকার।’’
|
চাপ কাটিয়ে ভারতকে পাল্টা চাপ নিউজিল্যান্ডের
নিজস্ব প্রতিনিধি |
একেই বলে ইটের জবাবে পাথর। দিনের শুরুতে মাত্র ৩০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া নিউজিল্যান্ডকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করালেন অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাকালাম এবং কেন উইলিয়ামসন। চতুর্থ উইকেট পার্ঠনারশিপে তাঁদের করা ২২১ রান রানে রীতিমতো চাপে ভারত।
বৃহস্পতিবার অকল্যান্ডে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের শুরুটা তেমনই হয়েছিল ঠিক যেমনটি চেয়েছিল ধোনির ভারত। টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্তটাকে সম্মান জানিয়ে তিন পেসার শামি, জাহির ও ইশান্ত বেশ চাপে রেখেছিল কিউই ব্যাটসম্যানদের। দশম ওভারে ইশান্তের বলে রাহানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওপেনার রাদারফোর্ড। তিন ওভার পরেই জাহিরের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন অপর ওপেনার ফুলটন। এক দিনের সিরিজে ভাল ফর্মে থাকা রস টেলরও বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। মাত্র তিন রান করেই ইশান্তের বলে রবীন্দ্র জাডেজার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। সে সময়ে ত্রাতার ভূমিকায় নামেন অধিনায়ক ম্যাকালাম এবং ফার্স্ট ডাউনে নামা উইলিয়ামসন। দু’জনেই শতরান করে প্রাথমিক চাপ কাটিয়ে দেন। |
মারমুখী... |
|
|
দুই ‘সেঞ্চুরিয়ন’। উইলিয়ামসন ও ম্যাকালাম। ছবি: রয়টার্স। |
|
দিনের শুরুতে পেসাররা পিচ থেকে যে সুবিধা পাচ্ছিল, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা উধাও হয়ে যায়।
দুই ব্যাটসম্যান রীতিমতো মারমুখী মেজাজে ব্যাট করেন এ সময়ে। একটা সময়ে রানের গড় চারের উপরে উঠে গিয়েছিল। ৬৯তম ওভেরে জাহিরের লেগ সাইডের বাইরের বলে খোচা মেরে ধোনির হাতে ক্যাচ দিয়ে উইলিয়ামসন প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে দলের স্কোর ২৫০ টপকে যায়। চতুর্থ উইকেটের পতনে মাঠে নামেন কোরি অ্যান্ডারসন। শেষ বেলায় অধিনায়ক ম্যাকালামকে সঙ্গে নিয়ে তিনিও ভারতীয় বোলারদের তুলোধোনা করেন। ৮০ ওভারের শেষে নতুন বল নিয়েও বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি ধোনি। সারা দিনে জাহির ও ইশান্ত দু’টি করে উইকেট নিলেও বাকি বোলারদের অবস্থা খুবই করুণ ছিল। শামি বল হাতে বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। ব্যাটিংয়ের গভীরতা বাড়াতে জাডেজা দলে এলেও বল হাতে তিনিও নজর কাড়তে ব্যর্থ হন। দিনের শেষে নিউজিল্যান্ডের স্কোর ৪ উইকেটে ৩২৯ রান। ১৪৩ রান করে ম্যাকালাম ও ৪২ রান করে অ্যান্ডারসন ক্রিজে অপরাজিত রয়েছেন।
সব মিলিয়ে ভারত বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে রয়েছে। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে বোলাররা যদি দ্রুত অপরাজিত দুই ব্যাটসম্যানকে ফেরাতে না পারে, তবে ভারতরে কপালে অশেষ দুঃখ রয়েছে।
|
কলকাতায় দু’টি দুর্ঘটনায় মৃত দুই মহিলা
নিজস্ব সংবাদদাতা |
শহরে দু’টি পৃথক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দুই মহিলার।
বৃহস্পতিবার সকাল দশটা নাগাদ ডায়মন্ড হারবার এবং রায়বাহাদুর রোডের সংযোগ স্থলে একটি মিনিবাসের ধাক্কায় এক মহিলার মৃত্যু হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, রাস্তা পার হওয়ার সময়ে ওই মহিলাকে বেহালা-ডায়মন্ড রুটের একটি বাস ধাক্কা মারে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত মহিলার বয়স পঞ্চাশ বছর। পুলিশ ঘাতক বাসটিকে আটক করেছে। চালক ও কন্ডাকটর পলতক।
অন্য দুর্ঘটনাটি ঘটে এ দিন দুপুর বারোটা নাগাদ শিয়ালদহ স্টেশনের কাছে বেলেঘাটা রোডে। একটি বেসরকারি বাসের ধাক্কায় এক তরুণী গুরতর জখম হন। তাঁকে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তরুণীর বয়স ২০ বছর বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ বাসের চালক এবং কন্ডাকটরকে গ্রেফতার করেছে। বাসটিকেও আটক করা হয়েছে।
|
বাঁশদ্রোণীতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত এক
নিজস্ব সংবাদদাতা |
অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। বুধবার গভীর রাতে বাঁশদ্রোণী এলাকার রবীন্দ্রপল্লীতে ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবীন্দ্রপল্লীর এক আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে আগুন দেখতে পেয়ে বাসিন্দারা দমকলে খবর দেন। একটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এক জন ব্যক্তিকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করেন দমকল কর্মীরা। তাঁকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম দেবরাজ মুখোপাধ্যায়।
|
উত্তর-পূর্বের ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা খতিয়ে দেখতে কমিটি
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
দেশের বিভিন্ন শহরে বসবাসকারী উত্তর-পূর্বের মানুষদের সমস্যা খতিয়ে দেখার জন্য আজ একটি কমিটি তৈরি করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
প্রধানমন্ত্রীর দফতরের হস্তক্ষেপে তৈরি এই কমিটি উত্তর-পূর্বের মানুষদের কেন অন্য শহরে বৈষম্য বা হামলার মুখে পড়তে হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখবে। এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তারও সুপারিশ করবে কমিটি। কমিটির প্রধান নিযুক্ত হয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার এম পি বেজবড়ুয়া। কমিটিতে উত্তর-পূর্বের সব রাজ্যের প্রতিনিধিরাই থাকছেন। দিল্লি পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার রবিন হিবুকেও কমিটিকে সাহায্য করতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, টানিয়াম হত্যার সুবিচার চেয়ে আজ উত্তর-পূর্বের একটি সাংসদ-দল প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গে দেখা করেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। তারপরেই কমিটির কথা ঘোষণা করা হয়।
এ দিকে, আজ দিল্লি হাইকোর্টে আর একটি রিপোর্ট দাখিল করেছে দিল্লি পুলিশ। রিপোর্টে বলা হয়, নিদো টানিয়ামকে পরপর দু’বার মারধর করা হয়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই এলাকার একটি বাড়ির অবস্থান জানতে একটি দোকানে গিয়েছিলেন টানিয়াম। দোকানদার এবং তার তিন বন্ধু টানিয়ামের চুল নিয়ে ব্যঙ্গ করে। রেগে গিয়ে দোকানটির সামনের একটি কাচ ভেঙে দেন তিনি। অভিযোগ, তখনই দোকানদার টানিয়ামকে মারধর করে। গালিগালাজও করা হয়। ৭ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পর ফের রাস্তায় দোকানদারের তিন সঙ্গী নিদোকে বেধড়ক মারে। তার জেরেই মৃত্যু হয় অরুণাচলের ওই ছাত্রের।
এরই পাশাপাশি, শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে অভিযুক্তের জামিনের আবেদনের শুনানি হবে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তফসিলি জাতি ও উপজাতি আইনেও মামলা রুজু করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর খুনের মামলা করা হবে কি না, তা ঠিক করা হবে।
|
সেনা নথি উদ্ধার বিহারের জঙ্গি ডেরায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
সেনাবাহিনীর গোপন নথি মিলল মাওবাদী শিবিরে। এমনই ঘটনা ঘটেছে মুঙ্গেরে। পুলিশ জানিয়েছে, সেনাবাহিনীতে কী ভাবে বিস্ফোরক তৈরি করা হয়, তারই খুঁটিনাটি লেখা রয়েছে ওই নথিতে। কী ভাবে ওই গোপন তথ্য জঙ্গিদের হাতে গেল, তা নিয়ে সেনাকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে পুলিশ।
ডিআইজি সুধাংশু কুমার জানিয়েছেন, “মাওবাদী ডেরা থেকে সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ নকশা উদ্ধার হওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন।” পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল মুঙ্গেরের খড়গপুর পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালানো হয়। সেই সময় পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাবে দুই মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। পরে, জঙ্গিদের ডেরায় তল্লাশি চালানোর সময় সেনাবাহিনীর নির্দেশিকা লেখা বই পাওয়া যায়। তাতেই ছিল বিস্ফোরক তৈরির নিয়মকানুন। জেলার পুলিশ সুপার বরুন সিন্হা বলেন, “এই তথ্য পুলিশের কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কী ভাবে ওই নকশা মাওবাদীদের হাতে এল তা নিয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।”
|
কয়লা খনিতে ধস, মৃত্যু চার শ্রমিকের
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
কয়লা খনির ছাদ ধসে মৃত্যু হল চার শ্রমিকের। ঘটনাটি ঘটেছে মেঘালয়ের নাঙালবিবরায়।
পুলিশ জানায়, গারে গিট্টিম এলাকার ওই খনিতে আচমকা ছাদ ও দেওয়াল ভেঙে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রত্ন বর্মণ, দেবকান্ত বর্মণ, বিশ্বনাথ বর্মণ ও পিটারসন মারাক নামে চার শ্রমিকের। খনির মালিক পলাতক। ম্যানেজার রেনজি লামা শেরপা ঘটনার অনেক পরে থানায় খবর দেন। উদ্ধারকাজও শুরু করতেও দেরি হয়। খনি থেকে তিনটি দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। ম্যানেজারকে আটক করেছে পুলিশ।
|
ঝাড়খণ্ডে আগুনে পুড়ে মৃত্যু দুই শিশুর
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল দু’টি শিশুর। বুধবার রাতে ঝাড়খণ্ডের কোডারমার জয়নগর থানার পাণ্ডুতে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম রানি কুমারী (২) এবং অঙ্কুর কুমার (৪)। ওই সময় তারা ঘরে ঘুমোচ্ছিল। বাড়িতে অন্য কেউ ছিলেন না। সকলেই গিয়েছিলেন সরস্বতী পুজোর বিসর্জনে। পুলিশ জানায়, ঠাণ্ডার জন্য ঘরে কাঠকয়লা জ্বালানো ছিল। তা থেকেই কোনওভাবে আগুন ছড়ায়। গ্রামের লোকেরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। এরপরই দমকলে খবর দেওয়া হয়। দমকল ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই বাড়িটি পুড়ে যায়। বৃহস্পতিবার দু’টি শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়।
|
নীতীশ ঘনিষ্ঠ দুই বিধায়ককে বহিষ্কার করল বিজেপি
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
লোকসভা নির্বাচনের আগে ঝাড়াই-বাছাই শুরু করতে গিয়ে দলের দুই বিধায়ককে বহিষ্কার করল বিহার বিজেপি। দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে পূর্ব চম্পারণের চেরাইয়ার বিধায়ক অবনীশ কুমার সিংহ এবং সমস্তিপুরের মহিউদ্দীন বিধানসভা কেন্দ্রের সদস্য রানা গঙ্গেশ্বর সিংহকে বৃহস্পতিবার দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ দিন বিজেপির সহ-সভাপতি এবং রাজ্য শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির অন্যতম সদস্য সি পি ঠাকুর বলেন, “এঁরা প্রথম থেকেই জেডিইউ-এর সদস্য। গত বিধানসভা নির্বাচনে তাঁরা বিজেপির হয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। প্রকাশ্যে দলের বিরুদ্ধে এবং নরেন্দ্র মোদী সর্ম্পকে নানা কথা বলছিলেন। তাতে মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছিল। দলের শৃঙ্খলা না মানায় তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।” |
|