টাটকা খবর
মমতার সঙ্গে জোটের রাস্তা খুলে রাখলেন মোদী
নরেন্দ্র মোদী এলেন। জমজমাট ব্রিগেডে ভাষণও দিলেন। কিন্তু এক বারের জন্যও তোপ দাগলেন না তৃণমূল কংগ্রেস তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে। বরং এ রাজ্যে মমতার সঙ্গে কেন্দ্রে তাঁকে আনলে উন্নয়নে যে জোয়ার আসবে সে কথাই বোঝাতে চাইলেন বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী। তাঁর কথায়: “এখানে আপনারা পরিবর্তন চেয়ে মমতাজিকে এনেছেন। তিনি তাঁর মতো করে উন্নয়নের কাজ করবেন। কেন্দ্রে আমাকে আনলে, আমি এ রাজ্যের উন্নয়ন করব। আর আমাদের সবার উপরে আছেন ‘প্রণবদা’, রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। এই তিন জনে মিলে সোনার বাংলা গড়ব।”
বুধবার বেলা পৌনে তিনটে নাগাদ ব্রিগেডের সমাবেশে ঢোকেন নরেন্দ্র মোদী। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি রাজনাথ সিংহ। মোদী ভাষণ দেন ঘণ্টাখানেক। তাঁর ভাষণ শেষ হয় বিকেল চারটে নাগাদ। যদিও এ দিন ব্রিগেডে বিজেপি-র ‘জনচেতনা সভা’ শুরু হয়েছিল দেড়টা নাগাদ।
ব্রিগেডের সভায় নরেন্দ্র মোদী।
সমাবেশের শুরুতে ভাষণ দেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তপন সিকদার। তখন মঞ্চে ছিলেন বরুণ গাঁধী, শাহনওয়াজ হুসেন, অর্জুন মুণ্ডা, বাপ্পি লাহিড়ী, সিদ্ধার্থ নাথ সিংহ, জাদুকর পিসি সরকার (জুনিয়র), রাহুল সিংহ প্রমুখ। মোদীর সমাবেশ ঘিরে গোটা চত্বর জুড়ে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। চার দিন আগে বিজেপি-তে যোগ দেওয়া বাপ্পি লাহিড়ী এ দিন মঞ্চে সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
বেলা আড়াইটে নাগাদ রেসকোর্সের হেলিপ্যাডে নামে মোদীর কপ্টার। মঞ্চে তখন শাহনওয়াজ হুসেন বলছেন, “কংগ্রেসের বিকল্প তৃণমূল নয়। কেন্দ্রে কংগ্রেস মুক্ত ভারত গড়তে পারে একমাত্র বিজেপি।” লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে বিজেপি-র আসন সংখ্যা এক থেকে ৪২ হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
নরেন্দ্র মোদী এবং রাজনাথ সিংহকে বরণ করে নিয়ে মঞ্চে দাঁড়িয়ে রাহুল সিংহ তৃণমূল, কংগ্রেস এবং সিপিএমকে একহাত নিয়েছেন। মোদী লোকসভা নির্বাচনে জোট সম্ভাবনা খুলে রাখলেও রাহুল অবশ্য তা একেবারে উড়িয়ে দিয়েছেন।
নরেন্দ্র মোদীর জনসভায় বিজেপি-র কর্মী-সমর্থকেরা।
রাজনাথ সিংহ তাঁর ভাষণে বিবেকানন্দ,নেতাজি সুভাষ এবং শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের উল্লেখ করে বলেন, “এত মানুষের জমায়েত হবে তা ভাবিনি।” তাঁর কথায়: “গত ৩৫ বছরে সিপিএম পশ্চিমবঙ্গকে অর্থনৈতিক ভাবে একেবারে পিছনে সারিতে নিয়ে গিয়েছে। সমস্ত শিল্প এখানে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখানে শুধু খুনের শিল্প এগিয়েছে।” সিপিএম সরিয়ে তৃণমূলকে সরকারে আনার জন্য তিনি রাজ্যের মানুষকে ধন্যবাদ জানান। কিন্তু পরিবর্তনের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে মানুষ যতটা আশা করেছিলেন, তিনি ততটা পূরণ করতে পারছেন না বলে এ দিন মন্তব্য করেন রাজনাথ। তিনি বলেন, “যে বিশ্বাসের সঙ্গে, যে ভরসার সঙ্গে মানুষ পরিবর্তন এনেছিলেন, তার পর যেমনটা হওয়ার কথা ছিল, তেমনটা হয়নি।”
রাজ্যে পরিবর্তনের সুফল তাড়াতাড়ি মিলছে না বললেও রাজনাথ সিংহ এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কেন্দ্রের কাছে মমতার ‘মোরাটরিয়াম’-এর দাবিকে মান্যতা দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়: কেন্দ্রের উচিত পশ্চিমবঙ্গের ঋণ আপাতত স্থগিত রাখা। এ দিন তিনি বাংলায় বলেন, “বাংলার এই পবিত্র মাটিকে আমি প্রণাম জানাই।”
ভাষণে নরেন্দ্র মোদী যা বললেন:
উপস্থিত ভাইবোন এবং বন্ধুদের আমার খুব খুব অভিনন্দন আর ভালবাসা। এই বিপুল জনসমুদ্র দেখে আমার মন বলতে চায়, আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি।

দিল্লিতে যাঁরা তৃতীয় ফ্রন্ট নিয়ে বৈঠক করছেন, তাঁরা এই ব্রিগেডের দিকে এক বার তাকিয়ে দেখুন, হাওয়া কোন দিকে বইছে সেটা টের পাবেন। আসলে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে কখনও তারা ক্ষমতায় আসেনি। সে জন্য সেখানে উন্নয়নের জোয়ার। কিন্তু পূর্বের বিভিন্ন জায়গায় তৃতীয় ফ্রন্ট থাকায় তা হয়নি।
গুজরাতের সঙ্গে বাংলার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাই দীর্ঘ দিন গুজরাতে ছিলেন। আমদাবাদ শহর গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে তাঁর যথেষ্ট ভূমিকা ছিল। সুভাষচন্দ্র বসুর ভাইও ছিলেন গুজরাতে। রাজ্যের বস্ত্রশিল্পের প্রসারে তাঁর অবদান আমরা ভুলিনি। শ্রীঅরবিন্দও দীর্ঘ দিন গুজরাতে ছিলেন। শুধু তাই নয়, স্বামী বিবেকানন্দের সঙ্গেও গুজরাতের সম্পর্ক বেশ গভীর। তাঁর স্বপ্ন ছিল, বিশ্বের কাছে ভারতকে শ্রেষ্ঠ হিসেবে তুলে ধরা। আমরা সেই স্বপ্ন পূরণ করতে চাই।
এ বারের ভোট সব চেয়ে আলাদা। এই নির্বাচনে রাজনৈতিক দল নয়, মানুষ লড়ছে। স্বাধীনতার পর ৬০ বছর কেটে গিয়েছে। আর অপেক্ষা নয়। এ বারের নির্বাচন সব উল্টেপাল্টে দেবে। দেশবাসী সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন।
বাংলার উন্নয়ন হলে ভারতের উন্নতি সম্ভব। পরিবর্তনের জন্য বাংলা লড়াই করেছে। কিন্তু এ রাজ্যে কোনও পরিবর্তন লক্ষ করছেন কি আপনারা? এ বার লোকসভার সব আসনে ভারতীয় জনতা দলের প্রার্থীদের জেতান। রাজ্য সরকার তো রাজ্য সরকারের কাজ করবে। আপনারা সে হিসাব তাদের কাছে চাইবেন। আর লোকসভায় আমাকে জিতিয়ে কাজের আমার কাছে কাজের হিসাব চাইতে পারেন। অন্য কাউকে কেন্দ্রে পাঠিয়ে আমার কাছে তো আর হিসাব চাইতে পারবেন না! পশ্চিমবঙ্গের ভাগ্য তো শুধু রাজ্য সরকারকে দিয়ে বদলানো যাবে না। কেন্দ্রেও আপনাদের সরকার থাকতে হবে। তা হলেই উন্নয়নের বৃত্তটা সম্পূর্ণ হবে।
বাংলা এমন একটা প্রদেশ যেখানে মা সরস্বতী এবং লক্ষ্মীর সহাবস্থান। সব জায়গায় দুই মা একসঙ্গে বিরাজ করেন না। দেশে কম্পিউটার হোক বা অ্যাম্বাসাডর— সবেতেই বাংলা প্রথম। কিন্তু আজ কাজের খোঁজে বাংলার যুবকদের বাইরে যেতে হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ ক্রমেই পিছিয়ে যাচ্ছে। বাংলা বরাবর দেশকে দিশা দেখিয়েছে। আমি চাই এ বারও বাংলা দেশকে দিশা দেখাক। বাংলার যুবকদের ভাগ্য পাল্টে দেবে বিজেপি। আমি বাংলার জীবন বদলানোর সংকল্প নিয়ে আজ এসেছি। সোনার বাংলা ফিরিয়ে আনবই।
এ রাজ্যে কি ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুত্ পাওয়া যায়? কারখানা ও গ্রামে বিদ্যুত্ পাওয়া যায়? কাছেই জল-কয়লা মজুত থাকলেও কেন এমন অবস্থা? গুজরাত যদি ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুত্ পরিষেবা দিতে পারে, কেন পশ্চিমবঙ্গ দিতে পারবে না! আপনারা কেন অন্ধকারে ডুবে থাকবেন? এ রাজ্যে এমন কিছু স্কুল আছে, যা ভারতেও সেরা। তবে কেন বাংলার গ্রামে শিক্ষার হার এত কম! এ রাজ্যে মেয়েদের মা বলে সম্বোধন করা হয়। কিন্তু ৬০ শতাংশ মেয়েদের স্কুলেই শুধু শৌচাগার রয়েছে? রাজ্যের ৩৫ শতাংশ স্কুলে বিদ্যুত্ নেই। তা হলে তারা কম্পিউটার চালাবে কী করে! উন্নতি কী ভাবে হবে!
দেশে যখন নির্বাচন আসে তখন দুটো কাজ হয়। গরিবের মালা জপা আর ধর্মনিরপেক্ষতার গান গাওয়া। পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় গুজরাতে মুসলমানের সংখ্যা অনেক কম। কিন্তু যাঁরা সে রাজ্যের গায়ে কালি মাখানোর প্রয়াস করেন, বদনাম করেন তাঁদের উদ্দেশে বলি, গুজরাতে হজে কোটা যেখানে ৪৮০০, সেখানে আবেদন জমা পড়ে ৩৭ হাজার। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের দিকে তাকান। এখানে কোটা প্রায় ১২ হাজার, আবেদনও আসে ১২ হাজার। যদি পয়সা না থাকে তা হলে আবেদন করবেন কী ভাবে? আসলে এ রাজ্যে তাঁদের বিকাশের শরিক করা হয়নি। অনুপ্রবেশকারীদের জন্য এ অঞ্চলের নাগরিকরা অনেক সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বিজেপিকে ক্ষমতায় আনলে আপনাদের তিনটি লাভ আছে। এখানে আপনারা পরিবর্তন চেয়ে মমতাজিকে এনেছেন। তিনি তাঁর মতো করে উন্নয়নের কাজ করবেন। কেন্দ্রে আমাকে আনলে, আমি এ রাজ্যের উন্নয়ন করব। আর আমাদের সবার উপরে আছেন ‘প্রণবদা’, রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। এই তিন জনে মিলে সোনার বাংলা গড়ব। ’৮৪ সালে ইন্দিরা গাঁধী মারা যাওয়ার পর প্রণববাবু ওই মন্ত্রিসভার প্রবীণতম সদস্য ছিলেন। কিন্তু এর পর রাজীব গাঁধী প্রধানমন্ত্রী হয়ে তাঁকে মন্ত্রিসভায় জায়গাই দেননি। এর পর ২০০৪ সালেও কংগ্রেসের সবচেয়ে প্রবীণ নেতা ছিলেন প্রণববাবু। কিন্তু তাঁকে সে সময়ে প্রধানমন্ত্রী করা হয়নি। মনমোহন সিংহকে বসানো হয় ওই পদে। এটাই কংগ্রেসের রীতি। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ যেন এই কথাটিও মনে রাখেন।

ছবি: দেশকল্যাণ চৌধুরী

আমতায় দুই মহিলাকে গণধর্ষণ, ধৃত সাত

রাজ্যে গণধর্ষণের ঘটনা অব্যাহত। এ বার হাওড়ার আমতায়। ঘটনাটি ঘটেছে আমতার মুক্তির চক গ্রামে। পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে ঘরে শাশুড়ির সঙ্গে ঘুমোচ্ছিলেন এক গৃহবধূ। এই সময় এক দল দুষ্কৃতী বাড়ির পাঁচিল ভেঙে ঘরে ঢুকে ওই দুই মহিলার উপর চড়াও হয়। ওই বধূর বৃদ্ধা শাশুড়ি কোনও রকমে বাড়ি থেকে পালিয়ে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেন। তিনি পুলিশের কাছে স্থানীয় আট জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। অভিযোগ, ইতিমধ্যে বাড়িতে ওই গৃহবধূ এবং তাঁর জেঠশাশুড়িকে মারধর ও গণধর্ষণ করে পালায় দুষ্কৃতীরা। পুলিশ এসে গুরুতর জখম অবস্থায় ওই দুই মহিলাকে উদ্ধার করে আমতা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরে তাঁদের উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে তল্লাশি চালিয়ে মঙ্গলবার রাতেই সাত জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এক অভিযুক্ত এখনও পলাতক। বুধবার মহকুমা হাসপাতালে চার জন চিকিত্সকের একটি দল আক্রান্ত মহিলাদের মেডিক্যাল পরীক্ষা করে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই দুই মহিলার যৌনাঙ্গে ধারাল অস্ত্রের কোপে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। এ দিন ঘটনাস্থলে যান আইজি (দক্ষিণবঙ্গ) সঞ্জয় সিংহ, ডিআইজি (প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ) আনন্দ কুমার, হাওড়ার পুলিশ সুপার ভরত মিনা প্রমুখ। আইজি (দক্ষিণবঙ্গ) জানান, ধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশের অনুমান, আরও কয়েক জন এই ঘটনায় জড়িত। তাদেরও খোঁজ চলছে। এ দিন উলুবেড়িয়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে ধৃতদের তোলা হলে তাদের দশ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়।

বর্ধমানেও থামবে রাজধানী

পটনা হয়ে যে রাজধানী এক্সপ্রেস নিউদিল্লি যাওয়া-আসা করে সেটি এবার থেকে বর্ধমানে থামবে। রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই ব্যবস্থা আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। যাওয়া-আসার পথে ট্রেনটিকে বর্ধমানে দু’মিনিট থামানো হবে। আপাতত ছ’মাসের জন্য এই ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। পটনা হয়ে হাওড়া-নিউদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস সপ্তাহে একদিন চলাচল করে।
একই সঙ্গে ভুবনেশ্বর-নিউদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসকেও জাজপুর-কেওনঝড় রোডে থামানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই ব্যবস্থা চালু হবে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে। এই রুটেও রাজধানী এক্সপ্রেস থামানোর ওই নির্দেশ আপাতত আগামী ছ’মাস পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেতা খুনে ধৃত সিপিএমের অশোক গুড়িয়া

অশোক গুড়িয়া
তৃণমূল নেতা সমর মাইতি হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার করা হল সিপিএমের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা নন্দীগ্রামের নেতা অশোক গুড়িয়াকে। মঙ্গলবার গভীর রাতে তাঁকে রেয়াপাড়ার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর সঙ্গে আরও তিন জনকে গ্রেফতার করা হলেও পুলিশ তাঁদের নাম জানাতে চায়নি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যাবেলা মোটরসাইকেলে যাওয়ার সময় আততায়ীর ছোড়া গুলিতে নিহত হয়েছিলেন সমরবাবু। তাঁর পিঠের ডান দিকে দু’টি, ডান হাতের কনুইতে এবং বাঁ চোখে একটি করে মোট চারটি গুলি লাগে। রেয়াপাড়া থেকে তমলুক জেলা হাপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। তমলুকের তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী এই খুনের ঘটনায় ‘সিপিএমের দুষ্কৃতীরা জড়িত’ বলে ওই দিন দাবি করেছিলেন। তার পর অশোক গুড়িয়ার গ্রেফতার যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। যদিও নিহত নেতার বাবা তথা তৃণমূল নেতা বাদল মাইতি এই ঘটনার জন্য দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই দায়ী করেন। শেখ নাজিমুদ্দিন নামের বিক্ষুব্ধ এক তৃণমূল নেতার দিকে আঙুল তোলেন তিনি। সিপিএম নেতৃত্ব অবশ্য দাবি করেছেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগে অশোকবাবুকে ফাঁসানো হয়েছে।
এই খুনের ঘটনার সঙ্গে সিপিএমের কোনও যোগ নেই, বরং তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই ঘটনাটি ঘটেছে বলে বুধবার মন্তব্য করেছিলেন অশোকবাবু। কিন্তু এই ঘটনায় তাঁকেই গ্রেফতার করায় বিস্মিত তাঁর দল। এর আগে তাঁকে নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলায় ২০১২ সালের ১৭ মার্চ মুম্বই থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই বছরেরই ২৩ জুলাই জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন তিনি। সেই মামলা এখনও শেষ হয়নি, তার মধ্যে ফের অশোকবাবু গ্রেফতার হলেন।

দুর্ঘটনায় তিন মোটরবাইক আরোহীর মৃত্যু
গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল মোটরবাইকের তিন আরোহীর। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার ভোরে ই এম বাইপাসের উপর বাঘা যতীন ব্রিজের সামনে। পুলিশ জানায়, মোটরবাইকটি বাঘা যতীনের দিক থেকে রুবি মোড়ের দিকে যাচ্ছিল। এই সময় একটি গাড়ি সেটিকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিন জনের। তাঁদের নাম আশিস দে, সঞ্জয় চক্রবর্তী ও ছোট্টু দাস। তাঁদের বয়স ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। তাঁদের বাড়ি সোনারপুর থানা এলাকার সারদাপল্লিতে।
 



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.